বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
উত্তর : ছহীহ হাদীছ থেকে বুঝা যায় যে, আরাফার দিনে ছিয়াম পালন করতে হবে, যদিও এ বিষয়ে সামান্য মতভেদ রয়েছে। কারণ ছিয়ামের ফযীলতটা আরাফার দিনের কারণেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘আরাফা দিবসের (يوم عرفة) ছিয়ামের ব্যাপারে আল্লাহর নিকট আশা করি যে, তিনি এর মাধ্যমে পূর্বের এক বছরের এবং পরের এক বছরের পাপ মোচন করে দিবেন (ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬২; মিশকাত, হা/২০৪৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৯৪১, ৪/২৫০-৫১ পৃ.)। শাইখ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ)-এর তত্ত্বাবধানে সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ড আরাফার দিন সম্পর্কে বলেছে, يوم عرفة هو اليوم الذي يقف الناس فيه بعرفة ‘যেদিন হাজীগণ আরাফার মাঠে অবস্থান করেন সেটা আরাফার দিন’ (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ১০/৩৯৩ পৃ.)। বোর্ড এই বক্তব্যকেই প্রাধান্য দিয়েছে (https://t.ly/bfwj)। বোর্ড আরো উল্লেখ করেছে যে, ‘কেউ চাইলে আগে বা পরেও রাখতে পারে’ (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ১০/৩৯৩ পৃ.)। শাইখ সুলায়মান আর-রুহায়লী বলেন, ‘এই দিনটা আরাফার মাঠের সাথে সম্পৃক্ত। আর আরাফার মাঠ অন্যান্য দেশে নেই, এটা সঊদীতে অবস্থিত। তাই সম্ভব হলে এ দিনেই ছিয়াম রাখবে। যদি এই দিনটি অন্যদের ঈদের দিনের সাথে মিলে যায়, তবে তারা আগের দিন রাখবে’ (https://t.ly/BHWU)। শাইখ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘চাঁদের বিষয় নিয়ে আলেমদের মধ্যে ইখতিলাফ রয়েছে। তিনি অন্যান্য ছিয়ামের মত আরাফার ছিয়ামকেও নিজ নিজ দেশের ৯ তারিখ অনুযায়ী রাখার মতকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন এবং আম দলীল পেশ করেছেন’ (উছায়মীন, মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ২০তম খণ্ড, পৃ. ২৮)। উভয় মতের পক্ষে আরো আলোচনা আছে।

এখানে স্পষ্ট হচ্ছে যে, সঊদী আরবের ফাতাওয়া বোর্ড, শাইখ বিন বায, শাইখ উছায়মীন, প্রফেসর ড. সুলায়মান আর-রুহায়লী সবাই অন্যান্য ছিয়াম নিজ নিজ ভূখণ্ডের চাঁদ অনুযায়ী রাখার কথা বলেছেন। কিন্তু আরাফার ছিয়ামকে সঊদী আরবের ফাতাওয়া বোর্ড, শাইখ রুহায়লী আরাফার দিনের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন এবং আগে বা পরে রাখার বিষয়েও ছাড় দিয়েছেন। আর শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) অন্যান্য ছিয়ামের মত আরাফার ছিয়ামকেও নিজ নিজ দেশের চাঁদ অনুযায়ী রাখার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। এখানেই সামান্য ইখতিলাফ।

অন্যদিকে নফল ছিয়াম আগে বা পরে রাখার ক্ষেত্রে যে ছাড় রয়েছে, তা স্পষ্ট। যেমন- আইয়ামে বীয-এর ছিয়াম পালনকারী ব্যক্তিগণ যিলহজ্জ মাসে ১৪ ও ১৫ তারিখে ২ দিন ছিয়াম পালন করতে পারেন। যেহেতু ১৩ তারিখ তাশরীক্বের মধ্যে পড়ে যায়, যেদিন ছিয়াম রাখা নিষিদ্ধ। তাই পরের দু’দিন ছিয়াম পালন করলেই যথেষ্ট হবে (নাসাঈ, হা/২৪৩৪, ২৩৯৪, সনদ ছহীহ)। এছাড়া চাইলে ১৬ তারিখ বা ঐ মাসের অন্য কোন দিনে অবশিষ্ট একটি ছিয়াম রাখতে পারবে (আবূ দাঊদ, হা/২৪৫৩, সনদ ছহীহ; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘উ ফাতাওয়া, ১৫তম খণ্ড, পৃ. ৩৮০)। অতএব এ বিষয়ে যিদ করা উচিত নয়। আল্লাহই অধিক অবগত।

প্রশ্নকারী : হাবীবুল্লাহ, উত্তরা, ঢাকা।





প্রশ্ন (১৬) : সূরা আন-নূরের ২৬ নং আয়াতের আলোকে বলা হয়, ‘যে যেমন তার জীবনসঙ্গী তেমন হবে’। কথাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : সাহু সিজদা দেয়ার কারণগুলো কী কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : রাতে ঘুমানোর সময় ওযূ ছাড়াই আয়াতুল কুরছি, সূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : জনৈক আলেম ফৎওয়া দিয়েছেন যে, হানাফী এলাকাতে আছরের ছালাত শেষ ওয়াক্তে হওয়ায় এবং সেই এলাকায় আহলেহাদীছ মসজিদ না থাকলে বাড়িতে ছালাত আদায় করা যাবে। প্রশ্ন হল, এটা কি শরী‘আতসম্মত? আওয়াল ওয়াক্তে একাকী ফরয ছালাত পড়া উত্তম হবে, না-কি শেষ ওয়াক্ত হলেও জামা‘আতে ছালাত আদায় করা উত্তম হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : টিকটিকি মারার ফযীলত সংক্রান্ত কয়েকটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। অনেকেই বলে, তা টিকটিকি নয়, বরং তা গিরগিটি কিংবা কাঁকলাস মারতে হবে। এর সঠিক অর্থ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৮) : কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ করলে বৈধ হবে কি? বিবাহ হয়ে থাকলে আবার বিয়ে পড়াতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : জনৈক আলোচক বলেন, ইখতিলাফের সময় আমার সুন্নাতের উপর অটল থাকা আগুনের অঙ্গার মুষ্ঠিবদ্ধ ধরে রাখার মত কঠিন হবে। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : সূরা ইয়াসীন ও ত্বা-হা পাঠের ফযীলত বর্ণনায় বলা হয় যে, আল্লাহ তা‘আলা আসমান ও যমীন সৃষ্টির এক হাযার বছর পূর্বে সূরা ‘ত্বা-হা’ ও ‘ইয়াসীন’ পাঠ করলেন। তখন ফেরেশতারা শুনে বললেন, ধন্য সেই জাতি, যাদের উপর এটা নাযিল হবে, ধন্য সেই পেট যে সেটা ধারণ করবে এবং ধন্য সেই মুখ যে সেটা উচ্চারণ করবে (দারেমী, হা/৩৪১৪; মিশকাত, হা/২১৪৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/২০৪৫, ৫/১৮ পৃ.)। বর্ণনাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪২) : শ্বশুরকে ‘আব্বা’ ও শাশুড়িকে ‘মা’ বলে ডাকা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : দীর্ঘ ৪/৫ বছর ধরে দুই বোনের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। কারণ এক বোনের ছেলেরা তার মাকে তাদের খালার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে তারা আবার সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু সমস্যা হল- অন্য বোনের মেয়েরা তার মাকে বলছে যে, খালা তার ছেলেদের কথায় আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখেননি এখন তুমিও খালার সাথে সম্পর্ক রাখবে না। কিন্তু তিনি তার বোনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাচ্ছেন না। তখন তার মেয়েরা বলছে, হয় খালার সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে, না হয় মেয়েদের সাথে। এই বলে মেয়েরা মায়ের উপর রাগ করে দীর্ঘদিন কথা বলে না। প্রশ্ন হল- মেয়েরা কী ধরনের গুনাহ করছে? এই ক্ষেত্রে মায়ের করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : কুরআনের আয়াত ও বিভিন্ন হাদীছ মানসূখ হওয়ার কারণ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : ইলিয়াসী তাবলীগের এক ব্যক্তি বলেন, নাফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হল, বড় জিহাদ। আর যুদ্ধের মাঠে কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ছোট জিহাদ। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ