উত্তর : গুনাহ হবে না। আল্লাহর নাম স্মরণ করা ও ইবাদত করার জন্যই মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘সে সব ঘরে, যাকে সমুন্নত করতে এবং যাতে তাঁর নাম স্মরণ করতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে’ (সূরা আন-নূর : ৩৬)।
উপরিউক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের প্রকৃত আবাসস্থল এবং সেখানে তাঁদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। মসজিদে তাঁরা প্রায়ই (বিশেষতঃ পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের সময়) গোচরীভূত হয়। মসজিদকে সুউচ্চ রাখার জন্য এবং এগুলোতে সদাসর্বদা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা আদেশ করেছেন। এসব গৃহে সকাল-সন্ধ্যায় অর্থাৎ সর্বদা এমন লোকেরা আল্লাহ তা‘আলার পবিত্রতা বর্ণনা করে, যাদের বিশেষ গুণাবলী পরবর্তী আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। অধিকাংশ মুফাসসির এ তাফসীরকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন (তাফসীরে কুরতুবী ও বাগাভী)। আল্লাহর নাম স্মরণ করা দ্বারা এখানে তাসবীহ (পবিত্রতা বর্ণনা), তাহমীদ (প্রশংসা বর্ণনা), নফল ছালাত, কুরআন তিলাওয়াত, ওয়ায-নসীহত, দ্বীনী শিক্ষা ইত্যাদি সর্বপ্রকার যিকর বুঝানো হয়েছে (তাফসীরে ত্বাবারী, সা‘দী, মুয়াসসার)। অন্যত্র নবী (ﷺ) বলেন, ‘যে দিন আল্লাহর রহমতের ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না, সেদিন সাত শ্রেণীর মানুষকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিজের আরশের ছায়ায় আশ্রয় দিবেন। তাঁদের মধ্যে এক শ্রেণী হল তাঁরা, ‘যাদের অন্তর মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকে বা ঝুলে থাকে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৬০, ১৪২৩, ৬৪৭৯; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৩১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৬৭১)। সুতরাং মসজিদে অতিরিক্ত সময় অতিবাহিত করা প্রশংসনীয় কাজ এবং মসজিদে অবস্থান কালে সুস্থভাবে ইবাদত করার জন্য যাবতীয় সুবিধা ভোগ করা বৈধ। তবে অপচয় যেন না হয় সেদিকেও সজাগ থাকতে হবে (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৩১২৬৯)।
প্রশ্নকারী : শাকিল, ঢাকা