বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
উত্তর : শপথ ভঙ্গের কাফ্‌ফারার ব্যাপারে তিনটি বিষয় কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। তিনটি বিষয়ের মধ্যে যে কোন একটি বাছাই করে নিতে পারেন। যথা: ১. দশজন মিসকীনকে খাবার খাওয়ানো। নিজের ফ্যামিলিকে যে ধরনের খাবার খাওয়ানো হয় সে ধরনের মধ্যম মানের খাবার। প্রত্যেক মিসকীনকে দেশীয় খাদ্যদ্রব্যের অর্ধ ছা‘ দিতে হবে। যেমন চাল বা এ জাতীয় অন্য কিছু। অর্ধ ছা‘-এর পরিমাণ হচ্ছে প্রায় দেড় কিলোগ্রাম। যদি কোন দেশে ভাতের সাথে তরকারি খাওয়ার প্রচলন থাকে, অনেক দেশে এটাকে তাবিখ (রান্নাকৃত) বলা হয় সেক্ষেত্রে চালের সাথে তাদেরকে তরকারী বা গোশত দেয়া উচিত। আর যদি দশজন মিসকীনকে একত্রিত করে দুপুর বা রাতের খাবার খাওয়ানো হয় তাহলে সেটাও যথেষ্ট।  ২. দশজন মিসকীনকে বস্ত্র দান করা। যে কাপড় দিয়ে ছালাত আদায় করা যায় প্রত্যেক মিসকীনকে এমন ড্রেস দিতে হবে। পুরুষদের জন্য জামা (জুব্বা) কিংবা লুঙ্গি ও চাদর। আর নারীদের জন্য গোটা দেহ আচ্ছাদনকারী পোশাক এবং ওড়না। ৩. একজন ঈমানদার ক্রীতদাস আদায করা। যে ব্যক্তির এর কোনটি করার সামর্থ্য নেই সে ব্যক্তি লাগাতার তিনদিন ছিয়াম রাখবে (সূরা মায়েদাহ ৮৯)।

তবে নগদ অর্থ দিয়ে কাফ্‌ফারা দিলে আদায় হবে না। ইবনু কুদামা  (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘কাফ্ফারা আদায় করার ক্ষেত্রে খাদ্য কিংবা বস্ত্রের মূল্য দিয়ে দিলে কাফ্‌ফারা আদায় হবে না। কেননা আল্লাহ‌ খাদ্যের কথা উল্লেখ করেছেন। সুতরাং অন্য কিছু দিয়ে কাফ্‌ফারা আদায় হবে না। কারণ আল্লাহ‌ তা‘আলা তিনটি পদ্ধতি থেকে একটি চয়ন করার সুযোগ দিয়েছেন। যদি মূল্য দেয়া জায়েয হত তাহলে তিনটির মধ্যে সীমাবদ্ধ করার কোন অর্থ থাকে না’ (আল-মুগনী, ১১/২৫৬ পৃ.; ফাতাওয়া ইসলামিয়া, ৩/৪৮১ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : দেলোয়ার, নারায়ণগঞ্জ।





প্রশ্ন (২০) : নবী করীম (ﷺ)-এর ই‘তিকাফ কেমন ছিল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : আল্লাহ তা‘আলা যে আমাদের রিযিক্ব লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, সেটা কি আমাদের চেষ্টা বা কৃতকর্মের উপরে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন, না-কি আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছা অনুযায়ী লিপিবদ্ধ রেখেছেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৭) : একবার দরূদ পাঠ করলে ৮০ বছরের পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : বেশি নেকীর আশায় বড় মসজিদে গমন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : রামাযানের ছুটে যাওয়া ছিয়াম ধারাবাহিকভাবে আদায় করতে হবে, না-কি বিচ্ছিন্নভাবে আদায় করলেও চলবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : যে সকল দেশে মানবরচিত বিধান দ্বারা বিচার কার্র্য পরিচিালিত হয়, সেখানে বিচারক হওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : দুই সিজদার মাঝখানে যে দু‘আ পড়া হয় সেটি ওয়াজিব, না-কি সুন্নাত? এই দু‘আ পড়েছি নাকি পড়িনি এমন সন্দেহ হলে সাহু সিজদা দিতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : যঈফ হাদীছ কি সর্বক্ষেত্রেই বর্জনীয়? কোন কোন ক্ষেত্রে যঈফ হাদীছের উপর আমল করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : ঋণ নিয়ে কুরবানী দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : ছালাতে ক্বিরাআত ভুলে গেলে সাহু সিজাদহ দিতে হবে কি? সাহু সিজদাহ দেয়ার সঠিক নিয়ম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : জনৈক বক্তা বলেন, রাসূল (ﷺ) নবজাতক অবস্থায় একদিন তাঁর মা বাড়ীর আঙ্গিনায় শুইয়ে রেখেছিলেন। অন্যদিকে তাঁর জন্মের পূর্বে তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ ইন্তিকাল করাই মা আমিনার মন খারাপ ছিল। এমতাবস্থায় চাচা আবূ তালিব বলেন, আমি ঐ অবস্থায় লক্ষ্য করলাম যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) যখন তার হাত ডানদিকে নিচ্ছে তখন চন্দ্র ডান দিকে যাচ্ছে, আর যখন হাত বাম দিকে যাচ্ছে তখন চন্দ্র বাম দিকে যাচ্ছে। আর যখন উভয় হাত নিজের দিকে টেনে নিচ্ছে, তখন চন্দ্রও তাঁর নিকটবর্তী হচ্ছে। নবুওয়াত প্রাপ্তির পর চাচা আবূ তালিব এ সম্পর্কে রাসূল (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, জন্মের পূর্বে আমার পিতা মারা যাওয়ায় আমার মায়ের মন খারাপ ছিল। তাই ঐ সময়ের জন্য আল্লাহ তা‘আলা চন্দ্রকে আমার খেলনাস্বরূপ বানিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে আমার আনন্দের কোন ঘাটতি না পড়ে’। উক্ত ঘটনা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করা কি হারাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ