উত্তর : নিঃসন্দেহে যেনা কাবীরা গুনাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ لَا تَقۡرَبُوا الزِّنٰۤی اِنَّہٗ کَانَ فَاحِشَۃً ؕ وَ سَآءَ سَبِیۡلً ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট অভ্যাস’ (সূরা বানী ইসরাঈল : ৩২)। কোন ব্যক্তি মুমিন থাকাবস্থায় যেনা করে না। কারণ সে সময় তার থেকে ঈমানের নূরকে ছিনিয়ে নেয়া হয় (ছহীহ বুখারী, হা/২৪৭৫, ৫৫৭৮, ৬৭৭২, ৬৮১০)।
ইসলামী শরী‘আতে যেনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই অবিবাহিত কোন পুরুষ যদি ব্যভিচার করে, তাহলে তাকে একশ’ বেত্রাঘাত করা হবে এবং এক বছরের জন্য এলাকা থেকে বিতাড়িত করতে হবে (সূরা আন-নূর : ২; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৯০: আবূ দাঊদ, হা/৪৪১৫; তিরমিযী হা/১৪৩৪)। আর বিবাহিত নারী-পুরুষ যেনায় লিপ্ত হলে তাকে রজম করতে হবে তথা পাথর দিয়ে মেরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে (ছহীহ বুখারী, হা/৫২৭০-৫২৭১, ৬৮২৫; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৯১)। এতদ্ব্যতীত ক্বিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুনের লেলিহান শিখা তাদেরকে স্পর্শ করবে (ছহীহ বুখারী, হা/৭০৪৭; ছহীহ মুসলিম, হা/২২৭৫)। আর ধর্ষণের শাস্তি সাথে সাথে মৃত্যুদণ্ড দেয়া (সূরা আল-মায়েদাহ : ৩৩)।
এমতাবস্থায় কর্তব্য হল- দ্রুত উত্তম তওবাহ করা। আর তা হচ্ছে, এ জন্য লজ্জিত হওয়া, অনুতপ্ত হওয়া এবং এই জঘন্যকর্ম পরিত্যাগ করা। আর ভবিষ্যতে কখনো এ ধরনের হারাম কর্মে জড়িত না হওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা। যে ব্যক্তি স্বচ্ছ ও পবিত্র অন্তরে একনিষ্ঠ ও একাগ্রতার সাথে খালেছ তওবা করে আল্লাহ তাঁর তওবা কবুল করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘(হে নবী!) আপনি বলুন, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা আয-যুমার : ৫৩; সূরা আল-ফুরক্বান : ৬৮-৭০; ইবনু বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ৯ম খণ্ড, পৃ. ৩৬৪; ইসলাম সুওয়াল জাওয়াব, ফাতাওয়া নং-২৭১১৩, ২৩৪৮৫)।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।