সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন
উত্তর : সমাজে মেয়েকে কবুল বলানোর প্রথা প্রচলিত আছে। এটা শরী‘আত সম্মত নয়। বরং মেয়ের পিতা বা অভিভাব মেয়ের সম্মতি নিয়ে বরের সঙ্গে বিয়ে দিবেন। শুরুতে বিবাহের মজলিসে একজন আলেম বিয়ের খুৎবা পাঠ করবেন (মুগনী ৭/৬২ পৃ.)। কারণ রাসূল (ﷺ) শুরুতে খুৎবা পাঠ করতেন। বিবাহ অনুষ্ঠানের শুরুতে খুৎবা পাঠ না করলে ইমাম আহমাদ (রাহিমাহুল্লাহ) সেই অনুষ্ঠান বর্জন করতেন (আল-ইক্বনা‘, ৩/১৬২; কাশশাফুল কেনা‘, ৫/২১)। কারণ হাদীছে খুৎবা শেষে প্রয়োজনীয় কথা বলতে বলা হয়েছে, যা হল ইজাব ও কবুল (দারেমী, হা/২২০২, সনদ ছহীহ)। অতঃপর মেয়ের অভিভাবক দু’জন সাক্ষীর উপস্থিতে বরকে বলবেন, আমি তোমার সাথে আমার মেয়েকে বিবাহ দিলাম। তখন বর বলবে, আমি গ্রহণ করলাম (আবূ দাঊদ, হা/২১১৭; শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দার্ব দ্রঃ; তিরমিযী, হা/১১০৫, সনদ ছহীহ)।

যেহেতু মেয়ের অভিভাবকই মূল যিম্মাদার তাই অভিভাবক আগেই মেয়ের সম্মতি নিবেন। নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, কোন বিধবা নারীকে তার সম্মতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী মহিলাকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দিতে পারবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! কেমন করে তার অনুমতি নেয়া হবে। তিনি বললেন, চুপ থাকাটাই হচ্ছে তার অনুমতি (ছহীহ বুখারী, হা/৫১৩৬, ৫১৩৭)।

বিবাহের শেষে উপস্থিত সকলে নিজ নিজ সুন্নাতী দু‘আ পাঠ করবেন-بَارَكَ اللهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِى خَيْرٍ،  ‘বা-রাকাল্লাহু লাকা, ওয়া বা-রাকা আলাইকা, ওয়া জামা‘আ বায়নাকুমা ফী খায়ের’। অর্থ : আল্লাহ তোমার জন্য বরকত দিন, তোমার উপরে বরকত দিন ও তোমাদের দু’জনকে কল্যাণের সাথে মিলিত করুন’ (আবূ দাঊদ, হা/২১৩০, সনদ ছহীহ)।


প্রশ্নকারী : ফখরুল ইসলাম, সিলেট।





প্রশ্ন (২০) : ছাগীরা গুনাহের পরিচয় ও পরিণাম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : ইমামের কুরআন তেলওয়াত শুদ্ধ না হলে, মুক্তাদির ছালাত হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : জনৈক ব্যক্তি রাগের বশবর্তী হয়ে তার স্ত্রীকে বলে যে, আমার সাথে দেখা করলে কিংবা আমার সাথে কথা বললে ‘তুই আমার মা আর আমি তোর ছেলে’। তারা ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত। এক্ষণে তার করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : হাদীছে জুমু‘আর খুত্ববাহ সংক্ষিপ্ত ও ছালাত দীর্ঘায়িত করার কথা বর্ণিত হয়েছে। এই হাদীছের ব্যাখ্যা কী? উলামায়ে কিরাম কী বলেছেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : শুক্রবারে হানাফী মসজিদে আযান শুরু হয় অনেক আগে। কিন্তু জুমু‘আর খুত্ববাহ শুরু হয় অনেক দেরিতে। প্রশ্ন হল- শুক্রবারে মসজিদে আগে যাওয়ার যে ফযীলত, হানাফী মসজিদ কোন্ সময় গেলে তা হাছিল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : ‘ক্বিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে, তবে মসজিদগুলো ধ্বংস হবে না। সেগুলো একটি আরেকটির সাথে যুক্ত হবে এবং কা‘বার সাথে গিয়ে মিলিত হবে’। এ মর্মে কোন দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : সব শী‘আ কি কাফের? অনেক আলেমও বলে থাকেন যে, শী‘আরা কাফের। কিন্তু সালাফী আলেমগণ ঐভাবে বলতে নিষেধ করেন, কারণ অনেক শী‘আ আছে যারা কাফের নয়। প্রকৃত বিষয়টি কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : একদিন মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে তার নাতি হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি বড় না আপনি বড়? তখন নবী (ﷺ) বললেন যে, ‘তিনি বড়’। তখন হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলল, ‘না, আমি বড়’। তখন নবী (ﷺ) জিজ্ঞেস করলেন, কীভাবে? তিনি বললেন, ‘আপনার পিতার নাম কী?’ নবী (ﷺ) বললেন, আব্দুল্লাহ। হোসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলল, ‘আমার বাবা আলী, যাকে আল্লাহর সিংহ বলা হয়েছে’। ...পরিশেষে নবী (ﷺ) বলেন, ‘হোসাইন তুমিই বড়’। উক্ত ঘটনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : অনেক মসজিদ বা বাড়ীতে রং-বেরংয়ের জায়নামায দেখা যায়।সেগুলোতে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘রামাযানের শেষ দশকের বেজোড় কোন রাত যদি জুম‘আহ বারে পড়ে, তাহলে সে রাত্রি লাইলাতুল ক্বদর হওয়ার সম্ভাবনা অধিক’। এ কথা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে এবং সেটাকে মুখস্থ রেখেছে অতঃপর তার হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জেনেছে, তাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের এমন দশ ব্যক্তির ব্যাপারে সুপারিশ কবুল করবেন, যাদের প্রত্যেকের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়েছিল। এর সনদ ঠিক আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : কুরআনে এসেছে, কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। তাহলে দাইয়ূছ ব্যক্তি কেন জান্নাতে যাবে না? তার কী দোষ? এটা কি সাংঘর্ষিক নয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ