উত্তর : উক্ত কথা পক্ষে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তাই এর প্রতি আমল করা যাবে না। এ ধরনের কথা প্রচার করা মহা অন্যায় (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১১১৯৬৪)। নিঃসন্দেহে গোটা কুরআনুল কারীম কল্যাণ, বরকত ও রহমতে পরিপূর্ণ। কিন্তু তার মানে এ নয় যে, আমরা যা কিছু নিজেদের জন্য কিংবা আমাদের সন্তানদের জন্য পেতে চাই সেটাকে কুরআনের দিকে সম্পৃক্ত করব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তিনিই মাতৃগর্ভে যেভাবে চান তোমাদের আকৃতি গড়েন। তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি পরাক্রমশালী, পরম প্রাজ্ঞ’ (সূরা আলে ইমরান: ৬)। ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘অর্থাৎ সুশ্রী, অসুশ্রী, কালো, সাদা, লম্বা, খাটো, বিকলাঙ্গ বা নিখুঁত ইত্যাদি হওয়া’ (আল-জামিঊ লি আহকামিল কুরআন, ১/৯২৭ পৃ.)। তবে গর্ভবতী নারীর জন্য কুরআনুল কারীমের তিলাওয়াত শ্রবণের অভ্যাস করায় কোন আপত্তি নেই। যেহেতু চিকিৎসা-শাস্ত্রের গবেষণাগুলোতে গর্ভস্থিত সন্তান বর্হিজগতের শব্দ দ্বারা প্রভাবিত হওয়া সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং সে শব্দটি যদি তিলাওয়াতকারীর শব্দ হয়, তাহলে তা কতইনা উত্তম। আশা করা যায় এর মাধ্যমে এই ভ্রƒণের জন্য কল্যাণ ও বরকত রয়েছে। তবে সেই কল্যাণটা কী তা নির্দিষ্ট করা যাবে না।
প্রশ্নকারী : সুমাইয়া, পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা।