বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ অপরাহ্ন
উত্তর : মাসিক অথবা বার্ষিক সূদপ্রাপ্তির শর্তে সূদী ব্যাংকে টাকা রাখা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। আর যদি সূদ ছাড়াই রাখে, তবে সেক্ষেত্রেও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া না রাখাই উচিত। যেমন এলাকায় যদি সূদমুক্ত ব্যবস্থা না থাকা, ঘরে চুরি হওয়ার আশঙ্কা ইত্যাদি (ইবনু বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ১৯তম খণ্ড, পৃ. ৪১৩-৪১৪,  ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩০, ৩১১)। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা বহুগুণ বৃদ্ধি করে চক্রবৃদ্ধি হারে সূদ খাবে না। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফল হও’ (সূরা আলে ‘ইমরান  : ১৩০)।

সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন যে, ‘বিশেষ প্রয়োজনে সূদী ব্যাংকে খাতা খোলা জায়েয। যেমন ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত সুবিধা, দেশ-বিদেশে অর্থ আদান-প্রদানের সুবিধা, অর্থের নিরাপত্তা ইত্যাদি। কিন্তু হারাম সূদের মাধ্যমে অর্থ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে খাতা খোলা হারাম। কেননা নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূদখোর, সূদদাতা, তার সাক্ষীদাতা ও তার লেখককে অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, ওরা সবাই সমান’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৮; তিরমিযী, হা/১২০৬; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৩ তম খণ্ড, পৃ. ৩৭৫)। সূদ গ্রহণ না করলেও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সূদী ব্যাংকে টাকা রাখা জায়েয নয়। কেননা এটি এক প্রকারের নিষিদ্ধ কাজে সহযোগিতার অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ تَعَاوَنُوۡا عَلَی الۡبِرِّ وَ التَّقۡوٰی ۪ وَ لَا تَعَاوَنُوۡا عَلَی الۡاِثۡمِ وَ الۡعُدۡوَانِ ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ  شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ

‘নেককাজ ও তাক্বওয়ায় তোমরা পরস্পরের সাহায্য কর এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যের সাহায্য করবে না। আর আল্লাহর তাক্বওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ২; ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-৯৫৩৭)। শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘প্রয়োজনে ব্যাংকে খাতা খোলা দোষণীয় নয়। কিন্তু প্রয়োজন ছাড়া খাতা খোলা যাবে না’ (লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ, ২২তম খণ্ড, পৃ. ১৮০)।

শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু জিবরীন (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘ব্যাংকের সূদ ব্যাংকে ছেড়ে দিলে তা অবৈধ পথে অথবা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও তাদের নিধনের কাজে ব্যয় হতে পারে। সুতরাং তা তুলে নিয়ে স্বীয় দায়িত্বে সহায়হীন, দূরবস্থাপন্ন, নিঃসম্বল ও প্রতিবন্ধী মানুষদের মাঝে ছওয়াবের নিয়ত না রেখে বিতরণ করে দেয়াই উত্তম হবে’ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪০৬-৪০৭)।


প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, আগারগাঁও, ঢাকা।





প্রশ্ন (১৪) : আহলে কিতাবদের যব্হ করা খাবার খাওয়া কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : হায়াতুন্নবীতে বিশ্বাস করা যাবে কি? অলী-আওলিয়া কবরে জীবিত থেকে মানুষের উপকার বা ক্ষতি করতে পারেন এমন বিশ্বাস করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : আহলে বাইত বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : জনৈক আলেম বলেছেন, আবূ হানিফা (রহ.)-এর নাম নাকি ছহীহ হাদীছে আছে। তিনি না-কি ‘সুরাইয়া’ নামক তারকা থেকে ইলম অর্জন করেছেন। কথাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : হিন্দুদের কাটা ছাগলের চামড়া কোন মুসলিম কিনতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : কুরআন তিলাওয়াত, কুরআন মুখস্থ, ইসলামী জ্ঞান চর্চা বা দ্বীনি কাজে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিজয়ীদের পুরস্কার গ্রহণের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : কুরআনের আয়াত ও বিভিন্ন হাদীছ মানসূখ হওয়ার কারণ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ‘মদ পান করলে ৪০ দিন ছালাত কবুল হয় না’  মর্মে বর্ণিত কথার সত্যতা কতটুকু? আর এ কথা কি ঠিক যে, ‘মদ-গাঁজা সেবন করলে চল্লিশ দিন শরীর অপবিত্র থাকে’?  - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : জেহরী ছালাতে ইমাম আমীন বলতে ভুলে গেলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে না বললে মুক্তাদীগণের আমীন বলতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : শরী‘আতের দৃষ্টিতে পোশাক পরিধানের সময় কোন্ কোন্ জিনিস থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : হিজড়ারা জিনের সন্তান। এ দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : জনৈকা মহিলা স্বামীর অত্যাচারের কারণে অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক করে বিয়ে করে। আগের স্বামীর কাছ থেকে তালাক নেয়নি এবং নিজে খোলা বা বিবাহ বিচ্ছিন্নও করেনি। বর্তমান সংসারে দু’টি সন্তান আছে। সে পাপ কাজে জড়িত বলে অনুতপ্ত। এখন করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ