উত্তর : সপ্তম দিনে আক্বীক্বা করা সুন্নাত (আবুদাঊদ হা/২৮৩৮; ইবনু মাজাহ হা/৩১৬৫, সনদ ছহীহ)। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ সাত দিনের পরে আক্বীক্বা করবে না (নায়লুল আওত্বার, ৬/২৬১ পৃ.)। তবে সঙ্গত কারণে যদি সময়মত আক্বীক্বা করা সম্ভব না হয়, পরবর্তীতে সুযোগ মত যেকোন সময় আক্বীক্বা করা যায় (ইবনুল ক্বাইয়িম, তুহফাতুল মাওদূদ, পৃ. ৬৩; আলবানী, সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, অডিও ক্লিপ নং-১৯৯; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমা, ফৎওয়া নং-১৭৭৬; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল লিউছায়মীন, ২৫/২১৫ পৃ.)। বিদ্বানগণের মতে, সাত দিনে আক্বীক্বার বিষয়টি সীমা নির্দেশমূলক নয়, বরং এখতিয়ার মূলক।
ইমাম শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘সাত দিনে আক্বীক্বার অর্থ হল, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ সাত দিনের পরে আক্বীক্বা করবে না’ (নায়লুল আওত্বার, ৬/২৬১ পৃ.)। অভিভাবক আক্বীক্বা না দিলে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে নিজেই নিজের আক্বীক্বা করতে পারে (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী, মাসআলা নং-৭৮৯৮; মাজমূঊ ফাতাওয়া বিন ইবনি বায, ২৬/২৬৬ পৃ.)। খ্যাতনামা তাবেঈ মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যদি আমি জানতাম যে, আমার পক্ষে আক্বীক্বা দেয়া হয়নি, তবে অবশ্যই আমি নিজেই নিজের আক্বীক্বা করতাম (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, হা/২৪৭১৮; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২৭২৬-এর আলোচনা দ্র.)। হাসান বছরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলতেন যে, ‘যদি তোমার পক্ষ থেকে আক্বীক্বা দেয়া না হয়, তবে তুমি নিজেই নিজের আক্বীক্বা দাও, যদিও তুমি বয়ঃপ্রাপ্ত ব্যক্তি হও’ (ইবনু হাযম, মুহাল্লা, ৬/২৪০ পৃ.; সনদ হাসান, আলবানী, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২৭২৬-এর আলোচনা দ্র.)। আক্বীক্বার ক্ষেত্রে গরু ও মহিষ দেয়ার ছহীহ দলীল নেই।
প্রশ্নকারী : ইয়াসমিন, রাণীগঞ্জ, দিনাজপুর।