সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা যার দ্বীনদারী ও নৈতিক চরিত্র দ্বারা সন্তুষ্ট, তোমাদের নিকট যদি সেই ব্যক্তি বিবাহের প্রস্তাব দেয়, তবে তার সাথে (তোমাদের পাত্রীর) বিবাহ দিয়ে দাও। অন্যথা পৃথিবীতে ফিতনা-ফাসাদ, বিশৃঙ্খলা ও বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়বে। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তার মাঝে কিছু থাকলেও কি? (অর্থাৎ সে যদি অভাবগ্রস্ত ও দরিদ্র হয়?) তিনি বললেন, ‘তোমরা যে লোকের দ্বীনদারী ও নৈতিক চরিত্র দ্বারা সন্তুষ্ট আছ, তোমাদের নিকট যদি সেই ব্যক্তি বিবাহের প্রস্তাব দেয়, তবে তার সাথে (তোমাদের পাত্রীর) বিবাহ দিয়ে দাও’। রাবী বলেন, এ কথা তিনি তিনবার বললেন (তিরমিযী, হা/১০৮৪-১০৮৫; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১০২২; ইরওয়াউল গালীল, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ২৬৭)।

ইসলাম পাত্র-পাত্রী উভয় পক্ষকেই কিছু বিষয়ে বিবেচনা করার অধিকার দিয়েছে। পাত্রীর অভিভাবক যে সমস্ত বিষয়গুলো পরিদর্শন করতে পারেন সেগুলো হল- (১) পাত্র স্ত্রীর ভরণপোষণ বা অন্নবস্ত্র দিয়ে তত্ত্বাবধান করতে পারবে কি-না? যেমন, ফাতিমা বিনতু ক্বায়স (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, ‘...অতঃপর যখন আমার ইদ্দত পূর্ণ হল তখন আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানালাম যে, মু‘আবিয়া ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) ও আবূ জাহম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) আমাকে বিবাহের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আবূ জাহম এমন ব্যক্তি যে, তার কাঁধ থেকে লাঠি নামিয়ে রাখে না (অর্থাৎ স্ত্রীকে খুবই মারধর করে)। আর মু‘আবিয়া তো কপর্দকহীন দরিদ্র মানুষ। তুমি উসামা ইবনু যায়দের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হও। কিন্তু আমি তাঁকে পসন্দ করলাম না। পরে তিনি আবার বললেন, তুমি উসামাকে বিয়ে কর। তখন আমি তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলাম। আল্লাহ এতে (তাঁর ঘরে) আমাকে বিরাট কল্যাণ দান করলেন। আর আমি ঈর্ষার পাত্রে পরিণত হলাম’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৮০; আবূ দাঊদ, হা/২২৮৪)। (২) পাত্র স্ত্রীর জন্য বসবাস যোগ্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে কি-না? কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যে স্থানে বাস কর, তাদেরকেও সে স্থানে বাস করতে দাও। আর সংকটে ফেলার উদ্দেশ্যে তাদেরকে উত্ত্যক্ত কর না’ (সূরা আত-ত্বালাক্ব : ৬)। তবে পাত্র-পাত্রী উভয় পক্ষকে দ্বীনদারীকেই প্রাধান্য দিতে হবে (সূরা আল-হুজুরাত : ১৩; ছহীহ বুখারী, হা/৫০৯০; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৬৬)।

প্রশ্নকারী : মাহমূদ, বিরল, দিনাজপুর।





প্রশ্ন (১) : জনৈক বক্তা বলেছেন, দাজ্জাল ‘জেরুজালেম’ থেকে বের হবে। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : কবরের কাছে গিয়ে কোন্ দু‘আ পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি সামনে ও পিছনে উভয় দিকে দেখতে পেতেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : এক ব্যক্তির পৈত্রিক কিছু সম্পদ আত্মীয়-স্বজন অবৈধভাবে ভোগ করছে। ফিরিয়ে নিতে গেলে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা শরী‘আতে নিষিদ্ধ। এখন সে কোনটা প্রাধান্য দিবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫০) : কারো কাছে জমানো টাকা এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ করা টাকা মিলে যাকাতের নিছাবের চেয়ে বেশি অর্থ আছে। কিন্তু ঋণ রয়েছে উক্ত অর্থের চেয়ে বেশি। এখন কি তার উপর যাকাত ফরয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : স্ত্রী ছালাত আদায় না করলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : অধিকাংশ মানুষ ছালাতের সময় লুঙ্গি, প্যান্ট গুটিয়ে নিয়ে ছালাত আদায় করে থাকে। প্রশ্ন হল- শুধু ছালাতের সময় লুঙ্গি, প্যান্ট ইত্যাদি গুটিয়ে রাখা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : শরী‘আতের আলোকে ট্রাফিক আইন মেনে চলা কি যরূরী। বিশেষ করে সিগন্যালের বাতি যখন লাল থাকে এবং অপর দিকে কোন গাড়ি না থাকে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী তার স্ত্রীকে মারধর করে এবং বলে, যা তোকে ছেড়ে দিলাম, ত্বালাক্ব, ত্বালাক্ব, ত্বালাক্ব বলে তিনবার উচ্চারণ করে। ভুল বুঝতে পেরে পরে ক্ষমা চায়। উক্ত ত্বালাক্ব কি সাব্যস্ত হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : জনৈক মুফতি বলেন, যে নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক তার উপর কুরবানী ওয়াজিব। অন্যথা কুরবানী করা লাগবে না। এর অর্থ হল, তার কাছে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা তার সমপরিমাণ জমানো টাকা থাকা লাগবে। এই ফৎওয়া অনুযায়ী অনেকেই তো কুরবানী করা থেকে বঞ্চিত হবে। উক্ত ফৎওয়া কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : আমি পূর্বে অনেক ছালাত ছেড়ে দিয়েছি, যা আমার হিসাবেও নেই। এখন আমি তাওবাহ করতে চাই। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪২) : আমি একটি মেয়েকে ভালোবাসতাম। কিছু দিন শুধু কথা বলেছি। যখন জানতে পেরেছি এই সম্পর্ক হারাম  তখন ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু কথা বলার সময় কিছু ওয়াদা করেছিলাম। এখন কি সেই ওয়াদা পালন করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ