উত্তর : দু’টি শর্ত সাপেক্ষে এটি বৈধ। প্রথমত হারাম বিষয়বস্তু থেকে মুক্ত হতে হবে। দ্বিতীয়ত কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির দিকে সম্পর্ক করা যাবে না। কেননা তখন সেটা মিথ্যা হতে পারে এবং সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণ ঘটতে পারে। এ প্রসঙ্গে শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মানুষ যখন কোন ঘটনা দিয়ে উদাহরণ পেশ করেন, যেমন সে বলল, ‘আমি তোমাদের কাছে উদাহরণস্বরূপ একজন ব্যক্তির দৃষ্টান্ত পেশ করতে চাই, অমুক এরূপ করেছে বা এরূপ বলেছে। এখান থেকে আমরা এটা বুঝতে পারলাম বা এর ফলাফল এরূপ’, এভাবে উদাহরণ পেশ করলে তাতে সমস্যা নেই। এমনকি এ ব্যাপারে আলেমগণ কুরআনের আয়াত দ্বারা উদ্ধৃতি পেশ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَ اضۡرِبۡ لَہُمۡ مَّثَلًا رَّجُلَیۡنِ جَعَلۡنَا لِاَحَدِہِمَا جَنَّتَیۡنِ مِنۡ اَعۡنَابٍ وَّ حَفَفۡنٰہُمَا بِنَخۡلٍ وَّ جَعَلۡنَا بَیۡنَہُمَا زَرۡعًا
‘আপনি তাদের কাছে পেশ করুন, দুই ব্যক্তির উপমা, তাদের একজনকে আমি দিয়েছিলাম দু’টি আঙ্গুরের উদ্যান এবং এই দু’টিকে আমি খেজুর বৃক্ষ দ্বারা পরিবেষ্টিত করেছিলাম ও এই দু’য়ের মধ্যবর্তী স্থানকে করেছিলাম শস্যক্ষেত্র’ (সূরা আল-কাহ্ফ : ৩২)। এ ধরনের উদাহরণ আরো আছে (সূরা আয-যুমার : ২৯)।
সুতরাং মানুষ যখন এমন ঘটনা বর্ণনা করবে, যা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির সম্পর্কিত নয়। যেমন ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল, এমন হয়েছিল, তার পরিণাম এরূপ’- এ ধরনের দৃষ্টান্ত প্রদানে কোন সমস্যা নেই। আর যদি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির দিকে সম্পর্কিত করে দৃষ্টান্ত পেশ করে, তাহলে সেটা মিথ্যার নামান্তর হতে পারে এবং তা হারাম হতে পারে এবং তার প্রতি মিথ্যা আরোপ করা হয়ে যেতে পারে। আর যদি তা কোন কওমকে হাসানোর উদ্দেশ্যে হয়, তবে এর পরিণাম ভয়াবহ। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মানুষকে হাসানোর জন্য যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে তার জন্য ধ্বংস, তার জন্য ধ্বংস, তার জন্য ধ্বংস’ (আবূ দাউদ, হা/৪৯৯০, সনদ হাসান; লিকাউল বাবুল মাফতূহ, ৭৭তম খণ্ড, পৃ. ২৩)।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ ইউনুস, নাটোর।