উত্তর : পালিত পুত্র ও কন্যা পালক পিতা-মাতার জন্য মাহরাম হিসাবে গণ্য হবে না। কেননা শরী‘আতে পালকপুত্রকে রক্তসম্পর্কীয় পুত্র হিসাবে গণ্য করতে নিষেধ করা হয়েছে (সূরা আল-আহযাব : ৩৭; তাফসীরুল কুরআনিল ‘আযীম, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৫৩)। পালিত পুত্র ও কন্যা যে মাহরাম নয় তা স্পষ্ট করার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বীয় পালকপুত্র য়াযেদ বিন হারিছা (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর ত্বালাক্ব দেয়া স্ত্রী যয়নাব বিনতু জাহাশ (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে বিবাহ করেছিলেন। এ মর্মে আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর যায়েদ যখন তার স্ত্রীর সাথে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করল তখন আমরা তাকে আপনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম, যাতে পালক পুত্রদের স্ত্রীদের ব্যাপারে মুমিনদের মধ্যে কোন দ্বিধা না থাকে; যখন তারা তাদের স্ত্রীদের সাথে বিবাহসম্পর্ক ছিন্ন করে। আর আল্লাহর নির্দেশ কার্যকর হয়ে থাকে’ (সূরা আল-আহযাব ৩৭)। আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যয়নাবের বিবাহে যতবড় ওয়ালীমা করেছিলেন ততবড় ওয়ালীমা তিনি তাঁর অন্য কোন স্ত্রীর বিবাহে করেননি। তিনি (এই বিবাহে) একটি ছাগল দিয়ে ওয়ালীমা করেছিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/৫১৬৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪২৮)। অতএব, পালিত পুত্র ও কন্যা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার সাথে সাথে তাদের প্রতি ইসলামী বিধান তথা পর্দা করা ফরয হয়ে যাবে।
প্রশ্নকারী : মিকাইল, সাতক্ষীরা।