উত্তর : স্বর্ণের নিছাব হল- ২০ মিছক্বাল বা ৮৫ গ্রাম অর্থাৎ ৭.৫ ভরি আর রুপার নিছাব হল- ১৪০ মিছক্বাল বা ৫৯৫ গ্রাম অর্থাৎ ৫২.৫ ভরি। অতএব যখনই ঐ নিছাব পরিমাণ স্বর্ণ বা রুপা একত্রিত হবে এবং তার উপর যখন এক বছর অতিবাহিত হবে, তখন যাকাত ফরয হবে (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৯/২৫৪-২৫৭ পৃ.)। রাসূল (ﷺ) বলেন, وَفِي الرِّقَّةِ رُبْعُ الْعُشْرِ ‘রৌপ্যের যাকাত চল্লিশ ভাগের এক ভাগ’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৫৪, ১৫৭৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘তোমার কাছে দু’শো দিরহাম থাকলে এবং তার উপর পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হলে পাঁচ দিরহাম (যাকাত) দিবে। স্বর্ণের ক্ষেত্রে বিশ দীনারের কমে যাকাত নেই। বিশ দীনারে উপর পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হলে অর্ধ দ্বীনার যাকাত দিতে হবে। এরপর যা বাড়বে তাতে উক্ত হিসাবে যাকাত দিতে হবে (আবূ দাঊদ, হা/১৫৭৩, ১৫৭২; ইবনু মাজাহ, হা/১৭৯১)। উপরিউক্ত হাদীছে রৌপ্যের যাকাত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, ২০০ দিরহামে ৫ দিরহাম যাকাত লাগবে। অর্থাৎ চল্লিশ ভাগের এক ভাগ বা ২.৫%। আর স্বর্ণের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২০ দীনারে অর্ধ দীনার যাকাত লাগবে। অর্থাৎ চল্লিশ ভাগের এক ভাগ বা ২.৫%। অতঃপর উপরের দিকে যত বাড়বে তাতে উপরিউক্ত হিসাবে যাকাত দিতে হবে’ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৪৫৬০০)। নিছাব পরিমাণ মাল হলে আপনার অলংকার বা স্বর্ণের যাকাত আদায় করা আপনার উপরই অপরিহার্য। কেননা যাকাত মালিকের উপরই ফরয। স্বামী বা সন্তানের উপর নয়। তবে আপনার স্বামী, বাবা, ভাই বা সন্তান চাইলে আপনার অনুমতি সাপেক্ষে আপনার পক্ষ থেকে যাকাত আদায় করতে পারে’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনু বায, ১৪/২৪১ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৪৩২০৭)।
প্রশ্নকারী : জাহাঙ্গীর আলম, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল।