উত্তর : মোহরানা স্ত্রীর নায্য অধিকার ও হক আর তা অনাদায়ে স্বামীর উপর ঋণ হিসাবে থাকবে। স্ত্রী মোহরানা দাবি করুক বা না করুক তা অবশ্যই আদায় করে নিতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ اٰتُوا النِّسَآءَ صَدُقٰتِهِنَّ نِحۡلَۃً ؕ ‘আর তোমরা নারীদেরকে তাদের মোহর মনের সন্তোষের সাথে প্রদান কর’ (সূরা আন-নিসা : ৪)।
ইসলামপূর্ব যুগে স্ত্রীর মোহর পরিশোধ করার ক্ষেত্রে নানা রকম তিক্ততার সৃষ্টি হত। প্রথমতঃ মোহর পরিশোধ করতে হলে মনে করা হত যেন জরিমানার অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে। এ অনাচার রোধ করার লক্ষেই نِحْلَةً শব্দটি ব্যবহার করে অত্যন্ত হৃষ্টমনে তা পরিশোধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেননা, অভিধানে نِحْلَةً বলা হয় সে দানকে, যা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে প্রদান করা হয়। মোটকথা, আয়াতে বলে দেয়া হয়েছে যে, স্ত্রীদের মোহর অবশ্য পরিশোধ্য একটা ঋণ বিশেষ। এটা পরিশোধ করা অত্যন্ত যরূরী। পরন্তু অন্যান্য ওয়াজিব ঋণ যেমন সন্তুষ্ট চিত্তে পরিশোধ করা হয়, স্ত্রীর মোহরের ঋণও তেমনি হৃষ্টচিত্তে, উদার মনে পরিশোধ করা কর্তব্য। আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আব্দুর রহমান ইবনু আউফ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) কোন এক মহিলাকে এক ‘নাওয়া’ (পাঁচ দিরহাম পরিমাণ) মোহর দিয়ে বিয়ে করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে খুশী দেখতে পেয়ে কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি এক মহিলাকে এক নাওয়া পরিমাণ মোহর দিয়ে বিয়ে করেছি’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫১৪৮) ।
প্রশ্নকারী : আজিজুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।