সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:০৯ অপরাহ্ন
উত্তর : আল্লাহর উক্ত বাণীর দ্বারা যাদেরকে বুঝানো হয়েছে, তারা হলেন- আলেম, ফক্বহী ও শাসকগণ। যেমন, (ক). আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেছেন, أهل الفقه والدين ‘ফিক্বহ ও দ্বীনের অনুসারী’। অনুরূপভাবে মুজাহিদ, ‘আত্বা এবং হাসান বাছরীও একই কথা বলেছেন। আবুল ‘আলিয়া বলেন, العلماء তথা আলেমগণ (ইবনু কাছীর, তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৫)। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) ও জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন যে, هُمُ الفُقَهَاءُ والعلماءُ الَّذِينَ يعلِّمُونَ النَّاسَ دينهم ‘তারা হলেন ফক্বীহগণ এবং আলেমগণ, যারা মানুষদেরকে দ্বীন শিক্ষা দিয়ে থাকেন’ (আল-লুবাবু ফী ঊলূমিল কিতাব, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪৪১)। (খ). আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন, هم الأمراء ‘তারা হলেন শাসকগণ’ (ইমাম তাবারী, জামেঊল বায়ান ফী তা’বিলীল কুরআন, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৪৯৭; শাওকানী, ফাৎহুল ক্বাদীর, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৬৬)।

(গ). বিখ্যাত তাবেঈ ‘আত্বা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, أولو العلم والفقه وطاعة الرسول اتباع الكتاب والسنة ‘তারা হলেন ইলমের অধিকারীগণ, যারা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করে তথা কিতাব ও সুন্নাতের অনুসরণ করে’ (সুনানুদ দারেমী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৮৩, আছার নং-২১৯, সনদ ছহীহ)। অন্যত্র তিনি বলেন, الفقهاء والعلماء ‘তারা হলেন ফক্বীহগণ এবং আলেমগণ’ (জামি‘ঊল বায়ান ফী তা’বিলীল কুরআন, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৫০১)।

(ঘ). প্রখ্যাত তাবেঈ আ‘মাশ (রাহিমাহুল্লাহ) মুজাহিদ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, أولي الفقه منكم ‘তোমাদের মধ্যে যারা দ্বীনের বুঝ রাখেন’। অনুরূপভাবে মুজাহিদ (রাহিমাহুল্লাহ) লাইছ (রাহিমাহুল্লাহ) -এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, أولي الفقه والعلم ‘দ্বীনের বুঝ ও জ্ঞানের অধিকারীগণ’। আবু নাজীহ (রাহিমাহুল্লাহ) ঈসা (রাহিমাহুল্লাহ) -এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, أولي الفقه في الدين والعقل ‘দ্বীনের শারঈ ও আক্বলী বুঝের অধিকারী’ (জামেঊল বায়ান ফী তা’বিলীল কুরআন, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৫০০)। ঙ. প্রখ্যাত তাবেঈ মুজাহিদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, أهل القرآن والعلم ‘তারা হলেন কুরআন ও ইলম তথা সুন্নাহর অনুসারী’ (আল-জামি‘ঊ লি আহকামিল কুরআন, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৫৯)।




প্রশ্ন (১০) : ইমাম জুম‘আর দিন মিম্বরে বসার সময় সালাম দিবেন মর্মে কোন দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : সরকারি জায়গার মধ্যে যদি মসজিদ নির্মাণ করা হয় তাহলে সেখানে জুম‘আর ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : অনেকেই বাড়িতে গৃহস্থালী কাজ (থালা-বাসন ধোঁয়া, ঝাড়– দেয়া, রান্না করা প্রভৃতি) করা অবস্থায় মোবাইল বা কোন ডিভাইসে কুরআন তিলাওয়াত শুনেন। এভাবে কাজ চলাকালীন অবস্থায় তিলাওয়াত শুনলে নেকি হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : আল্লাহ তা‘আলা আসমান-যমীনের মধ্যকার সবকিছুরই সৃষ্টিকর্তা, তাহলে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করলেন, এরূপ প্রশ্ন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০): এক মহিলা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। সে একটা হাসপাতালে চাকরি করে আর পর্দা করে হাসপাতালে যায়। সে চাকরি করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে কাজের লোকের মত আচরণ করে, উঠতে বসতে বিশ্রী গালি-গালাজ করে, রাস্তা-ঘাট অপমান ও অবহেলা করে। এমতাবস্থায় উক্ত সমস্যার সমাধানের জন্য স্ত্রী কি তার পিতা-মাতাকে জানাতে পারে? জানালে কি অন্যায় হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : ছিয়াম অবস্থায় ক্যাথেটার ও সাপোজিটোরী ব্যবহার করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : বিধর্মীরা কাপড় ধৌত করলে বা সেলাই করলে সেই কাপড় পরা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : তাকবীরে তাহরিমা ও রাফ‘উল ইয়াদাইন করার সময় হাতের আঙ্গুল খোলা খোলা থাকবে, না-কি পরস্পরের সাথে মিলানো থাকবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : আমি বিয়ের আগে যেনায় লিপ্ত ছিলাম। বিয়ের পর থেকে ভুল বুঝতে পেরে আমি খুবই অনুতপ্ত। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন?  কিভাবে তওবাহ করলে উক্ত পাপ ক্ষমা হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মীমাংসামূলক ছালাতের  বিশুদ্ধ আাছে কি? সেটা হচ্ছে: দুই রাক‘আত ছালাত পড়া। প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহা পড়া এবং সাতবার ‘সম্ভবত আল্লাহ তোমাদের মধ্যে এবং তাদের মধ্য থেকে যাদের সাথে তোমাদের শত্রুতা আছে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। আল্লাহ সবকিছই করতে সক্ষম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ আয়াতটি পড়া। ছালাত শেষ করার পর এই দু‘আ করা, ‘হে আল্লাহ! অমুকের ছেলে অমুকের (স্বামীর নাম) অন্তর অমুকের মেয়ে অমুকের (স্ত্রীর নাম) উপর কোমল করে দিন; যেভাবে আপনি দাউদ (আলাইহিস সালাম)-এর জন্য লোহাকে কোমল করে দিয়েছেন। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : দলবদ্ধ মুনাজাত করার পক্ষে জনৈক আলেম নিম্নের হাদীছটি পেশ করে থাকেন- কিছু লোক একত্রিত হয়ে তার মধ্যে কেউ কেউ দু‘আ করলে আর কেউ কেউ আমীন আমীন বললে, আল্লাহ তাদের দু‘আ কবুল করেন। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ