উত্তর : সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়ে বুকে ফুঁ দেয়ার কোন দলীল পাওয়া যায় না। অনেকে ফরয ছালাতের পর নিয়মিত সূরা ইখলাছ সহ সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়ে বুকে বা বুক পকেটে ফুঁ দিতে দেখা যায়। অথচ উক্ত আমলের ছহীহ কোন দলীল নেই (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২৭৬৪৪০)। তবে সেটা যদি যাদু-টোনা থেকে মুক্তির জন্য ঝাড়ফুঁক করার সময় হয়, সেক্ষেত্রে বুকে ফুঁ দেয়া জায়েয (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ইবনে বায, ৬/২৮৮ পৃ.)। ‘ইসলাম ওয়েব’-এর আলেমগণ বলেন, ‘সূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়ে ফুঁ দেয়ার বিষয়টি রাসূল (ﷺ) থেকে ছহীহ সূত্রে দুই জায়গায় প্রমাণিত।
নবী (ﷺ) ঘুমানোর পূর্বে হাতে ফুঁ দিয়ে সারা শরীরে মাসাহ করতেন, ছালাতের পরে নয়। যেমন আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, রাসূল (ﷺ) যখন বিছানায় আসতেন, তখন তিনি তাঁর দু’হাতের তালুতে সূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়ে ফুঁক দিতেন। অতঃপর উভয় তালু দ্বারা স্বীয় মুখমণ্ডল এবং দু’হাত শরীরের যতদুর পৌঁছায় মাসাহ করতেন। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, এরপর রাসূল (ﷺ) যখন অসুস্থ হন, তখন তিনি আমাকে ঐ রকম করার নির্দেশ দিতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৪৮)। নবী (ﷺ) শারঈ ঝাড়ফুঁক করার সময় হাতে ফুঁ দিয়ে সারা শরীরে মাসাহ্ করতেন। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, নবী (ﷺ) যে রোগে মৃত্যুবরণ করেন, সেই রোগের সময়ে তিনি নিজ দেহে ‘নাস ও ফালাক্ব’ পড়ে ফুঁক দিতেন। অতঃপর যখন রোগের তীব্রতা বেড়ে গেল, তখন আমি সেগুলো পড়ে ফুঁক দিতাম। আর আমি তাঁর নিজের হাত তাঁর দেহের উপর বুলিয়ে দিতাম। কেননা, তাঁর হাতে বরকত ছিল। রাবী বলেন, আমি যুহরীকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কীভাবে ফুঁক দিতেন? তিনি বললেন, তিনি তাঁর দু’হাতের উপর ফুঁক দিতেন, অতঃপর সেই দু’হাত দিয়ে আপন মুখমণ্ডল বুলিয়ে নিতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৩৫, ৫৭৫১, ৫০১৬)। এছাড়া অন্য কোন সময়ে ফুঁক দেয়ার কথা প্রমাণিত নয় (ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-১৬২৬৫৯)।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ পারভেজ, রাজশাহী।