শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন
উত্তর : আল্লাহর উক্ত বাণীর দ্বারা যাদেরকে বুঝানো হয়েছে, তারা হলেন- আলেম, ফক্বহী ও শাসকগণ। যেমন, (ক). আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেছেন, أهل الفقه والدين ‘ফিক্বহ ও দ্বীনের অনুসারী’। অনুরূপভাবে মুজাহিদ, ‘আত্বা এবং হাসান বাছরীও একই কথা বলেছেন। আবুল ‘আলিয়া বলেন, العلماء তথা আলেমগণ (ইবনু কাছীর, তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৫)। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) ও জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন যে, هُمُ الفُقَهَاءُ والعلماءُ الَّذِينَ يعلِّمُونَ النَّاسَ دينهم ‘তারা হলেন ফক্বীহগণ এবং আলেমগণ, যারা মানুষদেরকে দ্বীন শিক্ষা দিয়ে থাকেন’ (আল-লুবাবু ফী ঊলূমিল কিতাব, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪৪১)। (খ). আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন, هم الأمراء ‘তারা হলেন শাসকগণ’ (ইমাম তাবারী, জামেঊল বায়ান ফী তা’বিলীল কুরআন, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৪৯৭; শাওকানী, ফাৎহুল ক্বাদীর, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৬৬)।

(গ). বিখ্যাত তাবেঈ ‘আত্বা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, أولو العلم والفقه وطاعة الرسول اتباع الكتاب والسنة ‘তারা হলেন ইলমের অধিকারীগণ, যারা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করে তথা কিতাব ও সুন্নাতের অনুসরণ করে’ (সুনানুদ দারেমী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৮৩, আছার নং-২১৯, সনদ ছহীহ)। অন্যত্র তিনি বলেন, الفقهاء والعلماء ‘তারা হলেন ফক্বীহগণ এবং আলেমগণ’ (জামি‘ঊল বায়ান ফী তা’বিলীল কুরআন, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৫০১)।

(ঘ). প্রখ্যাত তাবেঈ আ‘মাশ (রাহিমাহুল্লাহ) মুজাহিদ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, أولي الفقه منكم ‘তোমাদের মধ্যে যারা দ্বীনের বুঝ রাখেন’। অনুরূপভাবে মুজাহিদ (রাহিমাহুল্লাহ) লাইছ (রাহিমাহুল্লাহ) -এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, أولي الفقه والعلم ‘দ্বীনের বুঝ ও জ্ঞানের অধিকারীগণ’। আবু নাজীহ (রাহিমাহুল্লাহ) ঈসা (রাহিমাহুল্লাহ) -এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, أولي الفقه في الدين والعقل ‘দ্বীনের শারঈ ও আক্বলী বুঝের অধিকারী’ (জামেঊল বায়ান ফী তা’বিলীল কুরআন, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৫০০)। ঙ. প্রখ্যাত তাবেঈ মুজাহিদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, أهل القرآن والعلم ‘তারা হলেন কুরআন ও ইলম তথা সুন্নাহর অনুসারী’ (আল-জামি‘ঊ লি আহকামিল কুরআন, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৫৯)।




প্রশ্ন (২৬) : ওলী-আওলিয়া কারা? আব্দুল কাদির জিলানী (রাহিমাহুল্লাহ) কি আল্লাহর ওলী ছিলেন? তাঁর আক্বীদা কেমন ছিল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : মুসলিম শাসনেকর সমালোচনা করার পদ্ধতি কেমন হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : ভাড়া দেয়া হয়েছে এমন বাড়ীর যাকাত দেয়ার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : মানুষের হাত, পা বা কোন অঙ্গ কেটে পড়ে গেলে সেটার কি গোসল, জানাযা ও দাফন করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : জনৈক স্বামী প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করে। ফলে প্রথম স্ত্রী স্বামীকে ডির্ভোস দেয়। বর্তমানে প্রথম স্ত্রীকে পুনরায় স্বামী নিতে চায় ও প্রথম স্ত্রীও ফিরে আসতে চায়। এমতাবস্থায় করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : ছাহাবী ছা‘লাবা ভ সম্পর্কে যাকাত দিতে অস্বীকার করা এবং রাসূল ফ, আবুবকর, ওমর, ওছমান হ তারা কেউ তার যাকাত নেননি বলে যে ঘটনা প্রচলিত আছে, তা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : ডিফেন্সে চাকরি করতে হলে ট্রেনিংয়ের ছয় মাস নিয়মিত দাড়ি ক্লিন সেভ করতে হয়। আবার ট্রেনিং সম্পূর্ণ করে দাড়ি রাখার সুযোগ আছে। সাময়িকভাবে দাড়ি কেটে এই চাকুরী করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : ইমাম মসজিদের মেহরাবের কোথায় দাঁড়াবে? মেহরাবের ভিতরে, না-কি বাইরে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : ঋণ দেয়ার সঠিক পদ্ধতি কী? ঋণ দেয়ার সময় যদি কেউ কাউকে সাক্ষী না রাখে, তাহলে কি সে গুনাহগার হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : চরমপন্থা সম্পর্কে ইসলামের বক্তব্য কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে যদি দান-ছাদাক্বাহ করা যায়, তাহলে তার উদ্দেশ্যে মানুষ খাওয়ানো যাবে না কেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : ওযূ না করে আযান দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ