শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
উত্তর : সত্যের আলোকে হাসি-খুশি ও বৈধ বিনোদন ইসলামের একটি অনুপম নিদর্শন। আল্লাহ তা‘আলা এর বৈধতা দিয়ে বলেন, فَبِذٰلِکَ فَلۡیَفۡرَحُوۡا  ‘কাজেই এতে তাদের আনন্দিত হওয়া উচিত’ (সূরা ইউনুস: ৫৮)। নবী (ﷺ) মৃদু হাসতেন। কখনোই অট্টহাসি দিতেন না। তাঁর মুখমণ্ডলের উজ্জ্বল হাসির আভা ছড়িয়ে পড়ত সর্ব কোণে। তিনি সদা প্রফুল্ল থাকতেন। কখনোই গোমড়ামুখো থাকতেন না। তবে দুশ্চিন্তায় পড়লে তার ছাপ চেহারায় পড়ত এবং তখন তিনি ছালাতে রত হতেন (আবূ দাঊদ, হা/১৩১৯; ছহীহুল জামি‘, হা/৪৭০৩)। তিনি সত্যের আলোকে হালকা রসিকতা করতেন। যেমন:

একদিন স্ত্রী আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর নিকটে এসে তার এক বৃদ্ধা খালা রাসূল (ﷺ)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমার জন্য আল্লাহর নিকটে দু‘আ করুন যেন তিনি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। জবাবে রাসূল (ﷺ) বললেন, হে অমুকের মা! কোন বৃদ্ধা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। একথা শুনে উক্ত মহিলা কান্না শুরু করল। তখন আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বললেন, তাদের কী দোষ? জবাবে রাসূল (ﷺ) তাকে সান্ত¦না দিলেন এবং স্বীয় উক্তির অর্থ এই বর্ণনা করলেন যে, বৃদ্ধারা যখন জান্নাতে যাবে, তখন বৃদ্ধা থাকবে না, বরং যুবতী হয়ে প্রবেশ করবে। অতঃপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করে শোনালেন।

اِنَّاۤ  اَنۡشَاۡنٰہُنَّ  اِنۡشَآءً- فَجَعَلۡنٰہُنَّ  اَبۡکَارًا- عُرُبًا  اَتۡرَابًا- لِّاَصۡحٰبِ الۡیَمِیۡنِ

আমরা জান্নাতী নারীদের বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তাদের চিরকুমারী করেছি। সদা সোহাগিনী, সমবয়স্কা। ডান সারির লোকদের জন্য’ (সূরা আল-ওয়াক্বি‘আহ: ৩৫-৩৮; ইবনু কাছীর উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা দ্র.)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘জান্নাতবাসী নারী-পুরুষ সবাই ৩০ থেকে ৩৩ বছর বয়সী হবে’ (তিরমিযী, হা/২৫৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২১৫৯; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২৯৮৭)।

আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) আমাদের সাথে উৎফুল্ল মেজাজ ও সম্প্রীতি প্রদর্শন করতেন। এমনকি আমার ছোট ভাই আবূ উমায়ের একটি ‘নুগায়ের’ অর্থাৎ লাল ঠোট ওয়ালা চড়ুই জাতীয় পাখি পুষত। যা নিয়ে সে খেলা করত। রাসূল (ﷺ) যখন এসে তাকে খেলতে দেখতেন, তখন বলতেন, يَا أَبَا عُمَيْرٍ مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ ‘হে আবূ উমায়ের! কী করছে তোমার নুগায়ের?  ‘উমায়র-এর একটি ছোট্ট বুলবুল পাখি ছিল। সে সেটা নিয়ে খেলা করত। পাখিটি মরে গিয়েছিল’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬১২৯, ৬২০৩)।


প্রশ্নকারী : গোলাম রাব্বি, বরিশাল।





প্রশ্ন (১১) : বিতর ছালাতে দু‘আ কুনুত কোন্ সময় পড়তে হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ফজরের সুন্নত ফরযের আগে পড়তে না পারলে ছালাতের পর পড়ে নিতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : সমাজের একশ্রেণীর মানুষ বিশ্বাস করে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবর থেকে সালামের উত্তর দেন। এমনকি কখনো হাত বের করে দেন। উক্ত বিশ্বাস কতটুকু শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : ছাগীরা গুনাহের পরিচয় ও পরিণাম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : আমি সফরে নিদিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করি। বাড়ি থেকে সকালে বের হয়ে আবার রাতের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসি। প্রশ্ন হল- এরকম সময় আমি কি ছালাত কছর করতে পারব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : সিজদায় কুরআনে বর্ণিত দু‘আ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : মেরু অঞ্চলের শীত প্রধান দেশে কিভাবে ছালাতের সময় নির্ধারণ করব? যেমন ফিনল্যান্ডে সূর্য ডুবে রাত ১২ টার পরে। আবার সূর্য উঠে ২টার দিকে। আসলে এখানে সূর্যই ডুবে না। এক্ষেত্রে ছালাত, ছিয়াম, ইফতার ইত্যাদির সময় কিভাবে নির্ধারণ করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : রোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য কোন গাছের  শিকড় মাদুলীর মধ্যে ঢুকিয়ে গলায় ঝুলিয়ে ব্যবহার করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের প্রথম বৈঠকে দরূদ পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : জনৈক আলেম বলেন, ছোট বেলায় হাসান ও হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) জামার জন্য কাঁদতে থাকলে জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তাঁদের জন্য লাল ও সবুজ দু’টি জামা আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ে এসেছিলেন। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : হিন্দুদের শাখা ধোয়া পানি খাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : ছোট বাচ্চাদের চোখে কাজল (কালো কালি) দেয়া, কোমরে ডোরা (কালো সুতা) বাঁধা অথবা কপালে কালো ফোঁটা দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ