উত্তর : রাত্রির বিশেষ নফল ছালাত তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ নামে পরিচিত। রামাযানে এশার পর প্রথম রাতে পড়লে তাকে ‘তারাবীহ’ এবং রামাযান ও অন্যান্য সময়ে শেষরাতে পড়লে তাকে ‘তাহাজ্জুদ’ বলা হয়। রাত্রির ছালাত বা ‘ছালাতুল লায়েল’ নফল হলেও তা খুবই ফযীলতপূর্ণ। যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, أَفْضَلُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلَاةُ اللَّيْلِ ‘ফরয ছালাতের পরে সর্বোত্তম ছালাত হল রাত্রির (নফল) ছালাত’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬৩; মিশকাত, হা/২০৩৯)। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পালনকর্তা মহান আল্লাহ প্রতি রাতের তৃতীয় প্রহরে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, কে আছ আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কে আছ আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করব? কে আছ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব? এভাবে তিনি ফজর স্পষ্ট হওয়া পর্যন্ত আহ্বান করেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৭৭৩; মিশকাত, হা/১২২৩)।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রামাযান মাসের ২৩, ২৫ ও ২৭ তিন রাত্রি মসজিদে জামা‘আতের সাথে তারাবীহর ছালাত আদায় করেছেন। প্রথম দিন রাত্রির এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত, দ্বিতীয় দিন অর্ধ রাত্রি পর্যন্ত এবং তৃতীয় দিন নিজের স্ত্রী-পরিবার ও মুছল্লীদের নিয়ে সাহারীর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ছালাত আদায় করেন (আবূ দাঊদ, হা/১৩৭৫; নাসাঈ, হা/১৩৬৪; মিশকাত, হা/১২৯৮, সনদ ছহীহ)। উল্লেখ্য, তারাবীহর ছালাতে অসংখ্য মর্যাদা রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রামাযানের রাত্রিতে ঈমানের সাথে ও ছওয়াবের আশায় রাত্রির ছালাত আদায় করে, তার বিগত সকল গোনাহ মাফ করা হয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৫৯; মিশকাত, হা/১২৯৬) ।
প্রশ্নকারী : মিনহাজ পারভেজ, হড়গ্রাম, রাজশাহী।