উত্তর : উক্ত বর্ণনাটি জাল। রাসূল (ﷺ) থেকে এমন কোন সনদ ছহীহ সূত্রে প্রমাণিত নয়। ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, সনদটি মাওযূ‘ বা বানোয়াট (আল-মাওযূ‘আত, ৩/৪১৮-৪১৯ পৃ.)। ইবনু হিব্বান (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদীছটি মাওযূ‘ বা বানোয়াট (আল-মাজরূহীন, ১/১৪৮ ও ১/১৬৬ পৃ.)। ইমাম শামসুদ্দীন আয-যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এর সনদে ইসহাক্ব নামী একজন মুনকিরুল হাদীছ বা হাদীছ বিরোধী রাবী রয়েছে (তারতীবুল মাওযূ‘আত, পৃ. ২৭৬)। ইবনুল ক্বাইসারানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদীছটি বাতিল বা অগ্রহণযোগ্য (যাখিরাতুল হুফফায, ২/১২০০ পৃ,)। আলী বিন মুহাম্মাদ বিন ইরাক্ব আল-কানানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদীছটি যঈফ বা দুর্বল (তানযীহুশ শারী‘আহ, ২/৩১৮ পৃ.; ইবনু ‘আদীর আল-কামিল ফিয-যু‘আফা, ১/৩৪৩ পৃ.; ইবনুল জাওযীর ‘আল-মাওযূ‘আত, ৩/১৬৪ পৃ.; দাইলামীর ‘আল-ফিরদাউস, ৩/৭৩১ পৃ.)। হাফিয ইবনে হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) এই সনদের একজন রাবী আব্দুর রহমান বিন মুহাম্মাদ আল-ইহমাদী সম্পর্কে বলেন, তামিমী বলেন, সে অজ্ঞাত বর্ণনাকারী (লিসানুল মীযান, ৩/৪৩৪ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১১০৯৪৯)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, ঢাকা।