উত্তর : যাবে। এই সময়ে কারণ বিশিষ্ট ছালাত আদায় করা যায়। যেমন তাহিয়্যাতুল মাসজিদ, তাহিয়্যাতুল উযূ, জানাযা, সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের ছালাত ইত্যাদি (ছহীহ বুখারী, হা/১১৪৯; ছহীহ মুসলিম, হা/২৪৫৮, ৯১১; ইবনু মাজাহ, হা/১২৬১, ১২৫৪; তিরমিযী, হা/৮৬৮; আবূ দাঊদ, হা/১৮৯৪; নাসাঈ, হা/৫৮৫)। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَجْلِسَ ‘যখনই তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে, তখনই সে যেন দু’রাক‘আত ছালাত আদায় না করে বসবে না (ছহীহ বুখারী, হা/১১৬৩; ইবনু খযাইমা, হা/১৮২৭)।
শায়খ মুহাম্মাদ বিন ছালিহ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
ذا دخلت المسجد بعد العصر قبل غروب الشمس، فصل ركعتين، وإذا دخلت المسجد بعد صلاة الفجر وقبل طلوع الشمس، فصل ركعتين، وذلك لأن صلاة ركعتين تحية المسجد صلاة ذات سبب
আছরের পর সূর্য ডোবার পূর্বে যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন দু’রাক‘আত তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করবে। অনুরূপভাবে ফজরের পর সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বে যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন দু’রাক‘আত তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করবে। কেননা এ দু’রাক‘আত তাহিয়্যাতুল মসজিদ কারণ বিশিষ্ট ছালাতের অন্তর্ভুক্ত (শায়খ উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দার্ব, নং ২৩২)।
উল্লেখ্য যে, ফজরের ছালাতের পর সূর্য ধনুক পরিমাণ উপরে উঠা পর্যন্ত, আছর ছালাতের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত এবং ঠিক দ্বি-প্রহরে সূর্য ঢলে যাওয়ার সময় সাধারণ নফল ছালাত নিষিদ্ধ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮১; ছহীহ মুসলিম, হা/৮২৬)।
প্রশ্নকারী : মুজিবুল হক্ব, যুক্তরাষ্ট্র।