উত্তর : তাহাজ্জুদ ছালাত হল রাতের নফল ছালাত। ক্বিয়ামুল লায়ল, তারাবীহ, তাহাজ্জুদ বা ক্বিয়ামে রামাযান সবগুলোকেই রাতের নফল ছালাত বলা হয়। রাতের নফল ছালাত তিন রাক‘আত বিতর সহ ১১ রাক‘আত পড়াই উত্তম। দুই দুই রাক‘আত করে চার সালামে ৮ রাক‘আত। অতঃপর এক সালামে মাঝের তাশাহহুদ ছাড়াই তিন রাক‘আত বিতর পড়া। অথবা দুই দুই রাক‘আত করে ৫ সালামে ১০ রাক‘আত। এরপর এক রাক‘আত বিতর আদায় করা (ছহীহ বুখারী, হা/১১৪৭, ৯৯৫, ৯৯০; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭৯৭, ১৭৯৩, ১৭৮২; হাকেম, হা/১১৪০)। ঘুম থেকে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে সূরা আলে ‘ইমরানের শেষ ১১টি আয়াত পড়ে মিসওয়াক সহ ওযূ করে কিছু তাসবীহ পাঠ করতে হয়। দশবার করে ‘আল্লাহু আকবার’, ‘আলহামদুলিল্লাহ’, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ এবং ‘আল্লাহুম্মাগফির লী ওয়াহদিনী ওয়ারযুক্বনী ওয়া ‘আফিনী পড়তে হয়। অতঃপর ক্বিয়ামাতের দিনের সংকীর্ণ স্থান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হয় (আবূ দাঊদ, হা/৭৬৬; নাসাঈ, হা/১৬১৭, ৫৫৩৫, সনদ ছহীহ)। বিশেষ করে একটি দু‘আ পড়ার অভ্যাস করা উচিত, যা খুবই ফযীলতপূর্ণ-
لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ . اَلْحَمْدُ لِلهِ وَسُبْحَانَ اللهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ
‘রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাহাজ্জুদের ছালাতে ছানাও পড়েছেন ভিন্ন ভিন্ন। তাহাজ্জুদের ছালাত শুরুর পূর্বেই দু’রাক‘আত সংক্ষিপ্তভাবে ছালাত আদায় করা যায় (ছহীহ মুসলিম, হা/১৮৪৭ বিস্তারিত দ্র. ‘প্রশ্নোত্তরে আরকানুল ইসলাম’, প্রশ্ন নং-৭০০, পৃ. ৩৬৬-৩৬৮)।
প্রশ্নকারী : ফারজিয়া মাহবুব, ঢাকা।