মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ন
উত্তর : মূলনীতি হল, যার কাছ থেকে ইলম গ্রহণ করা হবে, তার ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া এবং সে বিশ্বস্ত ও যোগ্য প্রমাণিত হওয়ার পর তার কাছ থেকে ইলম গ্রহণ করা। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘শেষ যুগে কিছু সংখ্যক প্রতারক ও মিথ্যাবাদী লোকের আবির্ভাব ঘটবে। তারা তোমাদের কাছে এমন সব হাদীছ বর্ণনা করবে, যা কখনও তোমরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা শোনোনি। সুতরাং তাদের থেকে সাবধান থাকবে এবং তাদেরকে তোমাদের থেকে দূরে রাখবে। তারা যেন তোমাদের বিভ্রান্ত না করতে পারে এবং তোমাদেরকে ফিতনায় না ফেলতে পারে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৭; মিশকাত, হা/১৫৪)। অন্য হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, প্রত্যেক আগত দলের মধ্যে সৎকর্মপরায়ণ ও নির্ভরযোগ্য মানুষ (কিতাব ও সুন্নাহর) এই ইলম গ্রহণ করবে। আর তারাই কিতাব ও সুন্নাহর ইলমের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘনকারী ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক কৃত রদবদল, বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচার এবং জাহিল ব্যক্তিদের ভুল ব্যাখ্যা খণ্ডন করবে’ (বাইহাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/২১৪৩৯; ইবনু বাত্বত্বাহ, ইবানাতুল কুবরা, হা/৩৪; মিশকাত, হা/২৪৮, সনদ ছহীহ)।

ইলম গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রখ্যাত তাবি‘ঈ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, إِنَّ هَذَا الْعِلْمَ دِيْنٌ فَانْظُرُوْا عَمَّنْ تَأْخُذُوْنَ دِيْنَكُمْ ‘নিশ্চয় এ ‘ইলম হলো দ্বীন। কাজেই কার কাছ থেকে তোমরা দ্বীন গ্রহণ করছ তা যাচাই করে নাও’ (ছহীহ মুসলিম, ‘ভূমিকা’; পরিচ্ছেদ-৫; দারেমী, হা/৪২৪; মিশকাত, হা/২৭৩, সনদ ছহীহ)। ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অন্য কাউকে অনুকরণ করতে চায়, তাহলে সে যেন যারা মারা গেছেন তাঁদের অনুকরণ করে। আর তাঁরা হচ্ছেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ছাহাবীগণ। তারা এ উম্মতের সবচেয়ে উত্তম লোক; অন্তরের দিক থেকে তারা নেককার, ইলমের দিক থেকে গভীর, কৃত্রিমতা প্রকাশে খুবই কম। তাঁরা এমন এক কাফেলা, যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবীর ছাহাবী হিসাবে মনোনীত করেছেন এবং দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য চয়ন করেছেন। সুতরাং তোমরা চরিত্র গঠনের ক্ষেত্রে এবং পথ চলার ক্ষেত্রে তাঁদের অনুকরণ কর; কারণ তাঁরা সকলেই ছিলেন সঠিক পথ ও হেদায়াতের উপর’ (ইমাম বাগাভী, শারহুস সুন্নাহ, হা/১০৪, ১/২১৪ পৃ.)। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমাদের কাছে আক্বীদা ও সুন্নাতের মূলনীতি হচ্ছে, রাসূল (ﷺ)-এর ছাহাবীগণ যে পথের উপর ছিলেন তা আঁকড়ে থাকা, তাদের অনুসরণ-অনুকরণ করা। কারণ তাঁরা অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। আর বিদ‘আতকে প্রত্যাখ্যান করা। প্রত্যেক বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা। তর্ক-বিতর্ক পরিত্যাগ করা। কেননা তা আহলুস সুন্নাহর বৈশিষ্ট্য নয়। বরং ঝগড়া, তর্ক-বিতর্ক করা বিদ‘আতীদের বৈশিষ্ট্য’ (লালকাঈ, শারহু উছূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাহ, ১১/৫ পৃ.)।

প্রশ্নকারী : মাযহারুল ইসলাম, মৌলভীবাজার।




প্রশ্ন (২) : মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর লাইভ আযানের উত্তর দিলে তার ছওয়াব পাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : কারো বিয়েতে যদি ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় মোহর না দেয়া হয় তবে পরবর্তীতে স্ত্রীকে মোহর হিসাবে জমি বা টাকা দিতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : টাকা দ্বারা ফিতরা দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : কারো নাম কি মাছুমা বিলকীস কিংবা শুধু মাছুমা রাখা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : সালাফী মানহাজ বলতে কী বুঝায়? সালাফীদের বৈশিষ্ট্য কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯): জনৈক ব্যক্তি পূর্বে হানাফী মাযহাব অনুসরণ করতেন। পরবর্তীতে সালাফী মানহাজের আলোকে চলার চেষ্টা করছেন। প্রশ্ন হল, সালাফী মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার জন্য কিভাবে অনুসরণ করা উচিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা‘আলাকে মুসলিম ও কাফির সবাই কি দেখতে পাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : চর্মরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কি তায়াম্মুম করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : কেমন মেয়েকে বিয়ে করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : তিরমিযীতে একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোন সন্তানহারা স্ত্রীলোককে সান্ত¡না দান করবে, তাকে জান্নাতে একটি ডোরা-কাটা কাপড় পরিধান করানো হবে’ (তিরমিযী, হা/১০৭৬)। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : জুমু‘আর দিন অনেকে মুছল্লীদের খিচুড়ি খাওয়ায়। এর ফলে মসজিদে অনেক হৈচৈ হয়। মসজিদে এরূপ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : মহিলারা কাঁচের চুড়ি অথবা বাজনাযুক্ত অলংকার পরিধান করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ