উত্তর : ইমাম নববী, শায়খ ইবনু বায, শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুমুল্লাহ), শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) ও সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেন, ‘প্রয়োজনে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করতে পারে’ (শারহুল মুসলিম, ৪/৩২ পৃ.; ফাতাওয়া আল-মার’আহ, পৃ. ১২১; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৫/৩৩৯-৩৪১ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৬৯৭৬)। আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেছেন, ‘(মুমিন তারাই) যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত ও সুরক্ষিত রাখে। নিজেদের স্ত্রী বা অধিকারভুক্ত দাসীগণ ব্যতীত, এতে তারা নিন্দিত হবে না। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে, তারাই হবে সীমালংঘনকারী’ (সূরা আল-মুমিনূন : ৫-৭)।
রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘স্বীয় স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ব্যতীত সকল মানুষ হতে তোমার লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে...’ (আবূ দাঊদ, হা/৪০১৭; তিরমিযী, হা/২৭৯৪; ইবনু মাজাহ, হা/১৯২০; ইরওয়াউল গালীল, হা/১৮১০; সনদ হাসান, ছহীহুল জামি‘, হা/২০৩; মিশকাত, হা/৩১১৭)। ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) অনুচ্ছেদ রচনা করেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর এক সাথে গোসল’ নামে (ছহীহ বুখারী, অধ্যায় নং-৫, অনুচ্ছেদ নং-২)। অতঃপর তিনি নিম্নোক্ত হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। আম্মা আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, আমি ও নবী (ﷺ) একই পাত্র হতে পানি নিয়ে গোসল করতাম। সেই পাত্রকে ফারাক বলা হত (ছহীহ বুখারী, হা/২৫০, ২৬১, ২৬৩, ২৭৩, ২৯৯, ৫৯৫৬, ৭৩৩৯; সহীহ মুসলিম, হা/৩১৯)। ইবনু হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, স্বামী-স্ত্রীর জন্য একে অপরের লজ্জাস্থান দেখা জায়েয (ফাৎহুল বারী, ১/৩৬৪ পৃ.)।
উল্লেখ্য, আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, আমি রাসূল (ﷺ)-এর গোপন স্থান কখনো দেখিনি’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু মাজাহ, হা/৬৬২, সনদ যঈফ)। এছাড়া সহবাসের সময় গোপনস্থান দেখলে ব্যক্তি অন্ধ হয়ে যায়’ মর্মে বর্ণনাটি মাওযূ‘ বা জাল’ (সিলসিলা যঈফাহ, হা/১৯৫; আল-মাওযূ‘আত, ২/২৭১-২৭২ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল আলীম বিন মঈনুল হক, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।