মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
উত্তর : যাবে না। কারণ ফুটবল বা ক্রিকেট ম্যাচ দেখাতে বিবিধ সমস্যা রয়েছে। যেমন, অধিকাংশ ম্যাচ জুয়া এবং হারাম চুক্তির সাথে সম্পৃক্ত। তাছাড়া এর মধ্যে পর্দাহীনতা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা এবং বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার রয়েছে এবং এর মধ্যে সময়ের অনর্থক অপচয় রয়েছে। নিজের মস্তিষ্ককে এমন অনর্থক কাজে ব্যস্ত না রেখে, এমন কাজে ব্যস্ত রাখা উচিত যা উভয় জগতের জন্যই অধিক কল্যাণকর হবে। তাই কোন মুসলিম নারী-পুরুষের জন্যই নিজেকে এমন কাজে ব্যস্ত রাখা জায়েয নয় (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৪৬৮৪৪)।

সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘এমন ক্রিকেট বা ফুটবল ম্যাচ যেগুলো অর্থ অথবা পুরস্কারের জন্য খেলা হয়ে থাকে, সেগুলো হারাম। এগুলো হারাম জুয়ার অন্তর্ভুক্ত। কারণ শরী‘আত অনুমোদিত খেলা ছাড়া অন্য যেকোন খেলার জন্য বিনিময় বা পুরস্কার গ্রহণ করা নাজায়েয। আর ইসলাম অনুমোদিত খেলাগুলো হচ্ছে- ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা, উটের দৌড় প্রতিযোগিতা এবং তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা। সুতরাং জেনেশুনে এ ধরনের পুরস্কার গ্রহণের খেলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা এবং দেখা উভয়ই হারাম। কেননা এ ধরনের খেলায় উপস্থিত হওয়াটা তাকে সমর্থন করার শামিল’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৫তম খণ্ড, পৃ. ২৩৮, ফৎওয়া নং-১৮৯৫১)।

শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এগুলো সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। সংকীর্ণ পোশাক পরিধান করে অথবা উরু উন্মুক্ত করে খেলাধুলা করা জায়েয নয়। অতএব তা দেখাও নাজায়েয’। অতঃপর তিনি দলীল হিসাবে নিম্নের হাদীছটি উপস্থাপন করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ তা‘আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। (১). তার আয়ুস্কাল সম্পর্কে, সে তার জীবনকাল কোথায় অতিবাহিত করেছে? (২). তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কী কাজে তা বিনাশ করেছে? (৩) ও (৪). তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথায় হতে তা উপার্জন করেছে এবং কোন্ কোন্ খাতে তা খরচ করেছে? এবং (৫). সে যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কী কী আমল করেছে’? (তিরমিযী, হা/২৪১৬; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৯৪৬; ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৪৩১)।  


প্রশ্নকারী : মাহফুজুর রহমান, বাগাতিপাড়া, নাটোর।





প্রশ্ন (২) : পবিত্র কুরআনে কখন কিভাবে রুকূ‘ সংযোগ করা হয়? তাছাড়া উপমহাদেশীয় নুসখায় এটা দেখা যায়, কিন্তু আরব বিশ্বের নুসখায় দেখা যায় না কেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : যে ব্যক্তি ক্বিয়ামতের মাঠে স্থাপিত মীযানকে বিশ্বাস করে না তার হুকুম কী হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : খতম তারাবীহ কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : বর্তমানে অনেক মহিলা শাড়ি পরে ছালাত আদায় করে থাকে। প্রশ্ন হল- শাড়ি পরে মহিলারা ছালাত আদায় করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : ছিয়াম থাকা অবস্থায় ইনজেকশন নেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : ‘ফাজায়েলে আমল’ নামক বইয়ের ৪৭৭ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, ‘শিশুদেরকে সর্বপ্রথম ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু’ বাক্য শিক্ষা দাও এবং মৃত্যুর সময়ও ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু’ তালক্বীন করাও। কারণ যার প্রথম এবং শেষ বাক্য ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ হবে, সে এক হাজার বছর বেঁচে থাকলেও একটি পাপ সম্পর্কেও তাকে জিজ্ঞেস করা হবে না’। উক্ত বর্ণনাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০): এক মহিলা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। সে একটা হাসপাতালে চাকরি করে আর পর্দা করে হাসপাতালে যায়। সে চাকরি করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : পাত্রীর পরিবারে কারো কারো সন্তান হচ্ছে না, বিয়ের প্রস্তাবকারী ছেলেকে এ কথা অবহিত করা কি আবশ্যক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : কোন ব্যক্তি যদি আরোগ্য লাভের আশায় নিজে কুরআন তেলাওয়াত করে বা কুরআন খতম করে পানিতে ফুঁ দিয়ে তা খায়, তাহলে জায়েয হবে কি? মৃত ব্যক্তির জন্য কি কুরআন খতম করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : জনৈক আলেম বলেছেন, আবূ হানিফা (রহ.)-এর নাম নাকি ছহীহ হাদীছে আছে। তিনি না-কি ‘সুরাইয়া’ নামক তারকা থেকে ইলম অর্জন করেছেন। কথাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : জাহান্নামের দরজা সাতটি মর্মে কোন দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : যালেম বা অত্যাচারী ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ