উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا کَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক ধারণা থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কিছু ধারণা এমন আছে, যা পাপ’ (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)। এই আয়াতাংশে পারস্পরিক হক্ব ও সামাজিক রীতি-নীতি ব্যক্ত হয়েছে এবং এতে একটি বিষয় হারাম করা হয়েছে। তার অন্যতম হল: ধারণা করা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘তোমাদের কারও আল্লাহর প্রতি সু-ধারণা পোষণ ব্যতীত মৃত্যুবরণ করা উচিত নয়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৫১২৫)। অন্য এক হাদীছে এসেছে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমি আমার বান্দার সাথে তেমনি ব্যবহার করি, যেমন সে আমার সম্বন্ধে ধারণা রাখে। এখন সে আমার প্রতি যা ইচ্ছা ধারণা রাখুক’ (আহমাদ, হা/১৫৪৪২)।
এ থেকে জানা যায় যে, আল্লাহর প্রতি ভাল ধারণা পোষণ করা ফরয এবং কু-ধারণা পোষণ করা হারাম। এমনিভাবে যেসব মুসলিম বাহ্যিক অবস্থার দিক দিয়ে সৎকর্মপরায়ণ দৃষ্টিগোচর হয়, তাদের সম্পর্কে প্রমাণ ব্যতিরেকে কু-ধারণা পোষণ করা হারাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘তোমরা ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা, ধারণা মিথ্যা কথার নামান্তর’ (ছহীহ বুখারী, হা/৪০৬৬; ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৬৩)। ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) ব্যাখ্যা করেছেন যে, এ আয়াতে মন্দ ধারণা করা নিষেধ করা হয়েছে, বিশেষত এমন ধারণা যা কোন নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই কারো সম্পর্কে কু-মনোভাব তৈরি করে। তিনি বলেন, আল্লাহ মুমিনদেরকে সন্দেহ ও অনুমানভিত্তিক চিন্তা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, কারণ এটি অন্যায় ও অপবাদমূলক হতে পারে। তিনি আরো বলেন, যে সন্দেহের পিছনে কোন শক্তিশালী প্রমাণ নেই, তা করা জায়েয নয়।
প্রশ্নকারী: নেয়ামুল ইসলাম, পটুয়াখালী।