বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
উত্তর : যাবে না। কারণ ফুটবল বা ক্রিকেট ম্যাচ দেখাতে বিবিধ সমস্যা রয়েছে। যেমন, অধিকাংশ ম্যাচ জুয়া এবং হারাম চুক্তির সাথে সম্পৃক্ত। তাছাড়া এর মধ্যে পর্দাহীনতা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা এবং বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার রয়েছে এবং এর মধ্যে সময়ের অনর্থক অপচয় রয়েছে। নিজের মস্তিষ্ককে এমন অনর্থক কাজে ব্যস্ত না রেখে, এমন কাজে ব্যস্ত রাখা উচিত যা উভয় জগতের জন্যই অধিক কল্যাণকর হবে। তাই কোন মুসলিম নারী-পুরুষের জন্যই নিজেকে এমন কাজে ব্যস্ত রাখা জায়েয নয় (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৪৬৮৪৪)।

সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘এমন ক্রিকেট বা ফুটবল ম্যাচ যেগুলো অর্থ অথবা পুরস্কারের জন্য খেলা হয়ে থাকে, সেগুলো হারাম। এগুলো হারাম জুয়ার অন্তর্ভুক্ত। কারণ শরী‘আত অনুমোদিত খেলা ছাড়া অন্য যেকোন খেলার জন্য বিনিময় বা পুরস্কার গ্রহণ করা নাজায়েয। আর ইসলাম অনুমোদিত খেলাগুলো হচ্ছে- ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা, উটের দৌড় প্রতিযোগিতা এবং তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা। সুতরাং জেনেশুনে এ ধরনের পুরস্কার গ্রহণের খেলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা এবং দেখা উভয়ই হারাম। কেননা এ ধরনের খেলায় উপস্থিত হওয়াটা তাকে সমর্থন করার শামিল’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৫তম খণ্ড, পৃ. ২৩৮, ফৎওয়া নং-১৮৯৫১)।

শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এগুলো সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। সংকীর্ণ পোশাক পরিধান করে অথবা উরু উন্মুক্ত করে খেলাধুলা করা জায়েয নয়। অতএব তা দেখাও নাজায়েয’। অতঃপর তিনি দলীল হিসাবে নিম্নের হাদীছটি উপস্থাপন করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ তা‘আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। (১). তার আয়ুস্কাল সম্পর্কে, সে তার জীবনকাল কোথায় অতিবাহিত করেছে? (২). তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কী কাজে তা বিনাশ করেছে? (৩) ও (৪). তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথায় হতে তা উপার্জন করেছে এবং কোন্ কোন্ খাতে তা খরচ করেছে? এবং (৫). সে যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কী কী আমল করেছে’? (তিরমিযী, হা/২৪১৬; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৯৪৬; ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৪৩১)।  


প্রশ্নকারী : মাহফুজুর রহমান, বাগাতিপাড়া, নাটোর।





প্রশ্ন (২০) : এক তাশাহ্হুদ বিশিষ্ট ছালাত তথা এক বা দুই রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের সময় কিভাবে বসতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : অনেকে এমন আছে যে, তাকে সালাম দিলে সে সালামের জবাব দিয়ে পাল্টা আবার সালাম দেয়। এভাবে সালাম দেওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : জনৈক খত্বীব বলেছেন, কেউ যদি ২১ বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে ঘুমায়, তাহলে তার প্রতি নিশ্বাসে নেকি লিখা হয়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : বিধর্মীদের দোকান থেকে বিশেষ করে হিন্দুদের দোকান থেকে মিষ্টি বা মিষ্টান্ন জাতীয় পণ্য ক্রয় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : প্রতিমাসে প্রাপ্য বেতনের যাকাত কীভাবে প্রদান করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানায় ছুটি দেয়া এবং বিভিন্ন আলোচনা ও মাহফিলের আয়োজন করা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : হাদীছে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি কুরআনে নিজের মত পেশ করবে সে জাহান্নামে যাবে। যুগ যুগ ধরে মুফাসসিরগণ কুরআনের তাফসীর করতে কুরআন, হাদীছ, ছাহাবী, তাবেঈদের উক্তির পাশাপাশি নিজ চিন্তা, গবেষণা ও মত প্রকাশ করেন। তাহলে হাদীছে নিজ মত প্রকাশ করা বলতে কী বুঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : আমার নিকটাত্মীয় একজনকে অভিশাপ দিয়ে ফেলেছে। আমি জানি যাকে অভিশাপ দেয়া হয়েছে তিনি তার উপযুক্ত না। আমি তাকে অনেক বুঝিয়ে কনভিন্স করেছি। সে অনুতপ্ত। এখন আমি তাকে কী আমল করতে বলব যাতে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে যায়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : কোন ব্যক্তি তওবা করার পর পুনরায় সেই পাপে লিপ্ত হলে তাকে কি কাফফারা দিতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় মা দুধ পানের দু‘আ পাঠ করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : ঘুষের বিনিময়ে চাকরি নিলে সেই চাকরির বেতন কি হালাল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : হিন্দুদের কাটা ছাগলের চামড়া কোন মুসলিম কিনতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ