উত্তর : হাদীছ থেকে বুঝায় যায় ক্বিয়ামতের আগে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি কমপক্ষে ৪০ বছর কবরে থাকবে। ইসরাফীল (আলাইহিস সালাম)-এর প্রথম শিঙ্গায় ফুৎকার দেবার মাধ্যমে সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। আসমান-যমীনও থাকবে না, সবই ধ্বংস হয়ে যাবে। এভাবে চলবে ৪০ বছর। ৪০ হাজার নয়। হাদীছে এসেছে, আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, দুই ফুৎকারের মাঝে বিরতিকাল চল্লিশ। ছাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, হে আবূ হুরায়রা! চল্লিশ দিন? তিনি বললেন, আমি সন্দিহান। তারা জিজ্ঞেস করলেন, চল্লিশ মাস? তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি সন্দিগ্ধ। তারা জিজ্ঞেস করলেন, চল্লিশ বছর? তিনি বললেন, আমি সন্দিহান। [কোনটাই নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না’। তারপর আসমান থেকে বৃষ্টি হবে পরক্ষণেই মানুষ যমীন ভেদ করে এভাবে উঠতে থাকবে যেরূপ উদ্ভিদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষের মাঝে এমন কোন মানুষ নেই পঁচে বিনষ্ট হবে না। সবই মিশে যাবে কেবল একটা হাড় যা নিতম্বের প্রান্তে থাকে, তা মিশে যাবে না। ক্বিয়ামতের দিন তা থেকে মানুষের বাকি অংশগুলো জোড়া হবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৪৯৩৫; ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৫৫)। ইবনুল মুবরাক (রাহিমাহুল্লাহ) হাসান বাছরী (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, দুই ফুৎকারের মাঝে বিরতিকাল হল চল্লিশ বছর। প্রথম ফুৎকারের সময় আল্লাহ তা‘আলা প্রতিটি জীবিতকে মৃত্যুদান করবেন। আর দ্বিতীয় ফুৎকারের সময় প্রতিটি মৃতকে জীবন দান করবেন। আল্লামা হালীমী বলেন, বর্ণনাগুলো এ বিষয়ে ঐকমত্য যে, দুই ফুৎকারের মাঝে সময়সীমা হল চল্লিশ বছর’ (আত-তাযকিরাহ লিল কুরতুবী, পৃ. ১৬৫)।
প্রশ্নকারী : সামিঊল, রাজশাহী।