উত্তর : শপথ ভঙ্গের কাফ্ফারার ব্যাপারে তিনটি বিষয় কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। তিনটি বিষয়ের মধ্যে যে কোন একটি বাছাই করে নিতে পারেন। যথা: ১. দশজন মিসকীনকে খাবার খাওয়ানো। নিজের ফ্যামিলিকে যে ধরনের খাবার খাওয়ানো হয় সে ধরনের মধ্যম মানের খাবার। প্রত্যেক মিসকীনকে দেশীয় খাদ্যদ্রব্যের অর্ধ ছা‘ দিতে হবে। যেমন চাল বা এ জাতীয় অন্য কিছু। অর্ধ ছা‘-এর পরিমাণ হচ্ছে প্রায় দেড় কিলোগ্রাম। যদি কোন দেশে ভাতের সাথে তরকারি খাওয়ার প্রচলন থাকে, অনেক দেশে এটাকে তাবিখ (রান্নাকৃত) বলা হয় সেক্ষেত্রে চালের সাথে তাদেরকে তরকারী বা গোশত দেয়া উচিত। আর যদি দশজন মিসকীনকে একত্রিত করে দুপুর বা রাতের খাবার খাওয়ানো হয় তাহলে সেটাও যথেষ্ট। ২. দশজন মিসকীনকে বস্ত্র দান করা। যে কাপড় দিয়ে ছালাত আদায় করা যায় প্রত্যেক মিসকীনকে এমন ড্রেস দিতে হবে। পুরুষদের জন্য জামা (জুব্বা) কিংবা লুঙ্গি ও চাদর। আর নারীদের জন্য গোটা দেহ আচ্ছাদনকারী পোশাক এবং ওড়না। ৩. একজন ঈমানদার ক্রীতদাস আদায করা। যে ব্যক্তির এর কোনটি করার সামর্থ্য নেই সে ব্যক্তি লাগাতার তিনদিন ছিয়াম রাখবে (সূরা মায়েদাহ ৮৯)।
তবে নগদ অর্থ দিয়ে কাফ্ফারা দিলে আদায় হবে না। ইবনু কুদামা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘কাফ্ফারা আদায় করার ক্ষেত্রে খাদ্য কিংবা বস্ত্রের মূল্য দিয়ে দিলে কাফ্ফারা আদায় হবে না। কেননা আল্লাহ খাদ্যের কথা উল্লেখ করেছেন। সুতরাং অন্য কিছু দিয়ে কাফ্ফারা আদায় হবে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তিনটি পদ্ধতি থেকে একটি চয়ন করার সুযোগ দিয়েছেন। যদি মূল্য দেয়া জায়েয হত তাহলে তিনটির মধ্যে সীমাবদ্ধ করার কোন অর্থ থাকে না’ (আল-মুগনী, ১১/২৫৬ পৃ.; ফাতাওয়া ইসলামিয়া, ৩/৪৮১ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : দেলোয়ার, নারায়ণগঞ্জ।