উত্তর : সমাজে মেয়েকে কবুল বলানোর প্রথা প্রচলিত আছে। এটা শরী‘আত সম্মত নয়। বরং মেয়ের পিতা বা অভিভাব মেয়ের সম্মতি নিয়ে বরের সঙ্গে বিয়ে দিবেন। শুরুতে বিবাহের মজলিসে একজন আলেম বিয়ের খুৎবা পাঠ করবেন (মুগনী ৭/৬২ পৃ.)। কারণ রাসূল (ﷺ) শুরুতে খুৎবা পাঠ করতেন। বিবাহ অনুষ্ঠানের শুরুতে খুৎবা পাঠ না করলে ইমাম আহমাদ (রাহিমাহুল্লাহ) সেই অনুষ্ঠান বর্জন করতেন (আল-ইক্বনা‘, ৩/১৬২; কাশশাফুল কেনা‘, ৫/২১)। কারণ হাদীছে খুৎবা শেষে প্রয়োজনীয় কথা বলতে বলা হয়েছে, যা হল ইজাব ও কবুল (দারেমী, হা/২২০২, সনদ ছহীহ)। অতঃপর মেয়ের অভিভাবক দু’জন সাক্ষীর উপস্থিতে বরকে বলবেন, আমি তোমার সাথে আমার মেয়েকে বিবাহ দিলাম। তখন বর বলবে, আমি গ্রহণ করলাম (আবূ দাঊদ, হা/২১১৭; শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দার্ব দ্রঃ; তিরমিযী, হা/১১০৫, সনদ ছহীহ)।
যেহেতু মেয়ের অভিভাবকই মূল যিম্মাদার তাই অভিভাবক আগেই মেয়ের সম্মতি নিবেন। নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, কোন বিধবা নারীকে তার সম্মতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী মহিলাকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দিতে পারবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! কেমন করে তার অনুমতি নেয়া হবে। তিনি বললেন, চুপ থাকাটাই হচ্ছে তার অনুমতি (ছহীহ বুখারী, হা/৫১৩৬, ৫১৩৭)।
বিবাহের শেষে উপস্থিত সকলে নিজ নিজ সুন্নাতী দু‘আ পাঠ করবেন-بَارَكَ اللهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِى خَيْرٍ، ‘বা-রাকাল্লাহু লাকা, ওয়া বা-রাকা আলাইকা, ওয়া জামা‘আ বায়নাকুমা ফী খায়ের’। অর্থ : আল্লাহ তোমার জন্য বরকত দিন, তোমার উপরে বরকত দিন ও তোমাদের দু’জনকে কল্যাণের সাথে মিলিত করুন’ (আবূ দাঊদ, হা/২১৩০, সনদ ছহীহ)।
প্রশ্নকারী : ফখরুল ইসলাম, সিলেট।