উত্তর : ইসলামী ভিডিও হোক বা সাধারণ কোনও ভিডিও হোক সর্বাবস্থায় মিউজিক হারাম। এক্ষেত্রে সরাসরি মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট বা বাদ্যযন্ত্র, সফটওয়্যার, মোবাইল অ্যাপ ইত্যাদি ব্যবহার করে সাউন্ড ইফেক্ট দেয়া হোক কিংবা ভোকাল সাউন্ড ব্যবহার করে মিউজিক সাদৃশ্য সাউন্ড দেয়া করা হোক সবই হারাম। শাইখ ড. আব্দুল্লাহ ইবনু জিবরীন (রাহিমাহুল্লাহ) (মৃত্যু ২০০৯ খ্রি.)-কে প্রশ্ন করা হয় যে, ‘বাদ্যযন্ত্রের শব্দের মত শোনায় এমন শব্দ মুখ থেকে বের করার বিধান কী?’ উত্তরে তিনি বলেন,
نرى أنه يحرم لأنه يقوم مقام آلات اللهو وهي آلات محرمة تصد عن ذكر الله وما قام مقامها فهو محرم . والله أعلم
‘আমরা মনে করি, এটি হারাম। কারণ এটি বাদ্যযন্ত্রের ভূমিকা পালন করে। আর বাদ্যযন্ত্র এমন এক মাধ্যম যা আল্লাহ্র স্মরণ থেকে মানুষকে বিরত রাখে এবং যা এর ভূমিকা পালন করে তা-ও হারাম। আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞানী’ (ফাতাওয়াউল ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৮৬৭; রংষধসয়ধ)। সুতরাং ভিডিওয়ের মধ্যে মিউজিকের ব্যবহার গর্হিত কাজ। আর তা যদি কোন ইসলামিক কনটেন্টে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা আরও বড় অন্যায়। সুতরাং তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। তবে প্রয়োজন বোধে পশুপাখির ডাক, নদীর শব্দ, সাগর তরঙ্গ, ঝর্ণা পতন, ঝড়ো হাওয়া ইত্যাদি সাউন্ড ইফেক্ট ব্যবহারে কোন দোষ নেই ইনশাআল্লাহ ।
এছাড়া ইতোপূর্বে যদি কোন ভিডিওতে মিউজিক বা গান-বাজনা ইত্যাদি ব্যবহার করে ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়ে থাকে, তাহলে সেগুলো অবশ্যই ডিলিট করতে হবে। অতঃপর মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। তৎসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় এটা প্রচার করে দিতে হবে যে, তার মিউজিক সম্বলিত ভিডিওগুলো অন্য কেউ আপলোড দিয়ে থাকলে সেও যেন ডিলিট করে দেয়। তাহলে আশা করা যায়, আল্লাহ ক্ষমা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল।
প্রশ্নকারী: মাহফুয বিন মানযূর, রাজশাহী।