উত্তর : জাহান্নামের সাতটি স্তর রয়েছে, যা একটির পর একটি স্থাপিত। প্রত্যেক জাহান্নামীর জন্য তার নিজ নিজ অপরাধ অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্তর বণ্টন করা আছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَ اِنَّ جَہَنَّمَ لَمَوۡعِدُہُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ – لَہَا سَبۡعَۃُ اَبۡوَابٍ لِکُلِّ بَابٍ مِّنۡہُمۡ جُزۡءٌ مَّقۡسُوۡم
‘নিশ্চয় জাহান্নাম তাদের (ইবলীসের অনুসারী) সকলেরই প্রতিশ্রুত স্থান। যার সাতটি দরজা আছে, প্রত্যেক দরজার জন্য পৃথক পৃথক শ্রেণী আছে’ (সূরা আল-হিজর : ৪৩-৪৪)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, اَبۡوَابٌ শব্দের অর্থ স্তরসমূহ, একটির পর একটি স্তর। ছা‘আলাবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, একটিকে আরেকটির উপর স্থাপন করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতকে যমীনের উপর স্থাপন করেছেন। আর জাহান্নামকে একটির পর একটি স্তরভিত্তিক স্থাপন করেছেন। যেমন সবার উপরে জাহান্নাম, তার নীচে হুত্বামা, তার নীচে সাক্বার, তার নীচে জাহীম, তার নীচে লাযা, তার নীচে সাঈর এবং তার নীচে হাবিয়া। এর প্রত্যেক স্তর প্রজ্জ্বলিত উত্তপ্ত আগুন দিয়ে তৈরি, যা সত্তর বছর ধরে জ্বালানো হয়েছে। মুফাস্সিরদের মতে, জাহান্নাম হল সর্বোচ্চ স্তর। আর এটা মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উম্মতের পাপীদের জন্য নির্দিষ্ট। যাহ্হাক বলেন, জাহান্নামের সর্বোচ্চ স্তর উম্মতে মুহাম্মাদীর মধ্যে যারা নাফরমান তাদের জন্য, দ্বিতীয় স্তর খ্রিষ্টানদের, তৃতীয় স্তর ইহুদীদের, চতুর্থ স্তর ছায়েবদের (মূর্তিপূজকদের), পঞ্চম স্তর অগ্নি উপাসকদের, ষষ্ঠ স্তর মুশরিকদের, সপ্তম স্তর মুনাফিক্ব, ফেরাঊনের সম্প্রদায় এবং খাজাঞ্চিওয়ালাদের তথা মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে যারা কুফরী করেছে তাদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে (তাফসীরে কুরতুবী, ১০ তম খণ্ড, পৃ. ৩০, উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা দ্র.)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল আযীয, রাজনগর, সাতক্ষীরা।