মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ন
উত্তর : উপমহাদেশে চুল রাখার একটি ধরণ বা পদ্ধতিকে বুঝানোর জন্য বাবরী চুল বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এই পরিভাষাটি সরাসরি হাদীছ থেকে সংগৃহীত নয়। অভিধানে বলা হয়েছে, ‘বাবরী’ শব্দটি এসেছে ফার্সি শব্দ ‘বাবর’ বা ‘বাব্বার’ থেকে, যার অর্থ সিংহ। ‘বাবরী’ মানে সিংহ সদৃশ বা সিংহের কেশরের মত কাঁধ ছাড়ানো চুল। কাঁধ পর্যন্ত প্রলম্বিত কুঞ্চিত কেশদাম, বড় কোঁকড়া চুল। হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) ও শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, রাসূল (ﷺ) অধিকাংশ সময় চুল লম্বা রাখতেন (ফাৎহুল বারী, ১০/৩৬০ পৃ.; ফাতাওয়া নূরুন আলাদ্ দারব, ২২/২ পৃ.)। এমনকি কোন কোন সময় তাঁর চুলে চারটি বেণী করা যেত (আবূ দাঊদ, হা/৪১৯১; তিরমিযী, হা/১৭৮১)।

হাদীছের পরিভাষায় রাসূল (ﷺ)-এর লম্বা বা বাবরী চুল রাখার পদ্ধতিকে তিনটি শব্দে ব্যক্ত করা হয়েছে। যথা: (১) ‘ওয়াফরাহ’ তথা কানের লতি পর্যন্ত লম্বা চুল। আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ)-এর চুল তাঁর দুই কানের লতি পর্যন্ত লম্বা ছিল’ (আবূ দাঊদ, হা/৪১৮৫; ইবনু মাজাহ, হা/৩৬৩৫)। (২) ‘লিম্মাহ’ তথা গর্দান ও কানের লতির মাঝামাঝি বরাবর লম্বা চুল। বার’আহ ইবনু আযীব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি কোন ব্যক্তিকে ‘লিম্মা’ অর্থাৎ কান পর্যন্ত বাবরীধারী চুলে ও লাল ইয়ামানী চাদরের আবরণে রাসূল (ﷺ) থেকে অধিক সুন্দর দেখিনি। রাবী মুহাম্মদ (রাহিমাহুল্লাহ) অতিরিক্ত বর্ণনা করে বলেন, তাঁর চুল ঘাড় পর্যন্ত লম্বা ছিল (মুসলিম, হা/২৩৩৭; আবূ দাঊদ, হা/৪১৮৩)। (৩) ‘জুম্মাহ’ তথা ঘাড়ের নিচ পর্যন্ত বা ঘাড় পর্যন্ত প্রলম্বিত চুল (নাসাঈ, হা/৫০৬৬)।


প্রশ্নকারী : রুহুল আমীন, চট্টগ্রাম।





প্রশ্ন (১৩) : আলেম বা সম্মানী ব্যক্তিদের হাতে চুম্বন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : বিবাহ করে আমল করলে দ্বিগুন ছওয়াব পাওয়া যায় এই কথা কি সত্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৫) : জনৈক ব্যক্তি পীরের মুরীদ। তার বিশ্বাস হল- পীর সবকিছু করে দিবে। মুরীদ না হলে মৃত্যুর সময় শয়তান এসে ঈমান লুটে নিবে। উক্ত আক্বীদা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : অনেকেই মনে করে কা‘বার গিলাফে বরকত আছে। তাই গিলাফ ধরে দু‘আ বা কান্নাকাটি করা জায়েয। উক্ত ধারণা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : টাকার নিছাব দুইভাবে হিসাব করা হয়। স্বর্ণ ও রৌপ্যের হিসাবে। কিন্তু বর্তমানে স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্যে বিস্তর ব্যবধান পরিলক্ষিত হয়। এমতাবস্থায় কোন্ হিসাবে যাকাত দিতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : অনেকে বলে থাকেন, বর্তমান প্রচলিত ইসলামের ইতিহাসে অনেক ভুল আছে। তাহলে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা করে লাভ কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : ‘যে ব্যক্তি সকালে ও বিকালে সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের আগে ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে সে যেন একশ’টি হজ্জ আদায় করল বা একশ’টি উট আল্লাহর ওয়াস্তে দান করল। যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলল সে যেন আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য ১০০টি ঘোড়ার পিঠে মুজাহিদ প্রেরণ করলো অথবা আল্লাহর রাস্তায় ১০০ টি গাযওয়া বা অভিযানে শরীক হলো। আর যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার করে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করলো, সে যেন ইসমাঈল বংশের একশ’ ব্যক্তিকে দাসত্ব থেকে মুক্তি প্রদান করলো। আর যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ঐ দিনে তার চেয়ে বেশি আমল আর কেউ করতে পারবে না। তবে যদি কেউ তার সমান এই যিকরগুলো পাঠ করে বা তার চেয়ে বেশি পাঠ করে তাহলে ভিন্ন কথা। (তাহলে সেই শুধু তার উপরে উঠতে পারবে।) ইমাম নাসাঈর বর্ণনায় ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু’-র পরিবর্তে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুআ আলা কুলিল শাইয়্যিন কাদীর’ ১০০ বার পাঠ করার কথা বলা হয়েছে (তিরমিযী, ৫/৫১৩, নং ৩৪৭১; নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা, ৬/২০৫)। উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি আমলযোগ্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : ছালাতের মধ্যে ক্বিরাআত ছুটে গেলে কিংবা ভুল হলে সহো সিজদা দিতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : মৃত্যুর কারণে কান্নাকাটি করার শারঈ বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ বৈধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : শিশু জন্মের ৩ দিন পর মারা যায়। এরূপ অবস্থায় সেই শিশুর জন্য আক্বীকা করতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : কখন যাকাত বের করা সর্বাধিক উত্তম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ