সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। সকালে সমস্ত ভাল কাজে বরকত নাযিল হয়। কারণ রাসূল (ﷺ) উম্মতের জন্য দু‘আ করেছেন, যাতে সকালে কাজে আল্লাহ বরকত নাযিল করেন। যেমন-

عَنْ صَخْرٍ الْغَامِدِىِّ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِىْ فِىْ بُكُوْرِهَا. وَكَانَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً أَوْ جَيْشًا بَعَثَهُمْ فِى أَوَّلِ النَّهَارِ. وَكَانَ صَخْرٌ رَجُلًا تَاجِرًا وَكَانَ يَبْعَثُ تِجَارَتَهُ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ فَأَثْرَى وَكَثُرَ مَالُهُ

ছাখর আল-গামেদী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) দু‘আ করতেন, اَللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِىْ فِىْ بُكُوْرِهَا ‘ হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য সকালের কর্মসমূহে বরকত নাযিল কর’। আর তিনি যখন কোন ক্ষুদ্র বা বিশাল বাহিনী প্রেরণ করতেন, তখন সকালে পাঠাতেন। আর ছাখর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ছিলেন ব্যবসায়ী ব্যক্তি, তিনি তার ব্যবসায়ী কাফেলা পাঠাতেন দিনের প্রথমাংশে। ফলে তিনি ধনী হয়ে গেয়েছিলেন এবং অনেক সম্পদের মালিক হয়েছিলেন (আবূ দাঊদ, হা/২৬০৬, সনদ ছহীহ)।

তাই ফজরের ছালাত আদায়ের পর থেকেই নিজ নিজ কর্ম শুরু করা উচিত, যেন বেশী বেশী বরকত নাযিল হয়। কিন্তু দুঃখজনক হল, বর্তমানে ফজরের ছালাত যেমন দেরী করে পড়া হয়, তেমনি অধিকাংশ মানুষ সকাল ৮/৯ পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে। ফলে সব বরকত থেকে বঞ্চিত হয়। এই অভ্যাস অবশ্যই বর্জনীয়। রাসূল (ﷺ) এজন্যই এশার পর জেগে থাকাকে অপসন্দ করতেন (ছহীহ বুখারী হা/৫৪৭)। রাতের প্রথম অংশে জেগে থাকার মাঝে কল্যাণ নেই। বরং কল্যাণ আছে শেষ রাত্রে (ছহীহ বুখারী, হা/১১৪৫)। এই সময় আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন। এরপর থেকেই বরকত নাযিল হতে থাকে।


প্রশ্নকারী : আহমাদুল্লাহ, কুমিল্লা।





প্রশ্ন (২৪) : হারাম পথে উপার্জিত সম্পদ দ্বারা হজ্জ করলে হজ্জ হবে কি? সন্তানের উপার্জিত হারাম অর্থ দিয়ে পিতা-মাতা হজ্জ করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : ধুমপান নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : জনৈক আলেম বলেছেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা আসমান ও যমীন সৃষ্টির এক হাযার বছর পূর্বে সূরা ‘ত্বা-হা’ ও ‘ইয়াসীন’ পাঠ করলেন। তখন ফেরেশতারা শুনে বললেন, ধন্য সেই জাতি, যাদের উপর এটা নাযিল হবে, ধন্য সেই পেট যে সেটা ধারণ করবে এবং ধন্য সেই মুখ যে সেটা উচ্চারণ করবে’। তাঁর উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন  (৮) : শা‘বান মাসের প্রতি বৃহস্পতিবার দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করা যাবে কি? রাসূলুল্লাহ‌ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সেই দিন দুই রাক‘আত ছালাত পড়বে, প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাছ একশ’বার পড়বে, সালাম ফিরানোর পর একশ’বার নবী (ﷺ)-এর উপর দুরূদ পড়বে আল্লাহ‌ তার দ্বীন ও দুনিয়ার সকল প্রয়োজন পূরণ করে দিবেন’ মর্মে প্রচলিত হাদীছটি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ডে কোন মৃতব্যক্তির ছবি সেট করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : ইমাম যদি রুকূ‘, সিজদা, কিরাআত, তাসবীহ খুব দ্রুত করে তাহলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : প্রচলিত আছে যে, ‘৭০ বছর বয়স হলে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের কোন পাপ ফেরেশতারা লিখেন না’। উক্ত দাবী কি শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : মসজিদকে কিভাবে পরিচ্ছন্ন রাখা যায়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : তাবলীগ জামায়াতের ‘ফাযায়েলে হজ্জ’ বইয়ের ৯২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, জামে মসজিদে বার হাজার পাঁচশ’ (১২,৫০০) ছালাতের ছওয়াব। মসজিদে আকছার ছওয়াব বাষট্টি কোটি পঞ্চাশ লক্ষ (৬২,৫০০০০০০), মদীনার মসজিদের ছওয়াব তিন নিল বার খর্ব পঞ্চাশ আরব (৩১২৫০০০০০০০০০০) এবং হারাম শরীফের ছওয়াব একত্রিশ শঙ্ঘ পঁচিশ পদ্ম, (৩১২৫০০০০০০০০০০০০০০০)। উক্ত বর্ণনা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের পূর্বে দু’রাক‘আত সুন্নাত ছালাত ও বিতর ছালাত কখনো ছাড়তেন না। প্রশ্ন হল- যদি কেউ ছেড়ে দেন, তাহলে কি তিনি গুনাহাগার হবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : জুমু‘আর পূর্বে কত রাক‘আত এবং পরে কত রাক‘আত ছালাত পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : নারীরা বাড়িতে ছালাত আদায় করলে পুরুষের জামা‘আতের ন্যায় ২৭ বা ২৫ গুন ছাওয়াব পাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ