সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০২:৪৭ অপরাহ্ন
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। সকালে সমস্ত ভাল কাজে বরকত নাযিল হয়। কারণ রাসূল (ﷺ) তাঁর উম্মতের জন্য দু‘আ করেছেন, যাতে সকালে বরকত নাযিল হয়। যেমন-

عَنْ صَخْرٍ الْغَامِدِىِّ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِىْ فِىْ بُكُوْرِهَا. وَكَانَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً أَوْ جَيْشًا بَعَثَهُمْ فِىْ أَوَّلِ النَّهَارِ. وَكَانَ صَخْرٌ رَجُلًا تَاجِرًا وَكَانَ يَبْعَثُ تِجَارَتَهُ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ فَأَثْرَى وَكَثُرَ مَالُهُ

ছাখর আল-গামেদী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) দু‘আ করতেন, اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِىْ فِىْ بُكُوْرِهَا ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য সকালের কর্মসমূহে বরকত নাযিল কর’। আর তিনি যখন কোন ক্ষুদ্র বা বিশাল বাহিনী প্রেরণ করতেন, তখন সকালে পাঠাতেন। আর ছাখর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ছিলেন ব্যবসায়ী ব্যক্তি, তিনি তার ব্যবসায়ী কাফেলা পাঠাতেন দিনের প্রথমাংশে। ফলে তিনি ধনী হয়ে গেয়েছিলেন এবং অনেক সম্পদের মালিক হয়েছিলেন (আবূ দাঊদ, হা/২৬০৬, সনদ ছহীহ)।

তাই ফজরের ছালাত আদায়ের পর থেকেই নিজ নিজ কর্ম শুরু করা উচিত, যেন বেশি বেশি বরকত নাযিল হয়। কিন্তু দুঃখজনক হল, বর্তমানে ফজরের ছালাত যেমন দেরী করে পড়া হয়, তেমনি অধিকাংশ মানুষ সকাল ৮/৯ পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে। ফলে সব বরকত থেকে বঞ্চিত হয়। এই অভ্যাস অবশ্যই বর্জনীয়। রাসূল (ﷺ) এজন্যই এশার পর জেগে থাকাকে অপসন্দ করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৫৪৭)। রাতের প্রথম অংশে জেগে থাকার মাঝে কল্যাণ নেই। বরং কল্যাণ আছে শেষ রাত্রে (ছহীহ বুখারী, হা/১১৪৫)। এই সময় আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন। এরপর থেকেই বরকত নাযিল হতে থাকে।

প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ আহমাদ, রংপুর।




প্রশ্ন (৩৫) : পূর্ববর্তী কিতাবগুলো ছহীফা আকারে নাযিল হয়েছিল। এগুলো কি আল্লাহর কালাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুম‘আর দিন আমার উপর ৪০ বার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ৪০ বছরের পাপ ক্ষমা করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে তার পক্ষ থেকে তা গ্রহণযোগ্য হবে এবং তার ৮০ বছরের পাপ আল্লাহ মাফ করে দিবেন (তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত, পৃ. ৯০)। বর্ণনাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : দেশের সরকারী কর্মকর্তগণ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তগণকে দেখে স্যালুট দেয়, দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করে অথবা জাতীয় সংসদে কিংবা শিক্ষা অনির্বান, শিখা চিরন্তন, জাতীয় স্মৃতি সৌধ সহ বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়ে থাকে। শরী‘আতের দৃষ্টিতে উক্ত কর্মকাণ্ডের কি কোন বৈধতা রয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : ছিয়াম অবস্থায় শ্বাসকষ্টের কারণে ইনহেইলার গ্রহণ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৩) : অনেককেই দেখা যায় যে, ফরয ছালাত শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে বুকে ফুঁক দেয়। এটা কি শরী‘আত সম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : অমুসলিম ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করলে সে কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : অনিচ্ছাকৃত সূদের অংশ পেলে তা কী করব? নিকট গরিব আত্মীয়দের মাঝে ছাওয়াবের আশা ব্যতীত সূদের টাকা দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : হেজবুত তাওহীদ কী? তাদের আক্বীদা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : জনৈক ব্যক্তি রাগ সংবরণ করতে না পেরে তার স্ত্রীকে মাঝে মাঝেই এক ত্বালাক্ব দুই ত্বালাক্ব, তিন ত্বালাক বলে উল্লেখ করত। পরক্ষণে আবার স্বাভাবিক হত এবং পূর্বের অবস্থায় সংসার চলত। প্রশ্ন হল, তাদের মাঝে কি তালাক সংঘটিত হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : মেয়ের শ্বশূরবাড়ি আর নিজের বাড়ির লোকের মধ্যে ঝামেলার কারণে প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী যদি নিজের মা আর চাচাদের চাপে পরে, স্বামীর বাড়িতে মোহরানা না জানিয়ে রেখে যায় এবং এর পর কোর্ট থেকে নোটারীর পাবলিকের মাধ্যমে স্বামীর অনুপস্থিতিতে নোটিশ পাঠিয়ে খোলা ত্বালাক্ব দেয়। তাহলে ত্বালাক হবে কিনা? উল্লেখ্য, এখানে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তেমন কোন জামেলা ছিলো না। আর স্বামী ত্বালাক্ব দিতে বা মানতেও রাজি না। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : বড় ভাই আমাদের পারিবারিক খরচের জন্য আমাকে এক লক্ষ টাকা দিয়েছে। এই টাকার কি যাকাত দিতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : হলুদ এবং লাল রং এর পোশাক পরা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ