উত্তর : হাদীছটি ছহীহ। আবূ মূসা আল-আশ‘আরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
ثلاثةٌ يَدْعونَ اللهَ فلا يُستجابُ لهم: رَجلٌ كانتْ تحتَهُ امرأةٌ سيِّئةُ الخُلُقِ فلمْ يُطلِّقْها، ورَجلٌ كان له على رَجلٍ مالٌ فلمْ يُشهِدْ عليه، ورَجلٌ آتَى سفيهًا مالَهُ وقد قالَ اللهُ عزَّ وجلَّ: (وَلَا تُؤْتُوا السُّفَهَاءَ أَمْوَالَكُمُ) النساء
‘তিন শ্রেণীর মানুষ আল্লাহর কাছে দু‘আ করে, কিন্তু তাদের দু‘আ ক্ববুল করা হয় না। যথা : এমন ব্যক্তি যার অধীনে চরিত্রহীনা স্ত্রী রয়েছে, কিন্তু সে তাকে ত্বালাক্ব দেয় না। এমন ব্যক্তি যে অপর ব্যক্তিকে ঋণ দিয়েছে, কিন্তু সে ব্যাপারে কাউকে সাক্ষী রাখেনি এবং এমন ব্যক্তি যে মূর্খ ব্যক্তির হাতে অর্থ প্রদান করে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আর তোমরা অল্প বুদ্ধিমানদেরকে তাদের ধন-সম্পদ অর্পণ করো না’ (সূরা আন-নিসা: ৫; তাফসীরে ত্বাবারী, হা/৮৫৪৪; মুসতাদরাকে হাকিম, হা/৩১৮১, ৩২২৩; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৮০৫)।
উক্ত হাদীছের উদ্দেশ্য হল- পূর্বোক্ত তিনটি বিষয়ে ঐ তিন শ্রেণীর মানুষের দু‘আ ক্ববুল হবে না। এমনটি নয় যে, 'এই তিন শ্রেণীর মানুষ অন্যান্য বিষয়ে দু‘আ করলেও ক্ববুল হবে না’। বিষয়টি হল- যার অধীনে চরিত্রহীনা স্ত্রী রয়েছে, কিন্তু সে তাকে ত্বালাক্ব দেয় না, অথচ সে এ ব্যাপারে সক্ষম, এমন ব্যক্তি তার স্ত্রীর ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলার কাছে দু‘আ করলেও তার দু‘আ ক্ববুল করা হয় না। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি ঋণ দেয়ার সময় সাক্ষী রাখেনি, ঋণের টাকা না পেয়ে কিংবা ঋণ গ্রহীতা যদি অস্বীকার করে, এখন তার বিরুদ্ধে কোন দু‘আ করলেও তার দু‘আ ক্ববুল করা হয় না। অর্থাৎ দু‘আ ক্ববুল না হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট তিনটি বিষয় ও পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পৃক্ত (ফিক্বহুল মুসলিম অনলাইন, https://fiqh.islamonline.net/%D8%AD%D8%AF%D9%8A%D8%AB-%D8%AB%D)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রব, বরিশাল।