উত্তর : অসাবধানতাবশতঃ কোন মানুষের শরীরে পা লাগলে নতমস্তক হয়ে সালাম করা বা তার পায়ে স্পর্শ করে চুম্বন করা যাবে না। এটা কুসংস্কার। এই কারণে সৌজন্য দেখানো, ক্ষমা চাওয়ায় যথেষ্ট হবে। আর সম্মানহানির জন্য স্বেচ্ছায় যদি কেউ কারো গায়ে পা লাগায় তাহলে সেটা জঘন্য অপরাধ। এ জন্য ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সাথে সাথে আল্লাহর কাছেও তাওবাহ করতে হবে। নবী (ﷺ) বলেন, আল্লাহ আমার উম্মতকে ভুল, বিস্মৃতি ও জোরপূর্বক কৃত কাজের দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন (ইবনু মাজাহ, হা/২০৪৫; ছহীহুল জামি‘, হা/১৮৩৬)। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) নবী (ﷺ)-কে তাঁর দুই হাত তুলে দু‘আ করতে দেখেছেন। তিনি তাঁর দু‘আয় বলেন, হে আল্লাহ! আমি একজন মানুষই। অতএব তুমি আমাকে শাস্তি দিও না। মানুষসুলভ দুর্বলতার কারণে আমি যদি কোন মুমিন ব্যক্তিকে কষ্ট দিয়ে থাকি বা গালি দিয়ে থাকি, তবে তুমি সে জন্য আমাকে শাস্তি দিও না (ছহীহ আদাবিল মুফরাদ, হা/৪৭৬)। তাই মানুষকে সম্মান করতে হবে।
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। এই শ্রেষ্ঠত্বের কারণে মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদেরকে স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি, তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি’ (সূরা বানী ইসরাঈল: ৭০)। ইসলাম মানুষের সুনাম ও সম্মান রক্ষার জন্য অত্যন্ত বজ্রনির্ঘোষ বাণী উচ্চারণ করেছে (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)। ইসলামের দৃষ্টিতে একজন মুসলিম কর্তৃক অন্য মুসলিমের মান-সম্মান ও মর্যাদাকে নষ্ট করা হারাম (ছহীহ বুখারী হা/৬৭, ১০৫; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৭৯)। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদেরকে স্নেহ করে না এবং আমাদের বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে না বা সম্মানের প্রতি খেয়াল রাখে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় (আবূ দাঊদ, হা/৪৯৪৩; সনদ ছহীহ)।
প্রশ্নকারী : দেলওয়ার, ঢাকা।