উত্তর : বিগত বছরগুলোর যাকাত প্রদান করতে হবে। যদি প্রত্যেক বছরের সম্পদের হিসাব নিশ্চিতভাবে জানা থাকে তাহলে সেই হিসাব করে ফরয যাকাত আদায় করবে। আর সঠিক হিসাব জানা না থাকলে সতর্কতার সাথে অনুমানের ভিত্তিতে যাকাত আদায় করবেন (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২৬১১৯, ৬৯৯৪০)। শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যাকাত একদিকে আল্লাহর ইবাদত, অন্যদিকে ফকীরদের অধিকার। কোন মানুষ যদি যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে সে দু’টি অধিকার লঙ্ঘন করে, আল্লাহ্র অধিকার এবং ফকীরদের অধিকার বা যাকাতের অন্য প্রাপকদের অধিকার। যদি সে ব্যক্তি পাঁচ বছর পর তাওবাহ করে, সেক্ষেত্রে আল্লাহর অধিকার থেকে সে অব্যাহতি পেয়েছে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তিনিই তাঁর বান্দাদের তাওবাহ ক্ববুল করেন ও পাপসমূহ মোচন করেন’ (সূরা আশ-শূরা: ২৫)। তবে দ্বিতীয় অধিকারটি বহাল আছে। সেটা হচ্ছে যাকাতের হক্বদার ফকীর বা অন্যান্য প্রাপকদের অধিকার।
তাই সে ব্যক্তির উপর ফরয এ সকল লোকদের কাছে যাকাতের সম্পদ হস্তান্তর করা। যদি তার তাওবাহ শুদ্ধ হয় তাহলে আশা করা যায় সে ব্যক্তি যাকাত আদায়ের ছওয়াব পাবেন। কেননা আল্লাহর অনুগ্রহ প্রশস্ত। আর যাকাতের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য সাধ্যানুযায়ী অনুমান করার চেষ্টা করবে। আল্লাহ কোন মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না। কোন বছর যদি সম্পদের পরিমাণ কিছু বেড়ে থাকে তাহলে অতিরিক্ত অংশেরও যাকাত আদায় করতে হবে। আর যদি কোন বছর সম্পদ কিছু কমে গিয়ে থাকে তাহলে সে ঘাটতির পরিমাণ যাকাত থেকে বাদ যাবে (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন, ১৮শ খণ্ড, প্রশ্ন নং-২১১ ২১৪; আসয়িলাতুল বাব আল-মাফতূহ, প্রশ্ন নং-৪৯৪, লিক্বা নং-১২)।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।