উত্তর : এভাবে বলা যাবে না যে, অমুক ছাহাবী সর্বপ্রথম ঈমান এনেছেন। কারণ নবুওয়াত প্রাপ্তির পর প্রথমে খাদীজার নিকট এসে যখন বর্ণনা দিলেন, তখন রাসূল (ﷺ) কাউকে ইসলামের দাওয়াত দেননি; কারো ইসলাম কবুল করার প্রসঙ্গ আসেনি। তবে খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) যে মন্তব্য করেছিলেন, তা গ্রহণ করার শামিল। যেমন তিনি বলেছিলেন, না কখনোই না; বরং আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন। মহান আল্লাহ আপনাকে লাঞ্ছিত করবেন না। কারণ আপনি আত্মীয়দের খোঁজ-খবর নেন, সত্য কথা বলেন, সহায়হীন লোকদের বোঝা লাঘব করে দেন, নিঃস্ব লোকদের উপার্জন করে দেন, মেহমানদের আপ্যায়ন করেন এবং হকের পথে আসা বিপদাপদের পতিত লোকদেরকে সাহায্য করে থাকেন (ছহীহ বুখারী, হা/৪৯৫৩)। দাওয়াত পাওয়ার পর ঘরে থাকা খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ইসলাম গ্রহণ করেন। পুরুষদের মাঝে প্রথমে শুনেই আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেন। অতঃপর কিশোরদের মধ্য থেকে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন আলী ইবনু আবী তালেব (রাযিয়াল্লাহু আনহু)। জায়েদ বিন হারেছ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) গোলামদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন (আস-সীরাহ আল-হালাবী, ১/৪৪৪ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : গোলাম রাব্বী, বরিশাল।