উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। সকালে সমস্ত ভাল কাজে বরকত নাযিল হয়। কারণ রাসূল (ﷺ) উম্মতের জন্য দু‘আ করেছেন, যাতে সকালে কাজে আল্লাহ বরকত নাযিল করেন। যেমন-
عَنْ صَخْرٍ الْغَامِدِىِّ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِىْ فِىْ بُكُوْرِهَا. وَكَانَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً أَوْ جَيْشًا بَعَثَهُمْ فِى أَوَّلِ النَّهَارِ. وَكَانَ صَخْرٌ رَجُلًا تَاجِرًا وَكَانَ يَبْعَثُ تِجَارَتَهُ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ فَأَثْرَى وَكَثُرَ مَالُهُ
ছাখর আল-গামেদী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) দু‘আ করতেন, اَللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِىْ فِىْ بُكُوْرِهَا ‘ হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য সকালের কর্মসমূহে বরকত নাযিল কর’। আর তিনি যখন কোন ক্ষুদ্র বা বিশাল বাহিনী প্রেরণ করতেন, তখন সকালে পাঠাতেন। আর ছাখর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ছিলেন ব্যবসায়ী ব্যক্তি, তিনি তার ব্যবসায়ী কাফেলা পাঠাতেন দিনের প্রথমাংশে। ফলে তিনি ধনী হয়ে গেয়েছিলেন এবং অনেক সম্পদের মালিক হয়েছিলেন (আবূ দাঊদ, হা/২৬০৬, সনদ ছহীহ)।
তাই ফজরের ছালাত আদায়ের পর থেকেই নিজ নিজ কর্ম শুরু করা উচিত, যেন বেশী বেশী বরকত নাযিল হয়। কিন্তু দুঃখজনক হল, বর্তমানে ফজরের ছালাত যেমন দেরী করে পড়া হয়, তেমনি অধিকাংশ মানুষ সকাল ৮/৯ পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে। ফলে সব বরকত থেকে বঞ্চিত হয়। এই অভ্যাস অবশ্যই বর্জনীয়। রাসূল (ﷺ) এজন্যই এশার পর জেগে থাকাকে অপসন্দ করতেন (ছহীহ বুখারী হা/৫৪৭)। রাতের প্রথম অংশে জেগে থাকার মাঝে কল্যাণ নেই। বরং কল্যাণ আছে শেষ রাত্রে (ছহীহ বুখারী, হা/১১৪৫)। এই সময় আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন। এরপর থেকেই বরকত নাযিল হতে থাকে।
প্রশ্নকারী : আহমাদুল্লাহ, কুমিল্লা।