সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
উত্তর : স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে স্বামী যে পরিমাণ সম্পত্তির অংশীদার হবেন, সেটি খরচ করার ব্যাপারে তিনি পূর্ণ স্বাধীন। তিনি ইচ্ছামত ঐ প্রাপ্ত সম্পত্তি মোহরানা, হাদিয়া বা অন্যান্য বৈধ জায়গায় বাধাহীনভাবে ব্যয় করতে পারবেন।

স্বামীর অংশ : স্ত্রীর পরিত্যাক্ত সম্পত্তিতে স্বামী অর্ধাংশ (১/২) অথবা এক-চতুর্থাংশ (১/৪) পাবেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ لَکُمۡ نِصۡفُ مَا تَرَکَ اَزۡوَاجُکُمۡ   اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہُنَّ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہُنَّ وَلَدٌ فَلَکُمُ الرُّبُعُ  مِمَّا تَرَکۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡنَ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ

‘তোমাদের স্ত্রীদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ তোমাদের জন্য, যদি তাদের কোন সন্তান-সন্ততি না থাকে। কিন্তু তাদের সন্তান থাকলে তোমাদের জন্য তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ। তারা যা ওয়াছিয়ত করে তা কার্যকর ও ঋণ পরিশোধ করার পর’ (সূরা আন-নিসা : ১২)। উক্ত আয়াতে স্বামীর অংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মৃতা স্ত্রীর যদি কোন সন্তান না থাকে, তবে ঋণ পরিশোধ ও ওয়াছিয়ত কার্যকর করার পর স্বামী তার সম্পত্তির অর্ধেক পাবেন। অবশিষ্ট অর্ধেক থেকে অন্য ওয়ারিশগণ যেমন মৃতার পিতা-মাতা, ভাই-বোন যথারীতি অংশ পাবেন। মৃতার যদি সন্তান থাকে, এক বা একাধিক পুত্র বা কন্যা, এ স্বামীর ঔরসজাত হোক বা পূর্ববর্তী কোন স্বামীর ঔরসজাত, তবে বর্তমান স্বামী ঋণ পরিশোধ ও ওয়াছিয়াত কার্যকর করার পর মৃতার সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ পাবেন। অবশিষ্ট তিন-চতুর্থাংশ অন্য ওয়ারিশগণ পাবেন।

প্রশ্নকারী : বদরুল আলম, ঢাকা।





প্রশ্ন (৩৫) : যে ব্যক্তি রামাযান মাসের শেষ জুমু‘আয় দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয ছালাত আদায় করবে তার ঐ বছরের ছুটে যাওয়া ছালাতের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। উক্ত বর্ণনা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : শুক্রবারে হানাফী মসজিদে আযান শুরু হয় অনেক আগে। কিন্তু জুমু‘আর খুত্ববাহ শুরু হয় অনেক দেরিতে। প্রশ্ন হল- শুক্রবারে মসজিদে আগে যাওয়ার যে ফযীলত, হানাফী মসজিদ কোন্ সময় গেলে তা হাছিল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : মজলিসের শেষের দু‘আ একাকী পড়া যাবে কি? না-কি একজন বলে দিবে আর সবাই তার সাথে সাথে বলবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : প্রচলিত আছে যে, সমাজের কেউ ই‘তিকাফ না করলে সবাই পাপী হবে। উক্ত কথা কোন ভিত্তি আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : ছিয়াম পালনে অক্ষম ব্যক্তিকে ফিদইয়া দিতে বলা হয়েছে। এর পরিমাণ সম্পর্কে কেউ বলছে এক ছা‘ আবার কেউ আধা ছা‘। কোনটি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪১) : জনৈক আলেম বলেন, যে ব্যক্তি সফর অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল সে শহীদ হয়ে মারা গেল। উক্ত হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : কিভাবে হাদীছের ছহীহ ও যঈফ নির্ধারণ করা হয়েছে? জনৈক আলেম বলেন, তাঁরা রাবীদের সৎ‌ কিংবা অসৎ, দুর্বল, হাদীছ ভুলে যাওয়া ইত্যাদি কারণে হাদীছকে যঈফ বলা হয়। তার দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : চর্মরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কি তায়াম্মুম করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : নাকের অপারেশন করলে ওযূ এবং ছালাত কিভাবে আদায় করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : জনৈক বক্তা বলেন, ‘যে অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছে, সে শহীদ হয়ে মারা গেছে। তাকে কবরের আযাব দেয়া হবে না এবং সকাল-সন্ধ্যায় তাকে জান্নাতের রিযিক দেয়া হবে’। উক্ত বর্ণনা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : ক্বিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম কাকে বস্ত্র পরিধান করানো হবে? কেউ কেউ বলে যে, ‘বস্ত্র পরিধান করেই রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্বিয়ামতের দিন উঠবেন’, একথা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : প্রচলিত আছে যে, বিলাল (রাযিয়াল্লাহু আনহু) আযান সঠিকভাবে দিতে না পারার জন্য তাকে বাদ দিয়ে নতুন মুয়াযিযন নিয়োগ দেয়। তখন বিলাল (রাযিয়াল্লাহু আনহু) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করে আল্লাহ তুমি আমাকে তোতলা বানিয়েছ। এটার জন্য দায়ী তুমি। আর আমার মুয়াযিযন না থাকার দায়ী তুমি। নতুন মুয়াযিযন ফজরের আযান দিল, তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) এসে বলেন, আজ কি আযান হয়নি? তখন লোকজন বলল, হ্যাঁ, অনেক সুন্দর হয়েছে। তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বলেন, বিলাল আযান না দিলে সকাল হবে না এবং সূর্যও উঠবে না। প্রশ্ন হল- উক্ত ঘটনার কি কোন দলীল আছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ