শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
উত্তর : মাসিক অথবা বার্ষিক সূদপ্রাপ্তির শর্তে সূদী ব্যাংকে টাকা রাখা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। আর যদি সূদ ছাড়াই রাখে, তবে সেক্ষেত্রেও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া না রাখাই উচিত। যেমন এলাকায় যদি সূদমুক্ত ব্যবস্থা না থাকা, ঘরে চুরি হওয়ার আশঙ্কা ইত্যাদি (ইবনু বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ১৯তম খণ্ড, পৃ. ৪১৩-৪১৪,  ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩০, ৩১১)। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা বহুগুণ বৃদ্ধি করে চক্রবৃদ্ধি হারে সূদ খাবে না। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফল হও’ (সূরা আলে ‘ইমরান  : ১৩০)।

সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন যে, ‘বিশেষ প্রয়োজনে সূদী ব্যাংকে খাতা খোলা জায়েয। যেমন ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত সুবিধা, দেশ-বিদেশে অর্থ আদান-প্রদানের সুবিধা, অর্থের নিরাপত্তা ইত্যাদি। কিন্তু হারাম সূদের মাধ্যমে অর্থ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে খাতা খোলা হারাম। কেননা নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূদখোর, সূদদাতা, তার সাক্ষীদাতা ও তার লেখককে অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, ওরা সবাই সমান’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৮; তিরমিযী, হা/১২০৬; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৩ তম খণ্ড, পৃ. ৩৭৫)। সূদ গ্রহণ না করলেও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সূদী ব্যাংকে টাকা রাখা জায়েয নয়। কেননা এটি এক প্রকারের নিষিদ্ধ কাজে সহযোগিতার অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ تَعَاوَنُوۡا عَلَی الۡبِرِّ وَ التَّقۡوٰی ۪ وَ لَا تَعَاوَنُوۡا عَلَی الۡاِثۡمِ وَ الۡعُدۡوَانِ ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ  شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ

‘নেককাজ ও তাক্বওয়ায় তোমরা পরস্পরের সাহায্য কর এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যের সাহায্য করবে না। আর আল্লাহর তাক্বওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ২; ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-৯৫৩৭)। শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘প্রয়োজনে ব্যাংকে খাতা খোলা দোষণীয় নয়। কিন্তু প্রয়োজন ছাড়া খাতা খোলা যাবে না’ (লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ, ২২তম খণ্ড, পৃ. ১৮০)।

শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু জিবরীন (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘ব্যাংকের সূদ ব্যাংকে ছেড়ে দিলে তা অবৈধ পথে অথবা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও তাদের নিধনের কাজে ব্যয় হতে পারে। সুতরাং তা তুলে নিয়ে স্বীয় দায়িত্বে সহায়হীন, দূরবস্থাপন্ন, নিঃসম্বল ও প্রতিবন্ধী মানুষদের মাঝে ছওয়াবের নিয়ত না রেখে বিতরণ করে দেয়াই উত্তম হবে’ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪০৬-৪০৭)।


প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, আগারগাঁও, ঢাকা।





প্রশ্ন (২০) : মারফূ‘ আছার কাকে বলে? এই সকল হাদীছের উপর আমল করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : জন্ম নিবন্ধন প্রথমে সঠিক বয়স দিয়েই তৈরি করা ছিল। কিন্তু পরে ২ বছর কমিয়ে নতুন করে সংশোধন করা হয় এবং তার আলোকেই একাডেমিক সার্টিফিকেট ও পাসপোর্ট করা হয়েছে। এখন বুঝতে পারছি এটা গুনাহের কাজ। কিন্তু সংশোধন করার কোন উপায় পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : যোহরের পরের ২ রাক‘আত সুন্নাত কি ফরয ছালাতের আগে পড়ে নেয়া যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : মহিলারা কাঁচের চুড়ি অথবা বাজনাযুক্ত অলংকার পরিধান করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : মসজিদের পূর্ব, পশ্চিম এবং উত্তর দিকে কবর রয়েছে। মসজিদ ও কবরের মাঝে মসজিদের দেয়াল ছাড়া অন্য কোন দেয়াল নেই। মসজিদ কমিটিকে মসজিদ ও কবরের মাঝে প্রাচীর দেয়ার কথা বলেও কোন লাভ হয়নি। কমিটির অধিকাংশ সদস্য চরমোনাই ও ইলিয়াসী তাবলীগের সাথে জড়িত। এমন মসজিদে মাসিক চাঁদা দেয়া, ইমামের বেতনের জন্য টাকা দেয়া, দান করা কি জায়েয হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : কাদিয়ানী কি বন্ধু হতে পারে? কাদিয়ানীদের সাথে কেমন ব্যবহার করা উচিত? তাদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : কোন নারী তার সব সম্পত্তি ওয়াকফ করে দিতে পারবে কি? উল্লেখ্য, তার স্বামী, সন্তানেরা ধনী হওয়ার কারণে এ কাজে তাদের কোন আপত্তি নেই। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে আরোগ্য লাভের উদ্দেশ্যে নফল ছিয়াম রাখা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন আল্লাহ তা‘আলা যমীন সৃষ্টি করলেন তখন তা দুলতে লাগল। অতঃপর পাহাড়গুলো সৃষ্টি করে সেগুলো পৃথিবীর উপর স্থীর করেন। অতঃপর পৃথিবী স্থীর হয়ে গেল। ফেরেশতাগণ পাহাড়ের এ শক্তি দেখে আশ্চর্যান্বিত হলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পাহাড় অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ; আর সেটা লোহা। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করল, হে প্রভু! আপনার সৃষ্টির মধ্যে লোহা অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আগুন। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে আগুন অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; পানি। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পানি অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; বাতাস। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে বাতাস অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; আদম সন্তান। যে তার ডান হাতে দান করে আর দানকে বাম হাত হতে গোপন রাখে। এ ঘটনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : প্রচলিত চার মাযহাব কি স্ব স্ব ইমাম সৃষ্টি করেছেন, না-কি তাঁদের মৃত্যুর পরে তৈরি হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : ‘আল্লাহর ইচ্ছায় গাছের পাতা পড়ে না বা কোন কাজ সংঘটিত হয় না’, না-কি ‘আল্লাহর হুকুমে গাছের পাতা ঝরে পড়ে না বা কোন কাজ হয় না’। কোন্ কথাটি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : পেনশনের টাকা দিয়ে হজ্জ, ওমরাহ আদায় করলে সেটা কি কবুল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ