সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:০৫ অপরাহ্ন
উত্তর : রাত্রির বিশেষ নফল ছালাত তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ নামে পরিচিত। রামাযানে এশার পর প্রথম রাতে পড়লে তাকে ‘তারাবীহ’ এবং রামাযান ও অন্যান্য সময়ে শেষরাতে পড়লে তাকে ‘তাহাজ্জুদ’ বলা হয়। রাত্রির ছালাত বা ‘ছালাতুল লায়েল’ নফল হলেও তা খুবই ফযীলতপূর্ণ। যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, أَفْضَلُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلَاةُ اللَّيْلِ ‘ফরয ছালাতের পরে সর্বোত্তম ছালাত হল রাত্রির (নফল) ছালাত’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬৩; মিশকাত, হা/২০৩৯)। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পালনকর্তা মহান আল্লাহ প্রতি রাতের তৃতীয় প্রহরে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, কে আছ আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কে আছ আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করব? কে আছ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব? এভাবে তিনি ফজর স্পষ্ট হওয়া পর্যন্ত আহ্বান করেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৭৭৩; মিশকাত, হা/১২২৩)।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রামাযান মাসের ২৩, ২৫ ও ২৭ তিন রাত্রি মসজিদে জামা‘আতের সাথে তারাবীহর ছালাত আদায় করেছেন। প্রথম দিন রাত্রির এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত, দ্বিতীয় দিন অর্ধ রাত্রি পর্যন্ত এবং তৃতীয় দিন নিজের স্ত্রী-পরিবার ও মুছল্লীদের নিয়ে সাহারীর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ছালাত আদায় করেন (আবূ দাঊদ, হা/১৩৭৫; নাসাঈ, হা/১৩৬৪; মিশকাত, হা/১২৯৮, সনদ ছহীহ)। উল্লেখ্য, তারাবীহর ছালাতে অসংখ্য মর্যাদা রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রামাযানের রাত্রিতে ঈমানের সাথে ও ছওয়াবের আশায় রাত্রির ছালাত আদায় করে, তার বিগত সকল গোনাহ মাফ করা হয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৫৯; মিশকাত, হা/১২৯৬) ।


প্রশ্নকারী : মিনহাজ পারভেজ, হড়গ্রাম, রাজশাহী।





প্রশ্ন (৩৯) : জনৈক বক্তা বলেন, যে বান্দা রামাযানের ছিয়াম পালন করে তার সাথে প্রত্যেক দিন তাঁবুতে সুরক্ষিত হুরদের মধ্য হতে একজনকে বিবাহ দিয়ে দেন। প্রত্যেক স্ত্রীর সাথে ৭০টি দামী কাপড় থাকবে। প্রত্যেকটির রং হবে পৃথক পৃথক। তাকে ৭০ প্রকারের সুগন্ধিযুক্ত রং দেয়া হবে। এক রঙের সাথে অন্য রঙ মিলবে না। প্রত্যেকেই বসে থাকবে হীরার খাটে, যাতে মুক্তা দ্বারা বিন্যস্ত করা থাকবে ৭০টি বিছানা, যার আস্তর থাকবে রেশমের। ৭০টি বিছানার উপর থাকবে ৭০টি পালঙ্ক। প্রত্যের স্ত্রীর জন্য থাকবে ৭০ জন্য সেবিকা, যারা তার সেবা করবে। আর ৭০ জন সেবিকা থাকবে তার সাথে মুলাক্বাতের জন্য। আর প্রত্যেক সহচরের সাথে থাকবে অনেক সম্ভ্রান্ত সাথী। জান্নাতে স্বর্ণের পাত্র থাকবে তাতে বিভিন্ন রঙের খাবার থাকবে। প্রথম যে স্বাদ পাওয়া যাবে শেষেও সে স্বাদ পাওয়া যাবে। আর তার স্বামীকেও অনুরূপ লাল হীরার খাট দেয়া হবে, যার উপর দু’টি স্বর্ণের বালা থাকবে, যা বিন্যস্ত থাকবে লাল হীরা দ্বারা। এটা রামাযানের প্রত্যেক দিন ছিয়াম পালনকারীর জন্য, অন্য নেক আমলের জন্য নয় (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর হা/৯৬৭)। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : ফ্রিল্যান্সিং শিখে অর্থ-উপার্জন করা হালাল হবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : বিধবা অথবা তালাক্বপ্রাপ্ত মেয়ে পিতা-মাতার অনুমতি ছাড়া বিবাহ করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : জনৈক বক্তা বলেন, বায়‘আত না করলে জাহেলিয়াতের মৃত্যু হবে। তাই ইসলামী দলের নেতা বা আমীরের হাতে বায়‘আত না করলে জান্নাত পাওয়া যাবে না। আরে হাদীছে এসেছে, যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করল এমন অবস্থায় যে, তার গর্দানে বায়‘আত নেই, সে জাহেলী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল (মুসলিম হা/১৮৫১)। উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যা কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : সমকামী অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা পাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : কা‘বা গৃহের হাজারে আসওয়াদ কি জান্নাতের পাথর? এটি কালো কেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : মজলিসের শেষের দু‘আ একাকী পড়া যাবে কি? না-কি একজন বলে দিবে আর সবাই তার সাথে সাথে বলবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : শবে মি‘রাজ উপলক্ষে ছিয়াম পালন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : ফের্কাবন্দীর পরিণতি কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : হজ্জ করতে গিয়ে সেখান থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে কোন পণ্য নিয়ে আসা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : অসাবধানতাবসত পেশাবের ফোঁটা শরীরে বা কাপড়ে লেগে গেলে করণীয় কী? আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৩) : সমাজের অধিকাংশ মসজিদে দেখা যায় যে, ছালাতে তারা নাভীর নীচে হাত বেঁধে থাকে। প্রশ্ন হল- নাভীর নীচে হাত বাঁধার দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ