বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
উত্তর : সাহু সিজদা হল- ভুল সংশোধনী। ছালাতে ভুলক্রমে কোন ‘ওয়াজিব’ তরক হলে শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদ শেষে সালাম ফিরানোর পূর্বে সিজদায়ে সাহু দিতে হয়। রাক‘আতের গণনায় ভুল হলে বা সন্দেহ হলে বা কম বেশী হয়ে গেলে বা ১ম বৈঠকে না বসে সোজা দাঁড়িয়ে গেলে ইত্যাদি কারণে এবং মুক্তাদীগণের মাধ্যমে ভুল সংশোধিত হলে ‘সিজদায়ে সাহু’ আবশ্যক হয়। ছালাতের ওয়াজিব তরক হলে ‘সিজদায়ে সাহু’ ওয়াজিব হবে এবং সুন্নাত তরক হলে ‘সিজদায়ে সাহু’ সুন্নাত হবে (শাওকানী, আ-সায়লুল জাররার, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৭৪)। যদি ইমাম ছালাত অবস্থায় নিজের ভুল সম্পর্কে নিশ্চিত হন কিংবা সরবে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলার মাধ্যমে লোকমা দিয়ে মুক্তাদীগণ ভুল ধরিয়ে দেন, তাহলে তিনি শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদ, দরূদে ইবরাহীম ও অন্যান্য দু‘আ পড়ার শেষে তাকবীর দিয়ে পরপর দু’টি ‘সিজদায়ে সাহু’ দিবেন অতঃপর সালাম ফিরাবেন (ছহীহ মুসলিম, হা/৫৭১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৭৯৯; মিশকাত, হা/১০১৫)। আবার ইমাম যদি রাক‘আত বেশী পড়ে সালাম ফিরিয়ে দেন, অতঃপর ভুল ধরা পড়ে, তাহলে (পূর্বের ন্যায় বসে) তাকবীর দিয়ে ‘সিজদায়ে সাহু’ দিয়ে সালাম ফিরাতে হবে (ছহীহ বুখারী, হা/৪০৪, ১২২৬, ৭২৪৯; ছহীহ মুসলিম, হা/৫৭২; আবূ দাঊদ, হা/১০১৯; তিরমিযী, হা/৩৯২; নাসাঈ, হা/১২৫৪, ১২৫৬, ১২৫৯; মিশকাত, হা/১০১৬)।

এছাড়া ইমাম যদি রাক‘আত কম করে সালাম ফিরিয়ে দেন, তখন তাকবীর দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বাকী ছালাত আদায় করবেন ও সালাম ফিরাবেন। অতঃপর তাকবীর সহ দু’টি ‘সিজদাহে সাহু’ দিয়ে পুনরায় সালাম ফিরাবেন (ছহীহ বুখারী, হা/৪৮২; ছহীহ মুসলিম, হা/৫৭৩; আবূ দাঊদ, হা/১০০৮; নাসাঈ, হা/১২২৪; মিশকাত, হা/১০১৭)। অন্যদিকে যদি ছালাতের কমবেশী যাই-ই হোক সালামের আগে বা পরে দু’টি ‘সিজদায়ে সাহু’ দিবেন (ছহীহ মুসলিম, হা/৫৭২)। তবে ছালাতে ভুল করলে প্রায় মুছল্লী তাশাহ্হুদ পড়ে ডান দিকে একবার সালাম ফিরায় অতঃপর ‘সিজদায়ে সাহু’ দিয়ে আবার তাশাহ্হুদ পড়ে। এই আমল ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। বিশেষ করে একদিকে সালাম ফিরানোর কোন দলীলই নেই। একেবারেই ভিত্তিহীন। আর ‘সিজদায়ে সাহু’র পর তাশাহ্হুদ পড়া সম্পর্কে মাত্র একটি বর্ণনা এসেছে। কিন্তু সেটাও যঈফ (যঈফ আবূ দাঊদ, হা/১০৩৯, পৃঃ ৮৩; বিস্তারিত দ্র. তানক্বীহ, পৃ. ৩৩২-৩৫)। উক্ত হাদীছ ছহীহ হাদীছেরও বিরোধী। কারণ একই রাবী থেকে ছহীহ বুখারীতে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে তাশাহ্হুদ পড়ার কথা নেই (ছহীহ বুখারী, হা/৪৮২ (ইফাবা হা/৪৬৬); মিশকাত হা/১০১৭)।


প্রশ্নকারী : ওমর ফারুক, দিনাজপুর।




প্রশ্ন (৮) : গণতন্ত্র কি হারাম? যদি হারাম হয়, তাহলে হারাম প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকারের আনুগত্য করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : কাদিয়ানী কি বন্ধু হতে পারে? কাদিয়ানীদের সাথে কেমন ব্যবহার করা উচিত? তাদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : ইলম গ্রহণের ক্ষেত্রে সালাফদের মূলনীতি কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : বিদ‘আতী প্রতিষ্ঠানে দান করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : আমি নিঃসন্তান বিধবা মহিলা। আমার বয়স ৬০ বছর। আমার চাচি শাশুড়ি তাঁর ছেলেকে নিয়ে হজ্জে যাবেন। আমি কি তাদের সাথে হজ্জে যেতে পারব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : আমার স্ত্রী ২০২২ এর মার্চ মাসে সন্তান প্রসব করেন, সে জন্য এপ্রিলে ছিয়াম রাখতে পারেননি। পরের বছর সন্তানের বয়স কম থাকায় এবং বাচ্চা যথেষ্ট বুকের দুধ পাবে না, এই জন্য ২০২৩ এর ছিয়াম ও রাখেননি বা রাখতে পারেননি। এমতাবস্থায় আবার সে কনসেপ করে এবং এই রামাযানের (২০২৪) পরেই ডেলিভারি সম্ভব্য সময়। সে জন্য এই বছরের (২০২৪) ছিয়াম রাখতেও পারবে না। তাহলে তার মোট ৩ বারের ছিয়াম ক্বাযা হচ্ছে। এই অবস্থায় শারঈ বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : হাজারে আসওয়াদ পাথরটি প্রথমে সাদা ছিল। এটা এখন কালো হয়ে গেছে। এটা কালো কিভাবে হল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩): মসজিদে জনৈক ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের সময়সূচি অর্থাৎ ডিজিটাল ঘড়ি যা অত্যন্ত চাকচিক্য এবং সকল সময় কালারিং আলো জ্বলে। ঘড়িটি ইমামের ডান পাশে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। যা নিয়ে মুছল্লীদর দ্বিমত রয়েছে। ঘড়িটি ঐ স্থানে রাখা যাবে কিনা? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ‘ওশর’ শব্দের অর্থ কী? কৃষিপণ্যের যাকাতের নিছাব ও পরিমাণ কত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮): হাদীছে শুধু সোনা ও রূপার নিছাব বর্ণিত হয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা টাকার বা কাগুজে মুদ্রার নিছাব কিভাবে নির্ণয় করব, স্বর্ণের নিছাবের ভিত্তিতে, না-কি রৌপ্যের নিছাবের ভিত্তিতে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : সেলুনে কাজ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : কোন ব্যক্তি যদি কুরআনের মুছহাফ ব্যতীত মুখস্থ কুরআন তেলাওয়াত করে, তাহলে তার জন্য এক হাযার মর্যাদার সমান নেকী রয়েছে। আর যদি মাছহাফে কুরআন পড়া মুখস্থ পড়ার চেয়ে দুই হাজার মর্যাদার সমান রয়েছে (ত্বাবারাণী, আল-জামেঊল কাবীর হা/৬০১)। বর্ণনাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ