মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন
উত্তর : মানুষের ধ্যান ভঙ্গ হতে পারে এমন কোনও জিনিস মসজিদের ক্বিবলার দিকে রাখা  উচিত নয়। যেমন ছালাতের সময়সূচি, ক্যালেন্ডার, ঘড়ি ইত্যাদি‌। বরকতের আশায় মসজিদের দেওয়ালে কুরআনুল কারীমের আয়াত অথবা হাদীছের কিছু অংশ লিপিবদ্ধ করা বা ঝুঁলিয়ে রাখা অপসন্দনীয় ও বিদ‘আত (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ৫ম খ-, পৃ. ১৯০; লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ্, লিক্বা নং-১৯৭, প্রশ্ন নং-৮; আল-মাদখাল, ২য় খণ্ড, পৃ. ২১৫; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১২৭৯৮৭)।

শায়খ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ছালাতের মধ্যে মুছল্লীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে এমন কোন কিছুই মসজিদের ক্বিবলার দিকে রাখা উচিত নয়। আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর নিকট একটি বিচিত্র রঙের ফিনফিনে পর্দার কাপড় ছিল। তিনি তা ঘরের এক দিকে পর্দা হিসাবে ব্যবহার করছিলেন। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, أَمِيْطِيْ عَنَّا قِرَامَكِ هَذَا فَإِنَّهُ لَا تَزَالُ تَصَاوِيْرُهُ تَعْرِضُ فِيْ صَلَاتِيْ ‘আমার সামনে থেকে তোমার এই পর্দা দূরীভূত কর। কারণ ছালাত আদায়ের সময় এর নকশাগুলো বা ছবিগুলো অনবরত আমার সামনে ভেসে ওঠে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৭৪, ৫৯৫৯)। ওছমান ইবনু ত্বালহা আল-হাজাবী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ডেকে বলেছিলেন,

إِنِّيْ نَسِيْتُ أَنْ آمُرَكَ أَنْ تُخَمِّرَ الْقَرْنَيْنِ فَإِنَّهُ لَيْسَ يَنْبَغِيْ أَنْ يَكُوْنَ فِي الْبَيْتِ شَيْءٌ يَشْغَلُ الْمُصَلِّيْ

‘আমি আপনাকে আদেশ করতে ভূলে গেছি যে, (ইসমাঈলের যব্হকৃত দুম্বার) শিং দু’টি ঢেকে রাখুন (যা বায়তুল্লার দেয়ালে টাঙ্গানো ছিল) কারণ বায়তুল্লায় এমন কোন জিনিস থাকা সমীচীন নয়, যা মুছল্লীদের অন্যমনস্ক করে দেয়’ (আবূ দাঊদ, হা/২০৩০, সনদ ছহীহ; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৬২৮২৭)।

ইমাম শাওকানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘হাদীছ দু’টি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুছল্লীর সামনের দিকটা নকশা, চিত্র বা অন্য কিছু দ্বারা চাকচিক্যময় করা উচিত নয়। কেননা এতে মুছল্লীর মনোযোগ বিনষ্ট হয়’ (নায়লুল আওত্বার, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৭৩)।


প্রশ্নকারী : হুমায়ুন, খুলনা।





প্রশ্ন (২১) : সকাল ও বিকালে যে ১০০ বার সুবহানাল্লা-হিল আযীম ওয়াবিহামদিহী পাঠ করবে তাকে আল্লাহর সৃষ্টিকুলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দেয়া হবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৫) : সুলায়মান (আলাইহিস সালাম)-এর স্ত্রী কতজন ছিলেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : মায়ের সম্পদে মেয়েদের বা বোনদের অংশ কি বেশি থাকে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : জুমু‘আ মসজিদে মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা না থাকার কারণে মূল মসজিদ থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে ওয়াক্তিয়া মসজিদে শুধু মহিলাদের জন্য জুমু‘আর ব্যবস্থা করা যাবে কি? যেখানে একজন পুরুষ খুৎবা দিবে। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : জনৈক বক্তা বলেন, ইসলাম ধর্মে এমন একটি নফল ছালাত আছে যা সফর মাসের শেষ বুধবার পূর্বাহ্নের প্রথম প্রহরে এক সালামে চার রাক‘আত আদায় করা খুবই ফযীলতপূর্ণ। পদ্ধতি হল, প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহার সঙ্গে ১৭ বার সূরা কাওছার, ৫০ বার সূরাহ ইখলাছ এবং একবার করে সূরা নাস ও ফালাক্ব পাঠ করে। সালাম ফিরানোর পর সূরা ইউসুফের ২১ নং আয়াতের শেষাংশ ৩৬০ বার পাঠ করবে। শেষে সূরা আস-সাফফাতের ১৮০-১৮২ নং আয়াত পাঠ করে শেষ করবে। অতঃপর ফক্বীর মিসকীনদের মাঝে কিছু রুটি ছাদাক্বাহ করবে। এর মাধ্যমে বুধবার নাযিল হওয়া সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি লাভ করবে। কারণ প্রত্যেক বছর এই দিন ২০ হাজার ৩০০ শত বালা-মুছীবত নাযিল হয়। প্রশ্ন হল, উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : কিছু কিছু মসজিদে ক্বিবলার দিক নিয়ে সমস্যা রয়েছে। কম্পাস অনুযায়ী ঠিক ক্বিবলার দিকে পড়ে না। এক্ষণে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : কেউ কুরআনকে বা নবীকে অপমান করলে, তাকে প্রকাশ্যে হত্যার বিধান ইসলামে আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : পিতা-মাতার নামে কি দান করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : আনুমানিক ১২-১৫ বছর আগে দাদা মারা গেলে বন্যার কারণে বাড়িতেই কবর দেয়া হয়। পরে পাকা বাড়ি করার সময় জায়গা কম হয়ে গেলে কবরটির উপর বাড়ি করা হয়। এটা কি অন্যায় হয়েছে? এখন কী করা যেতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : একই রাতে দুইবার বিতর পড়া যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : ছালাত অবস্থায় মোবাইলে রিংটোন বাজলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : যারা নিজেকে ‘আহলে কুরআন’ দাবী করে বলে, আমরা কেবল কুরআন মানব, হাদীছ মানব না। এমন ব্যক্তিদেরকে কাফির বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ