উত্তর : যাদের সাথে সম্পর্ক রাখলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ধৈর্যের সাথে তাদের সংশোধন করার চেষ্টা করা উচিত। এটা নিঃসন্দেহে উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। সাথে সাথে তাদের বিশেষ কোনও অভিযোগ বা দাবি-দাওয়া থাকলে যে কারণে তারা শত্রুতা করছে তাহলে দ্রুত সমাধান করা যরূরী। কিন্তু চেষ্টা করার পরও সমাধান না হলে তাদের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে বাঁচার স্বার্থে এড়িয়ে চলা জায়েয। তারা রক্ত সম্পর্কীয় বা একান্ত নিকটাত্মীয় হলেও। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, إِنَّ شَرَّ النَّاسِ عِنْدَ اللهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ تَرَكَهُ النَّاسُ اتِّقَاءَ شَرِّهِ ‘নিশ্চয় ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার নিকট সর্ব নিকৃষ্ট ব্যক্তি সেই হবে, যাকে অন্যরা পরিত্যাগ করে তার অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬০৩২; ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৯১)। অন্যত্র রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
إِنَّ شَرَّ النَّاسِ مَنْزِلَةً عِنْدَ اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ وَدَعَهُ أَوْ تَرَكَهُ النَّاسُ اتِّقَاءَ فُحْشِهِ
‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তি নিকৃষ্ট স্তরের বলে গণ্য হবে, যাকে লোকজন তার অশালীনতার জন্য পরিত্যাগ করে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৯১; আবূ দাঊদ, হা/৪৭৯১)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল লতীফ, ঝিনাইদহ।