উত্তর : ইসলামে শর্তহীনভাবে মুক্তচিন্তা বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। মানুষকে যদি এ সুযোগ দেয়া হয় যে, সে যা মনে চায় তাই বলবে এবং মানুষের মাঝে চরম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিবে। ফলে শয়তানী সংশয়ের কারণে মানুষ পথভ্রষ্ট হবে। বর্তমান আধুনিক বিশ্বে তথাকথিত মত প্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কে শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এটি পরিত্যাজ্য এবং এর কোন ভিত্তি ইসলামে নেই, বরং বাতিল বিষয় নিষিদ্ধ করা এবং সত্য বিষয়ের অনুমতি দেয়া উচিত। যে কোন ব্যক্তির পক্ষে সাম্যবাদ, মূর্তিপূজা, ব্যভিচার, জুয়া বা অন্য কোন ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আহ্বানের জন্য উকালতি করা বৈধ নয়’ (https://www.islamweb.net/ar/fatwa/179315)।
সুবাইগ ইবনু ইসল নামক এক ব্যক্তি কুরআনে আয়াতে মুতাশাবিহ (অস্পষ্ট ও ব্যাখ্যা সাপেক্ষ) আয়াতগুলোর ব্যাপারে লোকজনকে জিজ্ঞেস করা শুরু করল। ... এরপর ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাকে খেজুরের লাঠি দিয়ে প্রহার শুরু করলেন। ... অতঃপর ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাকে দেশ থেকে বের করে দিয়ে তাকে লোকজনের সাথে উঠাবসা করতে নিষেধ করে দিলেন যেন, লোকজনের মধ্যে তার খারাপ প্রভাব না পড়ে (ইবনু বাত্তা ফিল ইবানাহ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৬০৯, হা/৭৮৯; লালকাঈ ফি শরহে উছূলি ই‘তিক্বাদি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৭০৬)।
সুতরাং ইসলামে নিঃশর্ত বাক-স্বাধীনতা বা দ্বিধাহীন মত প্রকাশের সুযোগ নেই। কেউ বিভিন্ন বিষয়ে মত দিতে পারে, কিন্তু তা যেন কুরআন, সুন্নাহ বা ইসলামের কোন মূলনীতির বিরোধী না হয় এবং তাকে কটাক্ষ করা না হয়। পক্ষান্তরে যদি এমন সব মত বা মতাদর্শ প্রচার করে, যা দ্বীনকে আঘাত করে বা দ্বীনের মর্যাদাহানি করে বা মানুষকে বিশ্বজগতের প্রতিপালক মহান আল্লাহর ইবাদত থেকে দূরে সরিয়ে দেয় তবে সেটি হবে যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণের মূলনীতি ও মূল শিক্ষার পরিপন্থী।
প্রশ্নকারী : হারুনুর রশীদ, সঊদী আরব।