উত্তর : তামাক চাষ করা হারাম। তামাক একদিকে যেমন নেশা জাতীয় দ্রব্য অন্যদিকে তেমনি শরীরের জন্য চরম ক্ষতিকর। এতে নিকোটিন বিষ থাকে। সেকারণ ধূমপানকে বিষপান বলা হয়। রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ো না ও অন্যের ক্ষতি করো না’ (ইবনু মাজাহ, হা/২৩৪০; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২৫০)। এরূপ সকল প্রকার নাপাক বস্তুকে আল্লাহ হারাম করেছেন (সূরা আল-আ‘রাফ : ১৫৭)। তামাক গাছ একটি মাদকতা সৃষ্টিকারী বৃক্ষ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ وَمَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِى الدُّنْيَا فَمَاتَ وَهُوَ يُدْمِنُهَا لَمْ يَتُبْ لَمْ يَشْرَبْهَا فِى الآخِرَةِ
‘মাদকতা আনয়নকারী প্রত্যেক বস্তুই মদ এবং প্রত্যেক মাদকদ্রব্য হারাম। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মদ্য পান করল ও তাতে অভ্যস্ত হল। অথচ তওবা না করে মারা গেল, সে আখেরাতে (হাউয কাউছারের পানি) পান করতে পারবে না’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২০০৩; মিশকাত, হা/৩৬৩৮)। রাসূল (ﷺ) বলেন, مَا أَسْكَرَ كَثِيْرُهُ فَقَلِيْلُهُ حَرَامٌ ‘যার বেশি পরিমাণে মাদকতা আসে, তার কম পরিমাণও হারাম’ (আবূ দাঊদ, হা/৩৬৮১; সনদ ছহীহ)।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ, রংপুর।