উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اَوَ مَنۡ یُّنَشَّؤُا فِی الۡحِلۡیَۃِ وَ ہُوَ فِی الۡخِصَامِ غَیۡرُ مُبِیۡنٍ ‘আর যে অলংকারে লালিত-পালিত হয় এবং বিতর্ককালে সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রদানে অক্ষম’ (সূরা আয-যুখরূফ : ১৮)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, قُلۡ مَنۡ حَرَّمَ زِیۡنَۃَ اللّٰہِ الَّتِیۡۤ اَخۡرَجَ لِعِبَادِہٖ وَ الطَّیِّبٰتِ مِنَ الرِّزۡقِ ‘(হে নবী!) আপনি বলুন, আল্লাহ নিজের বান্দাদের জন্য যেসব সুশোভন বস্তু বা সৌন্দর্যোপকরণ ও বিশুদ্ধ জীবিকা সৃষ্টি করেছেন তা কে হারাম করেছে’? (সূরা আল-আ‘রাফ : ৩২)।
বিশেষভাবে বিবাহিতা মহিলাদের ক্ষেত্রে লিপিস্টিক, ব্লাশার (blush) বা অন্যান্য সৌন্দর্যোপকরণ ব্যবহার করা দোষণীয় নয় (উছায়মীন, মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ২য় খণ্ড, পৃ. ৮২৮)। শায়খ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ বলেন, এই সমস্ত সাজসজ্জার উপকরণগুলো জায়েয হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত আছে। ১. পরপুরুষের সামনে সৌন্দর্য প্রদর্শন উদ্দেশ্যে না করা (সূরা আন-নূর : ৩১)। ২. উক্ত সুশোভন বস্তু কোন হারাম জিনিস দ্বারা নির্মিত না হওয়া। যেমন শুকুরের চর্বি (সূরা আন-আন‘আম : ১৪৫)। ৩. সেগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকারক না হওয়া (ইসলাম সুওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৩৪৬৬)।
প্রশ্নকারী : মামুন বিন হাশমত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।