সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০২:২১ অপরাহ্ন
উত্তর : এটা শরী‘আত সম্মত নয়। যে কোন চিকিৎসা পদ্ধতি বৈধ হওয়ার জন্য দু’টি শর্ত জরুরী। (১) পদ্ধতিটি শরী‘আতসম্মত তথা কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক হতে হবে। (২) অথবা বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসাশাস্ত্র দ্বারা প্রমাণিত অর্থাৎ অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের বিবৃতি অনুযায়ী হতে হবে। অথচ আমাদের সমাজে যে পদ্ধতিতে জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীর ঝাড়ফুঁক করা হয়, তা মোটেও ইসলামী পদ্ধতি নয়। এটি কুসংস্কার বা যাদুকর্মের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এরূপ যাদুবৃত্তি, কবিরাজি ও জ্যোতিষীপনার মাধ্যমে জন্ডিস থেকে আরোগ্য লাভের ধারণা করা কস্মিনকালেও জায়েয নয়। কারণ এই পদ্ধতি সম্পর্কে না ইসলাম বলেছে আর না কোন ডাক্তার বলেছেন। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘গণক, ভবিষ্যদ্বক্তা, যাদুকর, ভেলকিবাজ ও কবিরাজের কাছে যাওয়া জায়েয নয়। বরং তাদের থেকে বিরত থাকা এবং তাদেরকে বিরত রাখা অপরিহার্য। কেননা রাসূল (ﷺ) বলেছেন,

مَنْ أتَى عَرَّافًا فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ، لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أرْبَعِيْنَ لَيْلَةً

‘যে ব্যক্তি কোন গণকের কাছে আসল, অতঃপর তাকে (ভাগ্য সম্পর্কে) কিছু জিজ্ঞাসা করল এবং গণকের কথাকে সত্য বলে বিশ্বাস করল, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার কোন ছালাত ক্ববুল হবে না’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে আসল, অতঃপর গণক যা বলল তা সত্য বলে বিশ্বাস করল, সে মূলত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর উপর যা নাযিল করা হয়েছে তা অস্বীকার করল’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২২৩০; আবূ দাঊদ, হা/৩৯০৪; তিরমিযী, হা/১৩৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৫৩৬)। তবে প্রয়োজনে দ্বীনদার, সৎ ও শুভাকাক্সক্ষী ব্যক্তির কাছে বৈধ ঝাড়ফুঁক করার জন্য যাওয়া জায়েয (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনু বায, ৮/১৫৮ পৃ.; কিতাবু ফাতাওয়া ফিত-তাওহীদ, পৃ. ৫৪)।


প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ মনীরুল ইসলাম, যশোর।





প্রশ্ন (১৮) : আক্বীদা ও মানহাজার মধ্যে পার্থক্য কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : জনৈক বক্তা বলেন, ‘যে অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছে, সে শহীদ হয়ে মারা গেছে। তাকে কবরের আযাব দেয়া হবে না এবং সকাল-সন্ধ্যায় তাকে জান্নাতের রিযিক দেয়া হবে’। উক্ত বর্ণনা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪২) : আমি একটি মেয়েকে ভালোবাসতাম। কিছু দিন শুধু কথা বলেছি। যখন জানতে পেরেছি এই সম্পর্ক হারাম  তখন ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু কথা বলার সময় কিছু ওয়াদা করেছিলাম। এখন কি সেই ওয়াদা পালন করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : (أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ) তথা ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মা‘বূদ নেই’ (وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًّا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ) ‘এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল’। এর প্রকৃত অর্থ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ কিভাবে পড়ব? ইয়া আল্লাহ, ইয়া রহমান এভাবে, নাকি আল্লাহ, আর রহমান এভাবে? জানিয়ে বাধিত করবেন। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : কোন ব্যক্তি যদি খেজুর গাছ লাগায়, বীজ বপন করে কিংবা অন্য কিছু লাগায় এবং তার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিছগণ এর থেকে উপকৃত হয়; তাহলে কি সে এর প্রতিদান পাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক শিক্ষামূলক অনেক প্রোগ্রামের আয়োজন করে। প্রশ্ন হল- এমন সূদী ব্যাংক থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : ছালাত সঠিক হওয়ার পরেও ইমাম যদি সাহু সিজদা দেন তাহলে কি ছালাত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : অনেকে ব্যাংক ও এনজিওয়ের সাথে জড়িত। তারা কিস্তি দেয়ার জন্য টাকা ধার চায়। তাদেরকে টাকা ধার দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : ক্বদরের রাত্রে সারা রাত নফল ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : ‘ষাট বছরের জীবনে কেউ এক ওয়াক্ত ছালাত ছেড়ে দিলেও সে কাফের’। সালাফদের থেকে এরকম কোন বক্তব্য পাওয়া যায় কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : আমি একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী। মাসে ৮-১০ দিন আমাকে টানা ২৪ ঘন্টা অফিস করতে হয়। এই দীর্ঘ সময়ে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় অফিসের অনেক হক্ব নষ্ট হয় যেমন অলসতা, গাফেলতি, ঘুম, ছলচাতুরী ও নেট ব্রাউজিং এর মাধ্যমে (যা চেষ্টা করলেও শতভাগ রক্ষা করা প্রায়ই অসম্ভব)। এমতাবস্থায় উপার্জনে হারামের সংশয় নিরসনে- এই হক্ব নষ্টের কোন কাফ্ফারা আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ