উত্তর : খাদ্য সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ধান, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, আলু ইত্যাদি মওজুদ করে রাখা যাবে না। মা‘মার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, مَنِ احْتَكَرَ فَهُوَ خَاطِئٌ ‘যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত করে, সে বড় অপরাধী (ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০৫; মিশকাত, হা/২৮৯২)। অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, ‘নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আমলে এক সময় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেল। লোকেরা অনুরোধ করল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাদের জন্য দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দিন। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, মূল্যের গতি আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতেই নির্ধারিত হয়ে থাকে। সঙ্কীর্ণতা ও প্রশস্ততা আনয়নকারী একমাত্র তিনিই এবং তিনিই রিযিকদাতা। আর আমি এই চেষ্টাই থাকি যে, আমি আল্লাহর কাছে এই অবস্থায় সাক্ষাৎ করি যেন আমার ওপর তোমাদের কারও জানের বা মালের প্রতি কোন অন্যায়-অবিচারের দাবি না থাকে (তিরমিযী, হা/১৩১৪; আবু দাঊদ, হা/৩৪৫১; ইবনু মাজাহ, হা/২২০০; দারেমী, হা/২৫৪৫; মিশকাত, হা/২৮৯৪, সনদ ছহীহ)। অতএব সাবধান।
প্রশ্নকারী : হিসাব্দ্দুীন, দিনাজপুর।