উত্তর : নিঃসন্দেহে কুরআন আল্লাহ তা‘আলার সম্মানিত বাণী সমষ্টি এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদাপূর্ণ গ্রন্থ। এর মর্যাদা রক্ষা করা অপরিহার্য। কোনভাবে যেন তার মানহানি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা। কিন্ত কাফফারা স্বরূপ ঐ কুরআনের ওজন সমপরিমাণ চাউল অথবা অর্থ ছাদাক্বাহ করার কোন দলীল পাওয়া যায় না। এটা প্রচলিত প্রথা। অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি কুরআন কারো হাত থেকে পড়ে যায়, এর জন্য তাকে কোন ধরনের কাফ্ফারা দিতে হবে না। কারণ সে ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআনুল কারীমের অবমাননা করেনি। বরং এর জন্য সে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘ভুলবশতঃ তোমরা যা করে ফেল সে সম্পর্কে তোমাদের কোনও গুনাহ নেই। কিন্তু তোমাদের অন্তর যার ইচ্ছা করে তার কথা ভিন্ন’ (সূরা আহযাব : ৫)। তিনি আরো বলেন, ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা যদি ভুলে যাই কিংবা হঠাৎ অনিচ্ছাবশতঃ কোন ভুল করে ফেলি তবে আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৮৬)। রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘আমার উম্মতের হঠাৎ ঘটে যাওয়া ভুল, স্মরণ না থাকার কারণে ঘটে যাওয়া অন্যায় এবং জোরজবরদস্তি করে কৃত অপরাধকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে’ (ইবনু মাজাহ, হা/২০৪৫, সনদ ছহীহ)।
অনেককে দেখা যায়, কুরআনে সালাম করে বা কুরআনকে কপাল ও চোখে-মুখে লাগায়, চুমু খায়, বুকে জড়িয়ে ধরে। মূলত শরী‘আতে এমন কোনও নির্দেশনা আসেনি। তাই এগুলো করা যাবে না। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি হঠাৎ আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন কিছু করে ফেলে তাতে ইনশাআল্লাহ গুনাহ্ হবে না। তবে এটিকে সুন্নাত মনে করা যাবে না (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাত ইবনে বায, ৯/২৮৯ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৯৩২০)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ ইবনু ইসমাঈল, টাঙ্গাইল।