সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০২:২১ অপরাহ্ন
উত্তর : শাসকের কোন অন্যায় কাজের আনুগত্য করা বা সহযোগিতা করা যাবে না। এমনকি তার অন্যায় কাজের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া যাবে না। বরং যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রতিবাদ করতে হবে, শাসকের সামনে হক্ব কথা বলতে হবে, সঠিক পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করতে হবে এবং হেদায়াতের জন্য আল্লাহর নিকট দু‘আ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, لَاطَاعَةَ لِمَخْلُوْقٍ فِىْ مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ ‘সৃষ্টিকর্তার অবাধ্যতা করে সৃষ্টির কোন আনুগত্য নেই’ (শারহুস সুন্নাহ, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৩৬৯৬ ‘নেতৃত্ব’ অধ্যায়)। অন্য হাদীছে আছে, ‘তোমাদের মধ্যে অনেক আমীর হবে, যাদের কোন কাজ তোমরা ভাল মনে করবে, কোন কাজ মন্দ মনে করবে। এক্ষণে যে ব্যক্তি ঐ মন্দ কাজের প্রতিবাদ করবে, সে মুক্তি পাবে। যে ব্যক্তি ঐ কাজকে অপসন্দ করবে, সেও নিরাপত্তা পাবে। কিন্তু যে ব্যক্তি ঐ মন্দ কাজে সন্তুষ্ট থাকবে ও তার অনুসরণ করবে (সে মুক্তিও পাবে না, নিরাপত্তাও পাবে না)। ছাহাবীগণ বললেন, তাহলে কি আমরা তখন ঐ শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না? রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, না, যতক্ষণ তারা ছালাত আদায় করে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৮৫৪; মিশকাত, হা/৩৬৭১ ‘নেতৃত্ব ও পদ মর্যাদা’ অধ্যায়; বঙ্গানুবাদ মিশকাত ৭/২৩৩ পৃ.)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘আর তোমরা যখন তোমাদের শাসকদের নিকট থেকে এমন কিছু দেখবে, যা তোমরা অপসন্দ কর, তখন তোমরা তার কাজকে অপসন্দ কর; কিন্তু তাদের থেকে আনুগত্যের হাত ছিনিয়ে নিয়ো না’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৮৫৫)। দাওরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে ইবনু তীন বর্ণনা করেন, ‘স্বৈরাচার শাসকদের সম্পর্কে ওলামায়ে কেরাম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা হল, বিশৃংখলা-বিপর্যয় এবং সীমালংঘন ছাড়াই যদি তার থেকে আনুগত্যের বন্ধন ছিন্ন করা যায়, তাহলে তা অবশ্যই করা যাবে। অন্যথা ধৈর্যধারণ করা ওয়াজিব’ (ফাৎহুল বারী, ১৩তম খণ্ড, পৃ. ১০)। ইমাম ইবনে তায়মিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, اَلصَّبْرُ عَلَى جَوْرِ الْأَئِمَّةِ أَصْلٌ مِّنْ أُصُوْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ ‘স্বৈরাচার শাসকদের উপর ধৈর্যধারণ করা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মূলনীতি সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি মূলনীতি’ (মিনহাজুস সুন্নাহ, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৫২৭)।


প্রশ্নকারী : আব্দুর রাযযাক, চারঘাট, রাজশাহী।





প্রশ্ন (৫) : মৃত ব্যক্তির ছওয়াবের উদ্দেশ্যে গরু যব্হ করে জনগণকে খাওয়ানো হয় ও নিজেরা খায়। এটা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : তাওহীদ ৩ প্রকার। তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ, উলূহিয়্যাহ, আসমা ওয়াছ ছিফাত। এভাবে তাওহীদের প্রকার করা ও এই নামগুলো কখন থেকে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : গর্ভবতী মহিলার ২ বা ৩ মাসের বাচ্চা নষ্ট হলে তাকে কি ছালাত-ছিয়াম পালন করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : স্ত্রীর ভরণ-পোষণ না দিলে স্বামী গুনাহগার হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : কাল্পনিক গল্প বলে উদাহরণ পেশ করা বা উপন্যাস লেখা কি বৈধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : জনৈক ব্যক্তি মোবাইলে গেম খেলতে গিয়ে নিজস্ব টাকা খরচ হয়ে গেছে। পরে ভুল বুঝতে পেরেছে। এখন গেমটি অন্য কারও কাছে বিক্রি করে টাকা নেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : শরী‘আতে জন্মদিন পালন করার বিধান কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : জনৈক আলেম বলেন, কুরবানী দিতে অক্ষম ব্যক্তিগণ কুরবানীর খালেছ নিয়তে যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর নখ ও চুল না কাটলে সে আল্লাহর নিকটে তা পূর্ণাঙ্গ কুরবানী হিসাবে গৃহীত হবে। তিনি দলীল হিসাবে মিশকাত হা/১৪৭৯ পেশ করেছেন। সেই সাথে এটাও বলেছেন যে, শু‘আইব আরনাঊত্ব (রাহিমাহুল্লাহ) অত্র হাদীছটিকে হাসান বলেছেন। তবে শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) অত্র হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। এখন আমরা দুই শায়খের মধ্যে কার তাহক্বীক্বকে প্রাধান্য দিব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : ‘হাজারে আসওয়াদ ভূপৃষ্ঠে আল্লাহর ডান হাত। সুতরাং যে তাতে হাত লাগাল এবং চুমু খেল সে যেন আল্লাহর সাথে মুছাফাহা করল এবং তার ডান হাতে চুমু খেল’। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩): তুরস্কের অধিবাসীদের আক্বীদা কেমন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : শরী‘আতে একাকী দু‘আ করার ক্ষেত্রে দু‘আর শুরুতে হামদ ও দরূদ পাঠের কথা বলা হয়েছে (তিরমিযী, হা/৩৪৭৬) কিন্তু শেষে হামদ ও দরূদ পাঠ করার কথা হাদীছে পাওয়া যায় না। প্রশ্ন হল- দু‘আ করার সময় হামদ ও দরূদ দিয়ে শেষ করা শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : ধান, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, আলু ইত্যাদি মওজুদ করে রাখার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ