উত্তর : হস্তমৈথুন করা হারাম কাজ। যে এটি করবে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। তবে তা ব্যভিচারের মত নয় (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা, ৩/৪৩৯ পৃ.)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, (১) ‘অবশ্যই সফলকাম হয়েছে মুমিনগণ। ... আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংরক্ষিত রাখে। তবে নিজেদের স্ত্রী বা অধিকারভুক্ত দাসীগণ ব্যতীত, এতে তারা নিন্দিত হবে না। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে, তারাই হবে সীমালংঘনকারী’ (সূরা আল-মুমিন: ১-৭)। ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘উপরিউক্ত আয়াতসমূহের ভিত্তিতে ইমাম শাফিঈ (রাহিমাহুল্লাহ) স্বীয় গ্রন্থ ‘কিতাবুল উম্ম’-এর মধ্যে বলেছেন, ‘অত্র আয়াত প্রমাণ করে যে, হস্তমৈথুন করা হারাম।
কোন মুসলিম নিজের বিবাহিতা স্ত্রী এবং অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া অন্য কারো বা কিছুর মাধ্যমে কাম-তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারে না’ (তাফসীরে ইবনু কাছীর দ্র.)। (২) ‘আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই, আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে অভাবমুক্ত না করা পর্যন্ত তারা যেন সংযম অবলম্বন করে’ (সূরা আন-নূর: ৩৩)। (৩) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ‘যে ব্যক্তির সামর্থ্য আছে, সে যেন বিয়ে করে নেয়। কেননা বিয়ে চক্ষুকে অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে সংযত করে। আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন ছিয়াম পালন করে। কেননা ছিয়াম প্রবৃত্তিকে ও যৌন উত্তেজনাকে দমন করে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯০৫, ৫০৬৫, ৫০৬৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪০০; তিরমিযী, হা/১০৮১; নাসাঈ, হা/৩২০৯; ইবনু মাজাহ, হা/১৮৪৫)। এখানে বিধান-প্রণেতা বিবাহে অসমর্থ্য যুবকদলকে ছিয়াম পালনের মাধ্যমে সংযম অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পরন্তু হস্তমৈথুন বৈধ হলে নিশ্চয় তার কোন ইঙ্গিত তিনি দিয়ে যেতেন।
সুতরাং এমন ব্যক্তির আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করা অপরিহার্য। তার দায়িত্ব বেশি-বেশি তাওবাহ, ইস্তিগফার, আমালে ছালিহাহ্, ছালাত আদায় ও ছাদাক্বাহ ইত্যাদি করতে থাকা। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘আর অবশ্যই আমি তার প্রতি ক্ষমাশীল, যে তাওবাহ্ করে, ঈমান আনয়ন করে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎ পথে চলতে থাকে’ (সূরা ত্বোহা: ৮২)। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ" ‘গুনাহ থেকে তাওবাহকারী নিষ্পাপ ব্যক্তিতুল্য’ (ইবনু মাজাহ, হা/৪২৫০)।
প্রশ্নকারী : জিহাদ, ঢাকা।