উত্তর : মুসলিমদের দোকান থাকলে সেখান থেকেই ক্রয় করার চেষ্টা করবে (বুখারী হা/৫৪৭৮)। অন্যথা যদি নিরাপদ মনে হয়, তবে হিন্দু, কাফির, মুশরিকদের প্রস্তুতকৃত খাবার খাওয়া জায়েয (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ র্দাব ইবনে উছাইমীন, ২৪/২ পৃ.)। শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘কখনোই কোন কাফির বা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব স্থাপন করা যাবে না। তবে মৌখিকভাবে ব্যবসায়িক আদান-প্রদান, হালাল খাদ্যের দাওয়াত কবুল ও উপঢৌকন গ্রহণ করা জায়েয’ (সূরা আল-মুজাদালাহ : ২২; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৮৭৯৮)। অনুরূপভাবে কাফিরদের প্রস্তুতকৃত খাদ্য ও পানীয় খাওয়া ও পান করা বৈধ। যেমন তাদের প্রস্তুত করা, সেলাই করা ও ধৌত করা কাপড় ব্যবহার করা বৈধ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ, ১/২০০ পৃ.)। তবে মূর্তিওয়ালা কোন ঘরে, দোকানে বা উপাসনালয়ে প্রবেশ করাকে বিদ্বানগণ মাকরূহ বলেছেন (ফাতাওয়া আল-কুবরা ইবনে তাইমিয়্যাহ, ৫/৩২৭ পৃ.)। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘নবী কারীম (ﷺ) যখন কা‘বা ঘরে ছবিগুলো দেখতে পেলেন, তখন যে পর্যন্ত তাঁর নির্দেশে তা মিটিয়ে ফেলা না হল, সে পর্যন্ত তিনি সেখানে প্রবেশ করলেন না (ছহীহ বুখারী, হা/১৬০১, ৩৩৫২, ৪২৮৮; আবূ দাঊদ, হা/২০২৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৪৫৫)।
প্রশ্নকারী : আবুল হাসান, মোহনপুর, রাজশাহী।