উত্তর : আল্লাহর উক্ত বাণীর দ্বারা যাদেরকে বুঝানো হয়েছে, তারা হলেন- আলেম, ফক্বহী ও শাসকগণ। যেমন, (ক). আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেছেন, أهل الفقه والدين ‘ফিক্বহ ও দ্বীনের অনুসারী’। অনুরূপভাবে মুজাহিদ, ‘আত্বা এবং হাসান বাছরীও একই কথা বলেছেন। আবুল ‘আলিয়া বলেন, العلماء তথা আলেমগণ (ইবনু কাছীর, তাফসীরুল কুরআনিল আযীম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৪৫)। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) ও জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন যে, هُمُ الفُقَهَاءُ والعلماءُ الَّذِينَ يعلِّمُونَ النَّاسَ دينهم ‘তারা হলেন ফক্বীহগণ এবং আলেমগণ, যারা মানুষদেরকে দ্বীন শিক্ষা দিয়ে থাকেন’ (আল-লুবাবু ফী ঊলূমিল কিতাব, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪৪১)। (খ). আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেছেন, هم الأمراء ‘তারা হলেন শাসকগণ’ (ইমাম তাবারী, জামেঊল বায়ান ফী তা’বিলীল কুরআন, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৪৯৭; শাওকানী, ফাৎহুল ক্বাদীর, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৬৬)।
(গ). বিখ্যাত তাবেঈ ‘আত্বা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, أولو العلم والفقه وطاعة الرسول اتباع الكتاب والسنة ‘তারা হলেন ইলমের অধিকারীগণ, যারা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করে তথা কিতাব ও সুন্নাতের অনুসরণ করে’ (সুনানুদ দারেমী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৮৩, আছার নং-২১৯, সনদ ছহীহ)। অন্যত্র তিনি বলেন, الفقهاء والعلماء ‘তারা হলেন ফক্বীহগণ এবং আলেমগণ’ (জামি‘ঊল বায়ান ফী তা’বিলীল কুরআন, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৫০১)।
(ঘ). প্রখ্যাত তাবেঈ আ‘মাশ (রাহিমাহুল্লাহ) মুজাহিদ (রাহিমাহুল্লাহ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, أولي الفقه منكم ‘তোমাদের মধ্যে যারা দ্বীনের বুঝ রাখেন’। অনুরূপভাবে মুজাহিদ (রাহিমাহুল্লাহ) লাইছ (রাহিমাহুল্লাহ) -এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, أولي الفقه والعلم ‘দ্বীনের বুঝ ও জ্ঞানের অধিকারীগণ’। আবু নাজীহ (রাহিমাহুল্লাহ) ঈসা (রাহিমাহুল্লাহ) -এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, أولي الفقه في الدين والعقل ‘দ্বীনের শারঈ ও আক্বলী বুঝের অধিকারী’ (জামেঊল বায়ান ফী তা’বিলীল কুরআন, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৫০০)। ঙ. প্রখ্যাত তাবেঈ মুজাহিদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, أهل القرآن والعلم ‘তারা হলেন কুরআন ও ইলম তথা সুন্নাহর অনুসারী’ (আল-জামি‘ঊ লি আহকামিল কুরআন, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৫৯)।