উত্তর : ঋতুবতী মহিলাদের জন্য মুখস্থ কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয। ঋতুবতী মহিলা কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবে না মর্মে স্পষ্ট কোন ছহীহ দলীল নেই। ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ليس في منع الحائض من القراءة نصوص صريحة صحيحة ‘ঋতুবতী নারীদের কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না মর্মে কোন স্পষ্ট কোন ছহীহ দলীল নেই’ (ফাতাওয়াউল ইসলাম সুওয়াল ওয়া জাওয়াব, প্রশ্ন নং-২৫৬৪)।
এটা সর্বজন বিদিত যে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে মহিলা ছাহাবীদের হায়েয আসত কিন্তু তাদেরকে কুরআন তেলাওয়াত করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে এরকম কোন প্রমাণ নেই। যেমন যিকির আযকার ও দু‘আ থেকে নিষেধ করা হয়নি, তেমনি কুরআন তেলাওয়াত থেকেও নিষেধ করা হয়নি। তবে বড় নাপাকী অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করে তেলাওয়াত করা হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘পবিত্রতা অর্জনকারী ব্যতীত অন্য কেউ তা স্পর্শ করে না’ (সূরা আল-ওয়াক্বি‘আহ : ৭৯)। আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়ামানবাসীদের জন্য আমর ইবনু হাযম (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে লিখে পাঠিয়েছিলেন, لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ ‘পবিত্রতা অর্জন ব্যতীত কেউ যেন কুরআন স্পর্শ না করে’ (মুওয়াত্ত্বা মালেক, হা/৬৮০; দারাকুৎনী, হা/৪৪৯; শু‘আবুল ঈমান, হা/২১১১, সনদ ছহীহ)। এছাড়া হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণ করাতেও কোন সমস্যা নেই (মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৬১৪, সনদ ছহীহ)।
উল্লেখ্য, ‘ঋতুবতী মহিলাগণের কুরআন তেলাওয়াত করা হারাম, যতক্ষণ পর্যন্ত পবিত্রতা অর্জন না করবে’ মর্মে বক্তব্যটি শক্তিশালী নয়। কারণ এমর্মে বর্ণিত দলীলগুলো যঈফ (যঈফ তিরমিযী, হা/১৩১; মিশকাত, হা/৪৬১; যঈফ ইবনু মাজাহ, হা/৫৯৪; মিশকাত, হা/৪৬০)।
প্রশ্নকারী : হাফছা, খুলনা।