শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
উত্তর : জীব-জন্তুর ছবি তোলা বা অঙ্কন করা হারাম। যখন জীব-জন্তুর ছবি তোলা হারাম, তখন ছবি নির্মাণ করার পর তা বিক্রয় করে অর্থোপার্জন করাও হারাম (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১/৭১০ পৃ.; ফাতাওয়া নং-৬৪০২)। একই প্রশ্ন শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ)-কে করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘জীব-জন্তুর ছবি তোলা বা তৈরি করা নাজায়েয। যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামত দিবসে মানুষের মধ্যে সর্বাধিক কঠিন শাস্তি তাদের হবে, যারা ছবি নির্মাতা’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৫০; ছহীহ মুসলিম, হা/২১০৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৫৫৮)।

তবে প্রয়োজনে কিছু ক্ষেত্রে ছবি তোলা বৈধ। যেমন পাসপোর্ট, ভিসা, ভোটার কার্ড, আইডেন্টিটি কার্ড, লাইসেন্স, ইত্যাদি বিশেষ প্রয়োজনীয় কারণে ছবি তোলা জায়েয। কেননা ইসলামী শরী‘আতের স্থিরীকৃত নীতিমালাসমূহের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে অবৈধ জিনিস তৈরির অনুমতি প্রদান করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, فَمَنِ اضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ  غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ‘কিন্তু যে নিরুপায় হয়ে অন্যায়কারী এবং সীমালঙ্ঘনকারী না হয়ে তা গ্রহণে বাধ্য হয়েছে তার কোন পাপ হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ‌ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৭৩; সূরা আন-আন‘আম : ১৪৫; সূরা আন-নাহল : ১১৫)। উল্লেখ্য, ঘনঘন প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তনের বাহানায়, নিত্য নতুন স্টেটাস দেয়ার অজুহাতে ছবি তোলা হারাম। কেননা এগুলো বিশেষ প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত নয়।

দ্বিতীয়তঃ মানবজাতির সৃষ্টিগত শারীরিক অবয়বের সৌন্দর্যকে এডিটের মাধ্যমে বিকৃত করে কৃত্রিমভাবে সৌন্দর্য সৃষ্টি করা ইসলামে নিষিদ্ধ ও গর্হিত অপরাধ। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘যিনি তাঁর প্রতিটি সৃষ্টিকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানুষ সৃষ্টির সূচনা করেছেন’ (সূরা আস-সাজদাহ :৭)। অর্থাৎ তিনি যেভাবে সৃষ্টি করেছেন সেটাই সর্বোত্তম ও সর্বাধিক সুন্দর। শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘চিরস্থায়ীভাবে মুখমণ্ডলের রঙকে পরিবর্তন করা জায়েয নয়। কেননা মানবজাতির সৃষ্টিগত শারীরিক অবয়বের সৌন্দর্যকে বিকৃত করে কৃত্রিমভাবে সৌন্দর্য সৃষ্টি করা ইসলামে নিষিদ্ধ এবং এটি শয়তানী কার্যকলাপের অন্তর্ভুক্ত। অতএব আমাদের সকলের জন্যই এ সমস্ত শয়তানী কর্মপ্রবাহ থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য। কেননা শয়তান নিজে বলছে, وَ لَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰہِ ‘আর অবশ্যই আমি তাদেরকে নির্দেশ দেব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে’ (সূরা আন-নিসা : ১১৯)। যেহেতু আমরা আল্লাহর দাস। তাই শয়তানের গোলামী বন্ধ করতে হবে (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দার্ব, ১১/৭০-৭১ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : আযীযুর রহমান, বিআরটিএ, মীরপুর, ঢাকা।




প্রশ্ন (৪৮) : মানুষ মারা গেলে চল্লিশা করা কি ঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : আশূরার দিন সংঘটিত হওয়া কোন্ কোন্ ঘটনা ছহীহ ও প্রমাণিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : নবী (ﷺ)-এর ছাহাবী দাহিয়া কালবী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ইসলাম গ্রহণের পূর্বে তার নিজের মেয়েকে নিষ্ঠুরভাবে পর্বতে নিয়ে হত্যা করেছিল। এই বিষয়টি তিনি ইসলাম গ্রহণের পর নবী (ﷺ)-এর কাছে বর্ণনা করেন। উক্ত ঘটনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : জাহান্নামের স্তর কয়টি? কারা কোন্ স্তরে প্রবেশ করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : নাপাক বা ওযূবিহীন অবস্থায় ইমামতি করলে ইমাম-মুক্তাদি উভয়কেই পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে? নাকি শুধু ইমাম আদায় করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : ইলম গ্রহণের ক্ষেত্রে সালাফদের মূলনীতি কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : প্রতি বছর ‘আরাফার দিন (৯ যিলহজ্জ) ছিয়াম রাখা সুন্নাত। কিন্তু বাংলাদেশের হিসাব অনুযায়ী সাধারণত ৮ কিংবা ৭ যিলহজ্জ তারিখে ‘আরাফা হয়। এক্ষণে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : তওবা করার পর পুনরায় সেই পাপ হয়ে গেলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : বিয়ের সময় পাত্রীকে সাজানোর জন্য পোশাক ও বিভিন্ন কসমেটিকস দেয়া হয়। সেইগুলো কি দেনমোহর হিসাবে ধরা যাবে? দেনমোহরের পরিমাণ কত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : অনেককে দেখা যায় মসজিদে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় না করে ঘরে ৩/৪ জন মিলে জামা‘আতে ছালাত আদায় করে। এটা কি ঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : আমাদের এলাকায় কিছু মানুষকে হাই উঠলে ‘লা হাওলা ওয়া কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলে থাকে। এরূপ বলার কোন দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : বিতর ছালাত ছুটে গেলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ