উত্তর : ক্বাযা ছিয়াম আদায়ের ব্যাপারে ধারাবাহিকতা অবলম্বন করা জরুরী নয়। সুবিধামত করলেই চলবে (আল-মুগনী, ৩/১৫৮-১৫৯ পৃ.)। আল্লাহ তা‘আলা সাধারণভাবে বলেছেন, فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ‘সুতরাং তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূরণ করে নিবে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৪)। এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা সাধারণভাবে শুধু ক্বাযা আদায়ের কথা বলেছেন। কোন দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেননি। সুতরাং নিরবচ্ছিন্নভাবে অথবা বিচ্ছিন্নভাবে উভয়ভাবেই জায়েয (ফিক্বহুস সুন্নাহ, ১/৪১৬ পৃ.; আল-বাহরুর রায়িক্ব, ২/৩০৭ পৃ.)। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, لا بأسَ أن يُفَرِّقَ ‘বিচ্ছিন্নভাবে বা পৃথক পৃথক রাখলে কোন সমস্যা নেই’ (তা‘লীকুল বুখারী, হা/১৯৫০; তাগলীকুত তা‘লীক্ব, ৩/১৮৬-১৮৭ পৃ.)।
তাই সঠিক মতামত হল, উভয় প্রকারই বৈধ। যেমন আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘ইচ্ছা করলে একটানা রাখবে’ (ইরওয়াউল গালীল, ৪/৯৪-৯৭; তামামুল মিন্নাহ, পৃ. ৪২৪)। শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, তিনটি কারণে ক্বাযা ছিয়ামগুলোকে একটানা অর্থাৎ মাঝে কোন বিরতি না দিয়ে রেখে নেয়াই উত্তম। প্রথমতঃ বিরতিহীনভাবে ক্বাযা ছিয়াম রাখাটা আসল ছিয়ামের সাথে অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ আসল ছিয়াম একটানাই রাখতে হয়। দ্বিতীয়তঃ নিরবকাশ রাখলে অতি সত্বর দায়িত্ব পালন হয়ে যায়। তৃতীয়তঃ নিরবচ্ছিন্নভাবে ছিয়াম রেখে নেয়াটাই পূর্বসতর্কতামূলক কর্ম। কারণ মানুষ জানে না যে, আগামীতে তার কী ঘটবে। আজ সুস্থ আছে, কিন্তু কাল হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়বে। আজ জীবিত আছে, কিন্তু কাল হয়তো মরণের আহবানে সাড়া দিতে হবে’ (আশ-শারহুল মুমতি‘, ৬/৪৪৬ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আযীযুর রহমান, খুলনা।